কিছু ‘শৌখিন রাজনীতিবিদ’ রাজ্য সরকারের বদনাম করার চেষ্টা করছে। বিভ্রান্ত করছে মানুষকে। নোনাডাঙার এক অনুষ্ঠানে তাঁদের ‘প্রলোভনে’ পা না দিয়ে সরকারের প্রতি আস্থা রাখতে বললেন তৃণমূলের একাধিক নেতা ও মন্ত্রী। তবে শৌখিন রাজনীতিবিদ বলতে কাদের বোঝানো হচ্ছে তা অবশ্য স্পষ্ট করে বলেননি কেউ। শনিবার নোনাডাঙায় কলকাতা পুরসভা ও কে এম ডি এ’র যৌথ প্রয়াসে ঢাকুরিয়ার গোবিন্দপুর রেল কলোনির উচ্ছেদ হওয়া ৩২০টি পরিবারের হাতে ফ্ল্যাটের চাবি তুলে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে রেলমন্ত্রী মুকুল রায় বলেন, “১০ বছর আগে গোবিন্দপুরের মানুষগুলোকে উচ্ছেদের সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন পুর্নবাসন ছাড়া উচ্ছেদ করা যাবে না। রাজ্যে ক্ষমতায় এসে তাঁর নির্দেশে সেই কাজই করতে এসেছি আজ।” রেলমন্ত্রীর বক্তব্য, “কিছু লোক ভুল বোঝাচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি আস্থা রাখুন। বাংলার স্বার্থ দেখবেন তিনিই।” নোনাডাঙায় সম্প্রতি যে আন্দোলন চলছে তার সমালোচনা করে রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এ দিন বলেন, “বাইরে থেকে কিছু লোক এখানে গণসংগঠনের নামে ভুল বোঝাচ্ছে।”
|
দলীয় কাউন্সিলরদের প্রশ্নে বিব্রত হতে হচ্ছে তৃণমূল পরিচালিত কলকাতা পুর বোর্ডকেই। তা ঠেকাতে শনিবার দলের সব কাউন্সিলরকে ডেকে ‘তালিম’ দিলেন প্রবীণ কাউন্সিলর তথা চেয়ারম্যান সচ্চিদানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায়। এ দিন দক্ষিণ কলকাতার মহারাষ্ট্র নিবাস হলে ওই বৈঠক বসে। সচ্চিদানন্দবাবু সতীর্থদের বলেন, পুর অধিবেশনে এমন প্রশ্ন করছেন, যা বিরোধীরা তুলতে পারে। তৃণমূল পরিচালিত পুরসভা দু’বছরে পা দিল। বৈঠকে কাজের গতি বাড়ানো নিয়েও আলোচনা হয়। একাধিক কাউন্সিলর বলেন, কাজকর্ম ঢিমেতালে চলছে। মেয়র পারিষদেরা সময়ে অফিসে আসেন না। ন্যাশনাল পপুলেশন রেজিস্ট্রেশন (এন পি আর), হেলথ কার্ড দেওয়ায় অযথা দেরি হচ্ছে বলেও দক্ষিণ কলকাতার কয়েক জন কাউন্সিলর অভিযোগ তোলেন। মধ্য কলকাতার এক কাউন্সিলর বলেন, “বাম বোর্ডের আমলে প্রভাবশালী কয়েক জন আধিকারিক এখনও গুরুত্বপূর্ণ থেকে পুরসভার কাজ অকারণে দেরি করাচ্ছেন।”
|
দমদম পার্ক এলাকায় একটি গাড়ি কেনাবেচার দোকান থেকে শনিবার লক্ষাধিক টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে। সকাল ১১টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে বলে পুলিশ জানায়। দোকানের মালিক হরেকৃষ্ণ বিশ্বাসের দাবি, ওই সময় তিনি দোকানে একা ছিলেন। দুই দুষ্কৃতী দোকানে ঢুকে অস্ত্র দেখিয়ে হরেকৃষ্ণবাবুর ব্যাগ থেকে ১ লক্ষ ৪৩ হাজার টাকা নিয়ে চম্পট দেয়। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীদের একাংশের বক্তব্য, ওই দোকানটি জনবহুল এলাকায়। ঘটনার আগে-পরে দোকান থেকে কোনও চিৎকার-চেঁচামেচি শোনা যায়নি।
|
কয়েকটি পরিত্যক্ত ব্যাগ ঘিরে শুক্রবার দুপুরে কলকাতা বিমানবন্দরের অন্তর্দেশীয় লাউঞ্জে বোমাতঙ্কের সৃষ্টি হয়। পুলিশ জানায়, বেলা আড়াইটে নাগাদ বেশ কিছু ব্যাগ পড়ে থাকতে দেখা যায়। ব্যাগগুলির মালিকের হদিস মিলছিল না। তাই সেগুলিকে ঘিরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সিআইএসএফের কর্মীরা ব্যাগগুলি পরীক্ষা করে কিছু পাননি। |