মালদহ মেডিক্যাল কলেজ অজানা খিঁচুনি রোগে শিশু মৃত্যুর কারণ এখনও জানতে পারেনি রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। এরই মধ্যে অজানা রোগে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। শুক্রবারও আরও ৭টি শিশু একই রোগে আক্রান্ত হয়ে মালদহ মেডিকেল কলেজে ভর্তি হয়েছে। আগামী সোমবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের প্রতিনিধি দল ফের মালদহে আসছে। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের মুখপাত্র অসিত বিশ্বাস বলেন, “মালদহে খিঁচুনি রোগে শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার কারণ জানা যায়নি। মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি শিশুদের রক্ত-সহ নানা পরীক্ষার পরেই কিছুই পাওয়া যায়নি। বিভিন্ন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। সোমবার একটি বিশেষজ্ঞ দল মালদহে যাচ্ছেন।” অসিতবাবু জানান, বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন গত বছর বিহারে একই ধরনের রোগে শিশু মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল। ওই রোগে মালদহে আক্রান্তের সংখ্যা ৭২। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, এদিন কোনও শিশু মারা না গেলেও গত ১৫ দিনে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে অজানা খিঁচুনি রোগে ২৯টি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। গত ১ জুন থেকে শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা শুরু হয়। এর পরে ১০ দিনে ২৩ টি শিশু মারা যায়। এতেই নড়েচড়ে স্বাস্থ্য দফতর। ১১ জুন রাজ্যের স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিনের অধিকর্তা কৃষ্ণাংশু রায়ের নেতৃত্বে তিনজনের প্রতিনিধি দল মালদহ আসে। তাঁরা আক্রান্ত শিশুদের শিরদাঁড়ার জল, রক্ত পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। তবে পরীক্ষার পর রোগের কারণ এখনও জানা যায়নি।
|
অষ্টম শ্রেণির সুফল দে’র দু’টো কিডনিই খারাপ। দিন কয়েক আগে বসিরহাট টাউন স্কুলের ওই ছাত্র গরমে অসুস্থ হওয়ার পর বিষয়টি জানতে পারেন বাড়ির লোক। কিন্তু বাবা চন্দন দে সামান্য পান-বিড়ির দোকান চালান। ছেলের চিকিৎসার খরচ চালানোর ক্ষমতা তাঁর নেই। বিষয়টি জানতে পেরে চন্দনবাবুর পাশে দাঁড়ালেন বসিরহাটের পুলিশ ও ব্যবসায়ীরা। শুক্রবার বসিরহাট রবীন্দ্রভবনে এক অনুষ্ঠানে চন্দনবাবুর হাতে এক লক্ষ টাকার চেক তুলে দেন বসিরহাটের এসডিপিও আনন্দ সরকার। চন্দনবাবুর কথায়, “যে ভাবে পুলিশ ও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা পাশে দাঁড়ালেন তাতে আমি তাঁদের কাছে কৃতজ্ঞ।” এ দিন পুলিশ সুপারের নির্দেশে রবীন্দ্রভবনে চিকিৎসা শিবিরও হয়। সেখানে মহকুমার ৯টি থানা-সহ ১৭টি ইউনিটের পুলিশকর্মীদের সুস্থ রাখতে চিকিৎসক দল বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থা করেন। উপস্থিত ছিলেন বসিরহাটের এসডিপিও, স্বরূপনগরের সিআই তপন মিশ্র, বসিরহাট থানার আইসি শুভাশিস বণিক প্রমুখ।
|
রোগীর অমতে তাঁর প্রজনন অঙ্গ বাদ দেওয়ায় এক চিকিৎসকে এক লক্ষ টাকা জরিমানা করল বিহারের মানবাধিকার কমিশন। পটনার বিহটা গ্রামের এক বাসিন্দা ২০১০-এর ডিসেম্বরে অণ্ডকোষে যন্ত্রণা নিয়ে ডাক্তার ললিতমোহন শর্মার হাসপাতালে ভর্তি হন। ওই ব্যক্তির অভিযোগ, সে দিনই জোর করে তাঁর প্রজনন অঙ্গ বাদ দেওয়ার অস্ত্রোপচার করানো হয়। ওই দিনই তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। এর পরে অন্য হাসপাতালে গিয়ে বহু টাকা খরচ করে চিকিৎসা করতে হয় তাঁকে। রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান প্রাক্তন বিচারপতি এস এন ঝা বলেন, সন্তানের জন্ম দেওয়ার অধিকার থেকে ওই ব্যক্তিকে বঞ্চিত করা হয়েছে। তাই জরিমানা হিসাবে ক্ষতিগ্রস্ত ওই ব্যক্তিকে এক মাসের মধ্যে এক লক্ষ টাকা দিতে চিকিৎসক ললিতমোহন শর্মাকে নির্দেশ দেন তিনি। |