জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালের মেডিসিন বর্হিবিভাগ সোমবার থেকে শনিবার পর্যন্ত খোলা থাকবে বলে লিফলেট ছাপিয়ে বিলি করা হলেও বৃহস্পতিবার থেকে সেটি বন্ধ হয়ে রয়েছে। সোমবারের আগে মেডিসিন বিভাগ খুলবে না বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে। সম্প্রতি জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালের তরফে একটি ছাপানো লিফলেট রোগী ও তাঁদের পরিজনদের মধ্যে বিলি করা হচ্ছে। সেই লিফলেটে কবে বর্হিবিভাগ খোলা থাকবে তার সুস্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে। বর্হিবিভাগ নির্দিষ্ট দিনে না খুললে বা কোনও বিভাগ দেরিতে খুললে অথবা চিকিৎসক না থাকলে হাসপাতাল সুপার ও কলকাতার স্বাস্থ্য ভবনের দুটি মোবাইল নম্বরে টেলিফোন করার আর্জি জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে মেডিসিন বর্হিবিভাগ বন্ধ থাকায় অনেক রোগী বা পরিজনেরা ওই দুটি নম্বরে ফোন করে অভিযোগ জানালেও সুরাহা হয়নি বলে অভিযোগ। এদিন হলদিবাড়ি থেকে আসা মোতিলাল গরাতি, ললিতা মন্ডল, ধূপগুড়ি থকে আসা নিরঞ্জন রায় চিকিৎসা না পেয়েই ফিরে গিয়েছেন। ললিতা দেবী বলেন, “সকাল সাড়ে দশটা থেকে বসে রয়েছি। মেডিসিন বিভাগের দরজাই খোলেনি। দুপুর দুটো পর্যন্ত ঠায় বসে থাকলাম। হাসপাতাল থেকে দেওয়া একটা লিফলেটের নম্বরে ফোনও করেছি। পরে এক মাসি বললেন, সোমবার আসতে। মাথায় ব্যাথা নিয়ে কষ্ট পাচ্ছি। জানি না কি হবে।” জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালের সুপার ব্রজেশ্বর মজুমদার বলেন, “মেডিসিন বর্হিবিভাগ বন্ধ রয়েছে একথা সত্যি। চিকিৎসকের অভাবেই বর্হিবিভাগ বন্ধ রয়েছে। এখন মেডিসিন বিভাগে মাত্র ২ জন চিকিৎসক রয়েছে। সে কারণেই বর্হিবিভাগ খোলা সম্ভব হচ্ছে না। আগামী সোমবার বর্হিবিভাগ খোলা হবে।” এদিকে জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালের বর্হিবিভাগে বিভিন্ন ওষুধ সংস্থার বিক্রয় প্রতিনিধিরা ভিড় জমানোয় রোগীদের চিকিৎসা করাতে সমস্যায় পড়তে হয় বলে অভিযোগ। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দুপুর দুটো পর্যন্ত বর্হিবিভাগে ওষুধ সংস্থার প্রতিনিধিরা ঢুকতে পারবেন না বলে নোটিশ দিলেও দুপুর বারোটার পর থেকেই প্রতিনিধিদের আনাগোনা শুরু হয়ে যায় বলে অভিযোগ। হাসপাতাল সুপার জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। চিকিৎসকদেরও প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হবে। |