|
|
|
|
নিকাশি নেই, দুর্ভোগ চরমে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ময়নাগুড়ি |
বর্ষা নামতে ভোগান্তি চরমে উঠেছে ময়নাগুড়ি জুড়ে। জঞ্জালে ভরা নিকাশি নালা উপচে নোংরা জল ছড়াচ্ছে রাস্তায়। থিকথিকে কাদায় ভরা পরিবেশ। পাড়ার এঁদো গলি থেকে পাকা সড়ক একই ছবি। গোড়ালি ডোবা কাদা বাসস্ট্যাণ্ড এলাকায়। পরিষেবার ওই কদর্য চেহারা দেখে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে বিভিন্ন মহলে। অভিযোগ উঠেছে উদাসীনতার। শহর এলাকায় নিকাশি ব্যবস্থার বেহাল দশার কথা অস্বীকার করেননি ময়নাগুড়ি পঞ্চায়েত সমিতির সিপিএম সভাপতি দুলালী অধিকারী। তিনি বলেন, “কয়েক দিনের বৃষ্টিতে উদ্বেগজনক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। পঞ্চায়েত কর্তাদের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের চেষ্টা চলছে।” ব্লক প্রশাসনের কর্তারাও একই সুরে কথা বলেছেন। স্থানীয় যুগ্ম বিডিও রাজীব দত্ত চৌধুরী বলেন, “নিকাশি সংস্কারের বিষয় নিয়ে পঞ্চায়েত প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। আশা করছি কয়েকদিনের মধ্যে কাজ শুরু হবে।” যদিও পঞ্চায়েত সমিতি ও প্রশাসনের কর্তাদের ওই বক্তব্যে বাসিন্দারা আশ্বস্ত হতে পারছে না। তাঁরা প্রশ্ন তুলেছেন বর্ষার আগে কেন নিকাশি নালাগুলি সংস্কার হয়নি। যদিও পঞ্চায়েত কর্তারা দাবি করেছেন নিকাশি সংস্কারের কাজ চলছে। তবে জমা জল বাইরে বার করার জন্য আরও পাকা নিকাশি নালা তৈরি করা জরুরি। খাগরাবাড়ি-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান সীমা রায় বলেন, “নিকাশি নালা সংস্কারের কাজ হচ্ছে না এটা ঠিক কথা নয়। কাজ চলছে। ইতিমধ্যে শহিদগড় এলাকায় দুটি নিকাশি নালা তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। গোবিন্দনগরে একটি পাকা নালা তৈরির চিন্তাভাবনা চলছে।” ময়নাগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের সিপিএম প্রধান গোবিন্দ রায় বলেন, “নিকাশি নালা সাফাইয়ের কাজ চলছে। আরও কিছু প্রকল্প তৈরি করে ব্লক প্রশাসনের মাধ্যমে জেলায় পাঠানো হয়েছিল। সম্প্রতি অনুমোদন মিলেছে। আশা করছি কয়েকদিনের মধ্যে কাজ শুরু হয়ে যাবে।” ময়নাগুড়ি শহর এলাকা খাগরাবাড়ি-১, মাধবডাঙা-১ এবং ময়নাগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৭টি বুথ নিয়ে গড়ে উঠেছে। তার মধ্যে খাগরাবাড়ি-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে রয়েছে হাসপাতালপাড়া, বিবেকানন্দ পল্লি, বিডিও অফিস পাড়া, শহিদগড় এবং গোবিন্দনগর মিলিয়ে ৬টি বুথ। ইন্দিরামোড় ও অসম মোড় সংলগ্ন এলাকা নিয়ে মাধবডাঙা-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের দুটি বুথ। ময়নাগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের আনন্দনগর, পেটকাটি, সুভাষনগর, দেবীনগর, মহাকালপাড়া, ময়নামাপাড়া, বাগজান কলোনি নিয়ে ৯টি বুথ। পুরাতন বাজার, জলপাইগুড়ি, ধূপগুড়ি ও মালবাজার বাস স্ট্যাণ্ড ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে রয়েছে। বেহাল নিকাশি ব্যবস্থার জন্য প্রায় ৬ বর্গ কিলোমিটার অঞ্চল জুড়ে ভোগান্তি শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে কয়েক ঘন্টার প্রবল বৃষ্টিতে বিভিন্ন পাড়া জলমগ্ন হয়ে পড়ে। নিকাশি নালার জল রান্না ঘরে ঢুকে পড়ার মতো ঘটনাও ঘটেছে। পঞ্চায়েত সমিতির কংগ্রেস সদস্য শক্তি চক্রবর্তী বলেন, “দ্রুত ব্যবস্থা না হলে আন্দোলনে নামব।” |
|
|
|
|
|