তাঁরা যে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দেন, সরকারকে সে-কথা আগেই লিখিত ভাবে জানানো হয়েছিল বলে রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতরে চিঠি দিয়ে জানালেন সরকারি কলেজের দুই শিক্ষক-শিক্ষিকা। ওই শিক্ষক-শিক্ষিকার দাবি, তাঁরা যা করেছেন, আইন মেনেই করেছেন এবং তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ ভিত্তিহীন।
ঝাড়গ্রাম রাজ কলেজের শিক্ষক দেবাশিস সরকার এবং হুগলি মহসিন কলেজের শিক্ষিকা শম্পা সেনের বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ জানিয়ে সম্প্রতি শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর কাছে চিঠি পাঠিয়েছিলেন সরকারি কলেজের প্রাক্তন শিক্ষক সুব্রত পাণ্ডা। তাঁর অন্যতম অভিযোগ ছিল, সংবাদমাধ্যমের আলোচনাচক্রে যোগ দিয়ে ওই দুই শিক্ষক-শিক্ষিকা সরকার-বিরোধী কথা বলেন।
ওই অভিযোগ আসার পরে রাজ্যের শিক্ষা অধিকর্তা অনীশ চট্টোপাধ্যায় ওই দুই শিক্ষকের কাছে চিঠি পাঠিয়ে জানতে চান, বাইরের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে তাঁরা অনুমতি নিয়েছেন কি না। সেই সঙ্গে প্রাক্তন শিক্ষকের চিঠির প্রতিলিপিও পাঠানো হয় দেবাশিসবাবু ও শম্পাদেবীর কাছে। সম্প্রতি শিক্ষা অধিকর্তাকে তাঁর পাঠানো চিঠির জবাব দিয়েছেন ওই দুই শিক্ষক।
দেবাশিসবাবু শুক্রবার বলেন, “ওয়েস্ট বেঙ্গল এডুকেশন সার্ভিস আইন অনুযায়ী রেডিও বা টেলিভিশনের কোনও অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য কোনও অনুমতি নেওয়ার দরকার হয় না। সরকারকে সে-কথা জানালেই চলে। আমি ২০০৫ সালেই সরকারকে তা জানিয়েছিলাম।” শিক্ষা অধিকর্তাকে লেখা জবাবি চিঠিতে সে-কথা জানিয়েছেন তিনি। আর শম্পাদেবীর বক্তব্য, বাইরের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তাঁর যোগ দেওয়ার কথা ১৯৯৭ সালেই লিখিত ভাবে রাজ্য সরকারকে জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। ওই দুই শিক্ষক পশ্চিমবঙ্গ সরকারি কলেজ শিক্ষক সমিতির সদস্য। সেই সংগঠন তো বটেই, তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছে ‘এআইফুকটো’, ‘ওয়েবকুটা’, ‘জুটা’, ‘ওয়েবসুটা’-সহ অন্যান্য সংগঠনও। |