|
|
|
|
কাজ নিয়ে রয়েছে সংশয় |
নন্দীগ্রাম কলেজেও সংঘর্ষ তৃণমূলের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
স্নাতকস্তরে ছাত্র-ভর্তির ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ কায়েম করা নিয়েও এ বার গোষ্ঠী-সংঘর্ষে জড়াল শাসক তৃণমূল। তা-ও আবার তাদের তথাকথিত ‘উত্থানভূমি’ নন্দীগ্রামে! পরিবর্তনের এই ‘আঁতুরঘরে’ও শাসকদলের কোন্দল অবশ্য ইদানীং বারে বারেই প্রকাশ্যে আসছে। তৃণমূলে নেতৃত্বের সঙ্কটও প্রকট হচ্ছে। এই অবস্থায় সামনের বছরের পঞ্চায়েত ভোটে নন্দীগ্রামেও তৃণমূলকে ‘ধাক্কা’ দেওয়ার আশা জাগছে বিরোধী বাম-শিবিরে।
নন্দীগ্রামের দুই তৃণমূল নেতা, জমি-রক্ষা আন্দোলনের দুই মুখ, আবু তাহের ও শেখ সুফিয়ানের গোষ্ঠীর মধ্যেই গণ্ডগোল বাধে নন্দীগ্রাম কলেজে। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে শুক্রবার দিনভর দফায়-দফায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দুই গোষ্ঠী। ঘটনার কথা মেনে নিলেও নিজেদের মধ্যে বিরোধ আছে বলে অবশ্য মানতে নারাজ দুই তৃণমূল নেতাই। তবে, পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি তথা জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক মামুদ হোসেনও মেনে নিয়েছেন, “আমাদেরই দু’টো দল গণ্ডগোলে জড়িয়ে পড়েছে। আমরা দু’পক্ষকে নিয়েই আলোচনায় বসছি।”
নন্দীগ্রাম সীতানন্দ কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতি পদে রয়েছেন পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি আবু তাহের। আবার ছাত্র-সংসদে ক্ষমতাসীন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যরা জেলা পরিষদের পূর্ত-কর্মাধ্যক্ষ শেখ সুফিয়ানের অনুগামী। কলেজে ভর্তিপ্রক্রিয়ার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে গত কয়েক দিন ধরেই আবু তাহের গোষ্ঠীর সঙ্গে সুফিয়ানের অনুগামীদের বিরোধ চলছিল। গত ৬ জুন ফর্ম বিলির প্রথম দিন ছাত্রসংসদের সাধারণ সম্পাদক শেখ নোয়াজ আহমেদের হাত ভেঙে দেন অন্য গোষ্ঠীর লোকজন। বৃহস্পতিবার বিকেলে ফের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বাধলে জখম হন সুফিয়ান গোষ্ঠীর ছাত্র শেখ মুকলেসুর। পরে কলেজ-চত্বর থেকে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে নন্দীগ্রাম বাজার এলাকাতেও। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
শুক্রবার সকালে নন্দীগ্রাম থানার কাছে তাহের-অনুগামী শেখ আমানুল্লার বাড়িতে সুফিয়ান গোষ্ঠীর লোকজন চড়াও হন বলে অভিযোগ। ওই ঘটনায় পুলিশ তিন জনকে গ্রেফতার করে। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের হস্তক্ষেপে আবার তাঁদের জামিনও হয়ে যায় থানা থেকেই। থানা থেকে ব্লক অফিসে আসার পথে তাঁদের উপরে তাহের-গোষ্ঠীর লোকজন হামলা চালায় বলে অভিযোগ। ‘একদল দুষ্কৃতী’ কলেজ-ছাত্রদের উপরে হামলা চালিয়েছে বলেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের প্রসঙ্গ এড়িয়েছেন তাহের। শেখ সুফিয়ানের সাফাই, “ছাত্রদের মধ্যে গণ্ডগোল হয়েছে। রাজনীতির কোনও বিষয় নেই।” |
|
|
|
|
|