ফেডারেশন বিরোধী ক্লাব জোট আবার মাথা চাড়া দিয়ে উঠল। প্রায় দু’মাস চুপচাপ থাকার পর আবার আই লিগ খেলা ক্লাবের কর্তারা আলোচনায় বসছেন, ভবিষ্যৎ ঠিক করতে। শুক্রবার রাতেই মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল, পুণে এফ সি-সহ দশটি ক্লাবের কর্তা পৌঁছে গিয়েছেন গোয়ার ভাস্কোয়। ডেম্পো, সালগাওকর, চার্চিলের প্রধান কর্তারা আসছেন শনিবার সকালের সভায়। জানা গিয়েছে, প্রফেশনাল ফুটবল ক্লাব অ্যাসোসিয়েশনের কর্তারা সকালে সভা করার পর চমকপ্রদ কিছু ঘোষণা করতে পারেন। গোয়া থেকে ফোনে জোটের এক কর্তা বললেন, “আমরা ভেবেছিলাম ফেডারেশন কিছু করবে। আমাদের সঙ্গে আলোচনায় বসবে। কিন্তু ওরা কিছুই করল না। ফলে আমাদের কিছু করতেই হবে।” ক্লাব কর্তারা ফেডারেশন কাপ এবং আই লিগ শুরুর আগেই একটা হেস্তনেস্ত চান। তাঁদের দাবি, আই লিগকে জনপ্রিয় করতে ফেডারেশন বড় উদ্যোগ নিক। টিভি সম্প্রচারের লভ্যাংশও চায় ক্লাবগুলি।
|
ফুটবল ম্যাচে রেফারিকে নিরাপত্তা দেওয়ার দায় পুলিশের। অথচ পুলিশের ফুটবলারদের হাতেই মার খেতে হল রেফারিকে। অভিযোগ, মাঠে হাজির পুলিশরা রেফারিকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেননি। শুক্রবার ইস্টবেঙ্গল মাঠে ঐক্য সম্মিলনী বনাম কলকাতা পুলিশের ট্রেডস কাপ ম্যাচে রেফারি বরুণ সাহা পুলিশ ফুটবলারদের কাছে মার খেয়ে রক্তাক্ত হলেন। এসএসকেএম হাসপাতালে তাঁর কপালে তিনটি সেলাই হয়। ম্যাচের ৬০ মিনিটে স্কোর যখন ১-১, পুলিশের এক ফুটবলারকে লাল কার্ড দেখান রেফারি। তাতে হঠাৎই কয়েকজন ফুটবলার তাঁর উপর চড়াও হয়ে মারধর শুরু করেন। খেলা বন্ধ হয়ে যায়। রেফারি ময়দান থানায় পুলিশ অধিনায়ক মিলন দত্ত-সহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ কোচ তমাল সেনের পাল্টা অভিযোগ, রেফারিই আগে গালাগাল করেছিলেন।
|
এআইএফএফ-এর বিচারে এই মরসুমের সেরা কোচ নির্বাচিত হলেন আর্মান্দো কোলাসো। সেরা ফরোয়ার্ড ও ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট র্যান্টি মার্টিন্স। সেরা ডিফেন্ডার মহেশ গাউলি এবং সেরা মিডফিল্ডার ক্লাইম্যাক্স লরেন্স। সেরা গোলকিপার করণজিৎ সিংহ। সেরাদের তালিকায় অবশ্য বাংলার কোনও ফুটবলারের নাম নেই। ভারতের অনূর্ধ্ব-১৬ দলের কোচ হলেন মৃদুল বন্দ্যোপাধ্যায়। এ দিকে, পাঁচটা দল নিয়ে নেহরু কাপ শুরু হচ্ছে ২২ অগস্ট থেকে। অন্য দিকে, মোহনবাগান ছেড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার সঙ্গে এক বছরের চুক্তি করলেন শৌভিক চক্রবর্তী।
|
তপন মেমোরিয়ালকে ৬ উইকেটে হারিয়ে পি সেন ট্রফির সেমিফাইনালে মোহনবাগান। শেষ চারে কালীঘাটও। প্রথমে ব্যাট করে তপন মেমোরিয়াল তোলে ১৩৫ রানে। ৩ উইকেট সৌরাশিস লাহিড়ি ও সুলতান আহমেদের। জবাবে ৪ উইকেট রান তুলে দেয় মোহনবাগান। অনুষ্টুপ মজুমদার (৫০ ন:আ:) ছাড়া রান পান সৌরাশিসও (৪১)। অন্য দিকে কালীঘাটের ২২৭-৮ তাড়া করতে গিয়ে ১৬৮ রানে শেষ ডালহৌসি। তিনটে করে উইকেট ইরেশ সাক্সেনা ও মনোজিৎ ঘোষের। এ দিকে, ডব্লিউ ভি রামনের সঙ্গে চুক্তি আরও দু’বছর বাড়িয়ে নিল সিএবি। চলতি বছরে মইন-উদ-দৌল্লা ও বুচিবাবু টুর্নামেন্ট খেলবে বাংলা। চেন্নাইতে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলারও চেষ্টা চলছে।
|
আই এফ এ গভর্নিং বডির সদস্য হলেন শিবাজী বন্দ্যোপাধ্যায়, বিকাশ পাঁজি, রঘু নন্দী, হীরালাল দাস, নির্মল গে ঙ্গাপাধ্যায়ের মতো প্রাক্তনরা। |