|
|
|
|
রাস্তা নিয়ে তৃণমূলের দলীয় প্রচার, বিতর্কে এমকেডিএ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
নতুন রাস্তা তৈরি হয়েছে। তারই পাশে ঝকঝকে ফ্লেক্স। তাতে লেখা, ‘রাস্তা তৈরির জন্য তৃণমূল পরিচালিত এমকেডিএ-কে ধন্যবাদ।’ প্রচারের এই বয়ান ঘিরেই মেদিনীপুরে শুরু হয়েছে বিতর্ক। সরকারের কোনও সংস্থাকে ‘তৃণমূল পরিচালিত’ বলে উল্লেখ করা অনুচিত অভিযোগ করে সিপিএমের বক্তব্য, এখন সবেতেই রাজনীতি করা হচ্ছে। জনগণের টাকায় রাস্তা তৈরি হয়েছে। সেখানেও তৃণমূল ‘দলীয় সাফল্য’ দেখাচ্ছে। সিপিএমের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা কমিটির সদস্য কীর্তি দে বক্সীর বক্তব্য, “পরিস্থিতি যা তাতে এমন কাজকর্ম আরও বাড়বে বলেই আশঙ্কা!” এ ক্ষেত্রে অবশ্য ‘ভুল’ স্বীকার করে নিয়েছেন মেদিনীপুর-খড়্গপুর উন্নয়ন পর্ষদের (এমকেডিএ) চেয়ারম্যান মৃগেন মাইতি। তিনি বলেন, “অতি-উৎসাহিত হয়ে কেউ এটা করে থাকতে পারে। ওই ফ্লেক্স খুলে ফেলতে বলেছি।”
|
|
ছবি: রামপ্রসাদ সাউ। |
মেদিনীপুর-খড়্গপুর শহর ও শহরতলির উন্নয়নের লক্ষ্যেই গড়ে উঠেছে এমকেডিএ। বছর দু’য়েক আগে এমকেডিএ মেদিনীপুর শহরের সিপাইবাজার এলাকায় একটি রাস্তা তৈরির পরিকল্পনা করে। প্রাথমিক কাজও শুরু হয়। তখন এই সংস্থার চেয়ারম্যান ছিলেন ঝাড়গ্রামের সিপিএম সাংসদ পুলিনবিহারী বাস্কে। রাজ্যে পালাবদলের পর সংস্থার নতুন চেয়ারম্যান হন মেদিনীপুরের তৃণমূল বিধায়ক মৃগেন মাইতি। তিনি ‘পড়ে থাকা’ এই প্রকল্পের কাজ শেষ করতে উদ্যোগী হন। ইতিমধ্যে রাস্তা তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। সাধারণত, নতুন রাস্তা তৈরি হলে সংস্থার পক্ষ থেকে সেখানে একটি বোর্ড রাখা হয়। তাতে সংস্থার নাম লেখা থাকে। এ ক্ষেত্রেও রাস্তার পাশে এমকেডিএ-এর একটি বোর্ড রাখা হয়েছে। তারই অদূরে ওই বিতর্কিত ফ্লেক্স।
একটা সময় সিপিএমের বিরুদ্ধে বারবার ‘দলতন্ত্রে’র অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। শাসকের মুখ বদলানোয় এখন সেই অভিযোগই তৃণমূলকে পাল্টা বিঁধতে শুরু করেছে। সিপিএমের শহর জোনাল কমিটির এক নেতা বলেন, “শহরের মানুষকে বিভ্রান্ত করতেই রাস্তার ধারে ওই ফ্লেক্স রাখা হয়েছে। এমকেডিএ-এর মতো সংস্থা কোনও দলের নয়, সরকারের। এই সংস্থা জনগণের টাকায় উন্নয়ন করে।” তবে রাজ্যে পালাবদলের পর এমকেডিএ-এর নতুন কমিটি তৈরির সময়েও তৃণমূলের বিরুদ্ধে ‘দলতন্ত্রে’র অভিযোগ উঠেছিল। পর্ষদের নতুন কমিটিতে খোদ মেদিনীপুরের সিপিআই সাংসদ প্রবোধ পণ্ডার নাম না থাকলেও সরকারি প্রতিনিধি হিসেবে নাম ছিল তৃণমূলের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সভাপতি দীনেন রায় ও এক যুব-তৃণমূল নেতার। বিষয়টি নিয়ে জেলার রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড়ে। প্রশ্ন ওঠে। পর্ষদের কর্তৃপক্ষ অবশ্য জানান, সেটা নাকি সরকারি সিদ্ধান্ত! ফ্লেক্স বিতর্কে অবশ্য ‘ভুল’ স্বীকার করেছেন পর্ষদের চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, “বিষয়টি জানতে পেরে ওই ফ্লেক্স খুলে ফেলতে বলেছি।” |
|
|
|
|
|