|
|
|
|
স্কুলের সামনে ইএফআরের প্রাচীর, অবরোধ সালুয়ায় |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
একটি স্কুলের সামনে প্রাচীর তৈরি নিয়ে বিতর্কের জেরে দীর্ঘক্ষণ পথ অবরোধ হল খড়্গপুরের সালুয়ায়। শুক্রবার সকালে খড়্গপুর-কেশিয়াড়ি সড়ক অবরোধের ফলে সমস্যায় পড়েন সাধারণ মানুষ। একের পর এক বাস-লরি আটকে যায়। পরে পুলিশি মধ্যস্থতায় অবরোধ ওঠে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, স্থানীয় ভেটিয়াচণ্ডী হাইস্কুলের পাশে একটি মাঠ রয়েছে। জায়গাটি ইএফআরের। তবে স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা সেখানেই খেলাধুলো করে। নানা অনুষ্ঠান হয়। এখন মাঠটি প্রাচীর দিয়ে ঘিরতে চাইছে ইএফআর। এতে স্কুলে ঢোকার ক্ষেত্রেও সমস্যা হবে। বাসিন্দাদের বক্তব্য, এখানে প্রাচীর তৈরি হবে না বলে আগে আশ্বাস দিয়েছিলেন ইফআরের আধিকারিকেরা। এখন সেই প্রতিশ্রুতি রাখছেন না। এ নিয়ে বৈঠক ডেকেছেন খড়্গপুরের মহকুমাশাসক সুদত্ত চৌধুরী। ২০ জুন ওই বৈঠক হবে। সেখানে সব পক্ষের প্রতিনিধিই উপস্থিত থাকবেন।
মহকুমাশাসক বলেন, “প্রাচীর তৈরি নিয়ে সমস্যা হয়েছিল। বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে।” এ দিন সকাল ৮টা নাগাদ সালুয়ায় পথ অবরোধ শুরু হয়। সামিল হন গ্রামবাসী থেকে স্কুলের শিক্ষক-ছাত্রছাত্রী, সকলেই। ঘণ্টা দুয়েকের অবরোধে ফলে খড়্গপুর-কেশিয়াড়ি সড়কে যান চলাচল ব্যাহত হয়। একের পর এক বাস-লরি আটকে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন ইএফআর ও জেলা পুলিশের আধিকারিকেরা। শেষমেশ পুলিশি মধ্যস্থতায় অবরোধ ওঠে। ১১টা নাগাদ একদফা বৈঠকও হয়। সেখানে অবশ্য ইএফআরের তরফে আশ্বাস দেওয়া হয়, আলোচনার আগে প্রাচীর তৈরির কাজ এগোবে না। এর পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। সালুয়ায় রয়েছে ইএফআরের (ইস্টার্ন ফ্রন্টিয়ার রাইফেল) তিনটি ব্যাটলিয়নের সদর দফতর। আশপাশে বসতিও রয়েছে। যেখানে ইএফআর জওয়ানদের পরিবারের লোকজনই থাকেন। অনেকে চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পরেও এখানেই পাকাপাকি ভাবে বসবাস শুরু করেছেন। অদূরে রয়েছে ভেটিয়াচণ্ডী হাইস্কুল। স্কুলের পাশেই মাঠ। পাকা রাস্তা ছেড়ে ওই মাঠ পেরিয়েই স্কুলে ঢুকতে হয়। স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা এখানে খেলাধুলোও করে। জায়গাটি অবশ্য ইএফআরের।
গত এপ্রিল এক বার প্রাচীর তৈরির উদ্যোগ হয়েছিল। সেই সময়েও সরব হয়েছিলেন গ্রামবাসীরা। পরে বিষয়টি লিখিত ভাবে জেলাশাসক, পুলিশ সুপারকে জানানো হয়। ইএফআর কর্তৃপক্ষের কাছেও ওই মাঠে প্রাচীর না-দেওয়ার আবদেন জানানো হয়। স্কুলের সহ-শিক্ষক শেখ রবিউল হোসেন বলেন, “ছাত্রছাত্রীরা এই মাঠেই খেলাধুলো করে। মাঠের চারপাশে প্রাচীর দেওয়া হলে স্কুলে ঢুকতেও সমস্যা হবে। তাই আমরা পুলিশ-প্রশাসনের সর্বস্তরে এখানে প্রাচীর না-দেওয়ার আবেদন করি।” তাঁর বক্তব্য, “চলতি মাসের গোড়া থেকে ফের প্রাচীর দেওয়ার কাজ শুরু হয়। বাধ্য হয়ে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতেই পথ অবরোধ করা হয়।” তবে দীর্ঘক্ষণ অবরোধ চললেও অনভিপ্রেত কিছু ঘটেনি। পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার সুনীল চৌধুরী বলেন, “শুরুতে সমস্যা দেখা দিয়েছিল। পরে অবরোধ প্রত্যাহারের আবেদন করা হয়।” পুলিশ সূত্রে খবর, এ ক্ষেত্রে স্থানীয়দের বক্তব্য খতিয়ে দেখছেন ইএফআর কর্তৃপক্ষ। পরিস্থিতি দেখে ২০ জুন বৈঠক ডেকেছেন খড়্গপুরের মহকুমাশাসক। তিনি বলেন, “আলোচনার মাধ্যমেই সমস্যা-সমাধানের চেষ্টা চলছে।” |
|
|
|
|
|