|
|
|
|
|
|
|
নৃত্য সমালোচনা... |
|
এ কোন মায়া |
অম্বালী প্রহরাজ |
ওড়িশি শৈলীর গুরু-শিষ্য পরম্পরার ঐতিহ্যকে কঠিন চর্চা এবং আভিজাত্যের সঙ্গে পঁচিশ বছর বয়ে নিয়ে চলেছে ‘গুরুকুল’। সম্প্রতি সেই উপলক্ষে প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার সুতপা তালুকদার কলামন্দিরে মঞ্চস্থ করলেন ‘মায়ার খেলা’। অনুষ্ঠানের শুরুতে গুরুকুলের ছাত্রী দেবমিত্রা সেনগুপ্ত পরিবেশন করলেন ‘দুর্গা’। দ্বিতীয় নিবেদন গীতগোবিন্দ থেকে নেওয়া ‘সমুদিত মদনে’। পরিবেশন করলেন প্রতিষ্ঠানের আর এক শিষ্য অর্ণব বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পরে মঞ্চস্থ হয় ‘মায়ার খেলা’। আবহমান কাল ধরে কল্পনা এবং বাস্তবের দ্বন্দ্বের মধ্যে এসে পড়ে প্রেম। প্রেম সৌন্দর্য না কি বিবেচনাশক্তির গভীরতা দাবি করে? ভালবাসা কোন আবেদনের কাছে ছুটে যেতে চায়? চঞ্চলতা, প্রগলভতা, না শান্ত-বুদ্ধিতে পরিব্যাপ্ত আবেদনের কাছে? সুতপা তালুকদারের নৃত্যবিন্যাসে এবং শঙ্খ ঘোষের চিত্রনাট্যে ‘মায়ার খেলা’ নৃত্যনাট্যে রূপান্তরিত হয়। যেখানে শান্তার শান্ত হৃদয়োপলব্ধ ভালবাসায় সাড়া দেবে, না উন্মত্ত প্রেমে ভেসে বেড়ানো প্রমদার প্রণয়পাশায় নিজেকে জড়াবে? এই দোলাচলে ভাসতে থাকা অমর-এর মন এক দিন দু’জনের ভালবাসা থেকে মুক্তি নিয়ে নিঃসঙ্গ জীবনের মধ্যে, একাকিত্বের মধ্যে ডুবে যায়। আবহসঙ্গীতের দায়িত্বে ছিলেন তেজেন্দ্রনারায়ণ মজুমদার। পুরোটাই একটা ছন্দের মধ্যে বেঁধেছিলেন যা প্রচলিত আঙ্গিকের বাইরে বেরিয়ে একটা নতুনত্বের স্বাদ এনে দেয়। জয়তী চক্রবর্তী, সুপ্রতিক দাস, সাহেব চট্টোপাধ্যায়ের অপূর্ব গায়কীতে আবহ পরিপূর্ণতা পেয়েছে। অমর, শান্তা এবং প্রমদার চরিত্রে সাবর্ণীক দে, পল্লবী বিজয় এবং সোমঋতা কুশারীকে ভাল লাগে। অন্যান্য কলাকুশলীরাও দক্ষতা দেখিয়েছেন। গ্রন্থনায় শ্রীলা মজুমদারের কণ্ঠ দর্শককে মোহাবিষ্ট করে রাখে। ভাল লাগে অভয় পালের পোশাক পরিকল্পনা এবং উত্তীয় জানার আলো। |
|
|
|
|
|