ট্রান্সফর্মার বিকল। সব বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগও নেই। অথচ মাসে মাসে বাড়িতে পৌঁছে যাচ্ছে বিদ্যুতের বিল।
কেতুগ্রাম-১ ব্লকের রাজুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটতে থাকায় রাজীব গাঁধী বিদ্যুৎ যোজনা প্রকল্পের আওতায় দারিদ্র্যসীমার নীচে থাকা গ্রামবাসীরা বিপাকে পড়ে গিয়েছেন। ইতিমধ্যে রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার কান্দরা শাখায় বিক্ষোভও দেখিয়েছেন তাঁরা। প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে একাধিক চিঠি পাঠিয়ে বিল মকুবের আবেদনও জানিয়েছেন।
গ্রামবাসী জানান, বছরখানেক আগে রাজীব গাঁধী বিদ্যুৎ প্রকল্পের আওতায় গ্রামে বিদ্যুতের খুঁটি বসানো হয়। খুঁটি থেকে উপভোক্তাদের বাড়ি পর্যন্ত তারও টাঙানো হয়। বাড়িতে-বাড়িতে মিটারও বসানো হয়। কিন্তু ট্রান্সফর্মার না-থাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ পাননি কেউই। পরে এ বছরের গোড়ায় ১০ কেভি-র ট্রান্সফর্মার বসানো হয়। কিন্তু তা চালু হওয়ার পরেই পুড়ে যায় এবং ছ’মাস পেরিয়ে গেলেও সেটি মেরামত করা বা পাল্টানো হয়নি।
গ্রামবাসীর খেদ, বাড়িতে বিদ্যুতের তার আছে, মিটারও আছে। কিন্তু সংযোগ নেই বলে আলো-পাখা চলছে না। অথচ গত ছ’মাস ধরে প্রতি মাসে কান্দরা বিদ্যুৎ দফতর থেকে নিয়ম করে আসছে বিল। গ্রামের নতুন পুকুরপাড়ের বাসিন্দারা এ নিয়ে বিডিও-র কাছেও অভিযোগে জানিয়েছেন, বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকা সত্ত্বেও ২০১১ সালের নভেম্বর থেকে এ রকম বিল আসছে। স্থানীয় স্টেশন ম্যানেজারের কাছে গেলেও তিনি বিল ফেরত নিতে চাননি। স্থানীয় তারা হাজরা, বিভূতি মাঝিদের অভিযোগ, “ছ’মাস কেটে গেলেও সুরাহা হয়নি।” বিপিএল তালিকাভুক্ত ওই পরিবারগুলোর কাছে গড়ে ৭০-৭৫ টাকা বিল আসছে। কয়েক জন আবার বিল জমাও দিয়েছেন। তবে ইতিমধ্যে কেতুগ্রাম-১ ব্লক অফিস থেকে এ ব্যাপারে বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার বর্ধমান আঞ্চলিক দফতরে চিঠি পাঠানো হয়েছে। আঞ্চলিক দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ঠিকাদার গোষ্ঠী বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে বলে শংসাপত্র দিয়েছে। কম্পিউটারে উপভোক্তাদের নামের তালিকাও রয়েছে। তাই এই গণ্ডগোল। বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার কান্দরা শাখার স্টেশন সুপারিন্টেন্ডেন্ট উজ্জ্বল পাল বলেন, “এই এলাকাটি বধর্মান আঞ্চলিক দফতর থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। তবে বিল পাঠানো হয় এখান থেকেই। উপভোক্তারা বিল নিয়ে এলে তা মকুব করে দেওয়া হবে।” |