জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরে চুক্তির ভিত্তিতে অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মীদের নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ্য সরকার। সেই মতো সরকারি নির্দেশে বিভিন্ন পদে অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মীদের মৌখিক পরীক্ষাও নেন জেলা প্রশাসনের কর্তারা। ওই পদগুলিতে অবসরপ্রাপ্তদের বদলে বেকারদের নিয়োগের দাবিতে অতিরিক্ত জেলাশাসকের দফতর ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন যুব কংগ্রেস ও ছাত্র পরিষদের কর্মী সমর্থকেরা। বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টা থেকে ওই বিক্ষোভ হয়। জেলাশাসকের কাছে একটি স্মারকলিপিও পাঠানো হয়েছে। পরে অতিরিক্ত জেলাশাসক সংগঠনের দাবি রাজ্য সরকারের কাছে পাঠানোর আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। অতিরিক্ত জেলাশাসক সোনম ওয়াংডি ভুটিয়া বলেন, “রাজ্য সরকারের নির্দেশেই জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরে অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের নিয়োগের পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। যুব কংগ্রেসের দাবি রাজ্য সরকারের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। রাজ্য সরকার এরপর যেমন নির্দেশ পাঠাবে সেই অনুযায়ী চূড়ান্ত নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করা হবে।” |
প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্য সরকারের নির্দেশে গত ১ মে ৬০ থেকে ৬৪ বছর বয়সী অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মীদের জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরে চুক্তির ভিত্তিতে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি হয়। এদিন দুপুরে চাকরিপ্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষাও নেন প্রশাসনিক কর্তারা। রায়গঞ্জ লোকসভা যুব কংগ্রেস কমিটির সভাপতি মানসকুমার ঘোষ বলেন, “কর্মবিনিয়োগ কেন্দ্রের হিসেব অনুযায়ী জেলায় প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ শিক্ষিত বেকার যুবক যুবতী রয়েছেন। অথচ জেলা প্রশাসন তাঁদের বঞ্চিত করে সরকারি বিভিন্ন পদে চুক্তির ভিত্তিতে অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মীদের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করেছে। বেকারদের স্বার্থে অবিলম্বে জেলা প্রশাসনের কাছে ওই নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল করার দাবি জানিয়েছি। নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করে বেকারদের সুযোগ দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে আমাদের দাবি পূরণ করা না হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য জেলাশাসকের দফতর ঘেরাও করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।” জেলা ছাত্র পরিষদ নেতা প্রসেনজিৎ সাহা জানান, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মীরা অবসরকালীন নানা আর্থিক সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন। তাঁদের বদলে শিক্ষিত বেকারদের চুক্তির ভিত্তিতে চাকরি দিতে রাজ্য সরকারের অসুবিধা হওয়ার কথা নয় বলে তিনি দাবি করেন। |