এক রোগীকে হাসপাতাল থেকে ছাড়ার সময়ে অন্যের চিকিৎসা সংক্রান্ত নথি দেওয়া ও হয়রান করার অভিযোগ উঠল বর্ধমানের একটি বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে। রোগীর আত্মীয়দের অভিযোগ, এর জেরে রোগীকে ছুটি না দিয়ে দীর্ঘক্ষণ আটকে রাখা হয়। বর্ধমানের সিএমওএইচের কাছে এ ব্যাপারে অভিযোগ জানিয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন তাঁরা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের পাল্টা দাবি, অন্যের নথি দেওয়ার ভুল সঙ্গে সঙ্গে শুধরে নেওয়া হলেও রোগীর আত্মীয়েরা গণ্ডগোল পাকানোর চেষ্টা করেন।
দুর্ঘটনায় জখম হয়ে বর্ধমানের বামচণ্ডীপুরে ওই বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন গুসকরার বাসিন্দা সুকান্ত গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর দাদা সুশান্তবাবু অভিযোগ করেন, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা নাগাদ ভাইকে ছুটি দেওয়া হয়। তখন যে কাগজপত্র দেওয়া হয় তাতে অন্য রোগীর নাম ছিল। এই কাগজপত্র অনুযায়ী চিকিৎসার বেশি খরচ নেওয়া হয়েছে দাবি করে টাকা ফেরত চান তাঁরা।
অভিযোগ, হাসপাতালের লোকজন তখন তাঁদের হাত থেকে কাগজপত্র কেড়ে নেন ও দুর্বব্যহার করেন। হাসপাতালে যান গুসকরার পুরপ্রধান চঞ্চল গড়াই। রোগীকে আটকে রেখে দুপুর ২টো নাগাদ ঠিক কাগজপত্র দেওয় হয় বলে অভিযোগ সুশান্তবাবুর।
ওই হাসপাতালের অন্যতম অধিকর্তা কুশানভ পবির অবশ্য দাবি, “পাশের শয্যার রোগীর এক্স-রে রিপোর্ট ভুল করে সুকান্তবাবুর কাগজপত্রের সঙ্গে চলে যায়। তা সঙ্গে সঙ্গে পাল্টেও দেওয়া হয়। কিন্তু তার পরেও রোগীর আত্মীয়েরা গোলমাল পাকানোর চেষ্টা করেন।” সিএমওএইচ দিলীপকুমার মণ্ডল বলেন, “অভিযোগ শুনেছি। তবে লিখিত অভিযোগ আমি হাতে পাইনি। তা পেলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” |