সরকারি প্রকল্পে অ্যাম্বুল্যান্স না পেয়ে হেনস্থা হচ্ছিলেন রোগীরা। দু’সপ্তাহ কেটে গিয়েছে। শেষে সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হতেই নড়েচড়ে বসলেন প্রশাসনের কর্তারা। ‘নিশ্চয় যান প্রকল্প’ অনুযায়ী, প্রসূতি বা তাঁর বাড়ির লোক চাইলেই নিখরচায় অ্যাম্বুল্যান্স জোগানোর কথা স্বাস্থ্য দফতরের। অথচ কেতুগ্রাম-১ ব্লকে সেই ব্যবস্থা শিকেয় উঠেছিল। স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ফোন করা সত্ত্বেও সরকারি অ্যাম্বুল্যান্স আসছিল না। বুধবার ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক অঞ্জন দাস জানিয়েছিলেন, বর্ধমানের এক অ্যাম্বুল্যান্স মালিকের সঙ্গে তাঁদের চুক্তি ছিল। তা শেষ হওয়ার পরে মালিক আর চুক্তি করতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। কাজেই পরিষেবাও দেওয়া যাচ্ছে না।
বৃহস্পতিবার আনন্দবাজার পত্রিকায় সে খবর প্রকাশিত হওয়ার পরেই অবশ্য পরিস্থিতি পাল্টে যায়। দুপুরে কাটোয়ার মহকুমাশাসক দেবীপ্রসাদ করণমের নির্দেশে কেতুগ্রাম ১-এর বিডিও বিনয়কৃষ্ণ বিশ্বাস কান্দরা ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে চিকিৎসক ও কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন। পরে স্থানীয় অ্যাম্বুল্যান্স মালিকদের সঙ্গেও কথা বলে সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করেন। ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সামনেই রোজ বেশ কয়েকটি বেসরকারি অ্যাম্বুল্যান্স দাঁড়িয়ে থাকে এবং রোগীদের বাধ্যবাধকতার সুযোগ নিয়ে চড়া দাম হাঁকে বলে অভিযোগ। এদের উপরে প্রশাসনের কোনও নিয়ন্ত্রণ তো নেই-ই, সরকারি প্রকল্পে যুক্ত হওয়ার জন্য এদের রাজিও করাতে পারেনি প্রশাসন।
ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক অঞ্জনবাবু বলেন, “বিডিও-র সঙ্গে কথার পরে আগের অ্যাম্বুল্যান্সটিকেই চালাতে বলা হয়েছে। দু’এক দিনের মধ্যে চুক্তিও হয়ে যাবে।” এ দিন অবশ্য কোনও লিখিত চুক্তি হয়নি। তবে মহকুমাশাসক বলেন, “পুরোনো অ্যাম্বুল্যান্সটিই চালু করা হয়েছে। এ ছাড়া জরুরি ভিত্তিতে আরও একটি অ্যাম্বুল্যান্স চালু করা হয়েছে। চিকিৎসা পরিষেবা উন্নত করার জন্যও প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।” তবে হাসপাতালের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা বেসরকারি অ্যাম্বুল্যান্স কেন ন্যায্য মূল্যে রোগীরা পাবেন না, তার সদুত্তর এ দিনও মেলেনি। |