টুকরো খবর
গঙ্গা দূষণ নিয়ে প্রশিক্ষণ শিবির শুরু কালনায়
সম্প্রতি গঙ্গা দূষণ নিয়ে কালনা মহকুমার পাটুলি ও কালনা শহরে সচেতনতা শিবিরের আয়োজন করল ইন্দো টিবেটান পুলিশ ফোর্স। শহরের পুরশ্রী মঞ্চে আয়োজিত শিবিরটিতে উপস্থিত ছিলেনএলাকার বিধায়ক বিশ্বজিৎ কুণ্ডু-সহ মহকুমা প্রশাসনের বিভিন্ন আধিকারিক। কীভাবে সারা দেশে গঙ্গার জল দূষিত হচ্ছে, এই দলটি তা ভিডিও ছবির মাধ্যমে তুলে ধরে। কলকারখানার বর্জ্য কীভাবে গঙ্গার জলকে দূষিত করছে, তাও দেখানো হয়েছে ওই শিবিরে। আয়োজকদের তরফে জানানো হয়েছে, ইন্দো-টিবেটান পুলিশের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বিশেষ একটি দল গঙ্গোত্রী থেকে ত্রিবেণী পর্যন্ত জলপথে অভিযান শুরু করেছে। পথের বিভিন্ন জায়গা থেকে গঙ্গা দূষণের ছবি তুলেছে দলটি। ছবিগুলি নিয়েই সচেতনতামূলক প্রচার অভিযান চলছে। কালনার মহকুমাশাসক সুমিতা বাগচি জানান, গঙ্গেত্রী থেকে ত্রিবেণী পর্যন্ত প্রচারাভিযানে পুলিশের ওই দলটি উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, বিহার, ঝাড়খণ্ড ও পশ্চিমবঙ্গ ছুঁয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, “এই উদ্যোগে বহু মানুষ সচেতন হবেন, আশা করা যায়।”

পর্ষদের চিঠি, বন্ধ উৎপাদন
দ্বারিকা শিল্পতালুকে কারখানার ধোঁয়া নিয়েই ক্ষোভ। ছবি: শুভ্র মিত্র।
দূষণ নিয়ন্ত্রক যন্ত্র (ইলেকট্রোস্ট্যাটিক প্রেসিপিটেটর) নিয়মিত চালাতে হবে। কোনও ভাবেই এই নির্দেশ লঙ্ঘন করা যাবে না। দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের এমন কড়া চিঠি পেয়ে উৎপাদনই বন্ধ করে দিল একটি কারখানা। ঘটনাটি বিষ্ণুপুর শহর লাগোয়া দ্বারিকা শিল্প তালুকের একটি ফেরোঅ্যালয় কারখানার। শনিবার থেকে উৎপাদন বন্ধ রেখেছেন কারখানা কর্তৃপক্ষ। কারখানার ডিরেক্টর বিনীত জৈনের দাবি, “বিদ্যুতের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। এই অবস্থায় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্যদ আমাদের দূষণ নিয়ন্ত্রক যন্ত্র ব্যবহারের জন্য নির্দেশ দিয়েছে। তা সম্ভব নয় বলেই উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছি। তবে শ্রমিকরা কাজে আসছেন।” তাঁর অভিযোগ, “দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্যদ এ ভাবে জোরাজুরি করলে ব্যবসা গুটিয়ে ফেলতে হবে।” শ্রম দফতর বিষ্ণুপুরের অতিরিক্ত শ্রম কমিশনার সুভাষ মুখোপাধ্যায় বলেন, “খোঁজ নিয়ে দেখব।” মহকুমাশাসক (বিষ্ণুপুর) অদীপ রায় বলেন, “সরকারি দূষণ নীতি মানার অঙ্গীকার করেই কারখানা গড়ার ছাড়পত্র পেয়েছিল ওই সংস্থা। দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের নির্দেশ মেনেই চলতে হবে কারখানা কর্তৃপক্ষকে।” উল্লেখ্য, ওই শিল্প তালুকের কারখানাগুলি থেকে দীর্ঘদিন ধরে দূষণ বিধি না মেনে এলাকায় বায়ু দূষণ ছড়ানোর অভিযোগে সরব হয়েছেন। দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ কড়া পদক্ষেপ করায় বাসিন্দারা খুশি।

সেগুন কাঠ আটক
শিবমন্দিরে কাঠের দোকানে চোরাই কাঠ পাচারকারীর শেষ পর্যন্ত সন্ধান পেল বন দফতর। বুধবার রাতে শিলিগুড়ির মিলনপল্লি থেকে শিবমন্দিরে কাঠ নিয়ে যাওয়ার সময়ে বৈকুণ্ঠপুর বন দফতরের কর্মীরা একটি গাড়ি আটক করে প্রায় ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা মূল্যের সেগুন কাঠ আটক করেছেন। গাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয় প্রফুল্ল বর্মন এবং জয়ন্ত সরকার নামে দুই ব্যক্তিকে। প্রফুল্লই ডুয়ার্স থেকে চোরাই কাঠ নিয়মিত শিবমন্দিরে পাচার করে বলে জানতে পেরেছেন বনকর্মীরা। আটক গাড়ির দুটি নম্বর প্লেটও উদ্ধার করেন বনকর্মীরা। বৈকুণ্ঠপুরের সারুগাড়ার রেঞ্জ অফিসার স্বপন মাঝি বলেন, “পুরো চক্রটিকে ধরার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। উদ্ধার করা কাঠের একটি অংশ কিসানগঞ্জে পাচার করার মতল ছিল দুষ্কৃতীদের।” শিলিগুড়ি লাগোয়া শিবমন্দিরে গত কয়েক বছর ধরেই একের পর এক ফার্নিচারের দোকান তৈরি হচ্ছে। বন দফতরের অভিযোগ, ওই সমস্ত দোকানের বেশির ভাগেরই প্রয়োজনীয় অনুমতি নেই। কোথা থেকে এত কাঠ সংগ্রহ হচ্ছে তার হিসাব মিলছে না। চোরাই কাঠ ওই সমস্ত দোকানের একাংশে সরবরাহ করা হচ্ছে বলে বন দফতরের কর্তারা সন্দেহ করলেও পাচারকারীদের চিহ্নিত করা যাচ্ছিল না। বুধবার রাতে কাঠ পাচার হতে পারে খবর পেয়ে ডিএফও ধর্মদেব রাইয়ের নির্দেশে বন কর্মীদের দুটি দল চম্পাসারি এবং শিবমন্দিরে নজরদারিতে নামেন। মাটিগাড়ার কাছে গাড়িটি আটক করা হয়।

নদী দূষণের অভিযোগ
—নিজস্ব চিত্র
কালজানির ধারে পড়ে থাকা আবর্জনা নদীর জলে ভাসিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল আলিপুরদুয়ার পুরসভার বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটে শহরের কালজানি সেতুর কাছে। অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নেমে মহকুমাশাসক অমলকান্তি রায় বলেন, “এ দিন শহরের পরিবেশ প্রেমী সংগঠন নেচার ক্লাবের তরফে অভিযোগ জানানো হয়, পুরসভা শ্রমিক লাগিয়ে কালজানি নদীর জলে আবর্জনা ফেলছে। বিষয়টি নিয়ে পুরসভার সঙ্গে কথা বলব।” আলিপুরদুয়ার পুরসভার চেয়ারম্যান দীপ্ত চট্টোপাধ্যায় জানান, এই ঘটনার সঙ্গে পুরসভার যোগাযোগ নেই। এদিন সকালে কালজানি সেতুর কাছে গিয়ে দেখা যায় ১৫-২০ জন শ্রমিক কোদাল নিয়ে নদীর পাড়ে জমে থাকা ময়লার স্তূপ জলে ফেলে দিচ্ছেন। পুরসভার সাফাই কর্মী বলে পরিচয় দিলেও নাম জানাতে চাননি ওই কর্মীরা। আলিপুরদুয়ার নেচার ক্লাবের চেয়ারম্যান অমল দত্ত বলেন, “বুধবার রাতে ডুয়ার্সের বিভিন্ন এলাকায় বর্ষা হওয়ায় নদীতেই জল বেড়ে যায়। আলিপুরদুয়ার পুরসভার বেশ কয়েকজন সাফাই কর্মীকে দিয়ে নদীর পাড়ে দীর্ঘদিন ধরে জমে থাকা আবর্জনা নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে খবর পাই। শহরের নানা ধরনের প্লাস্টিক, রাসায়নিক বর্জ্য এভাবে নদীর জলে সরাসরি ফেলে দেওয়া ক্ষতিকারক। নদীর জলজ উদ্ভিদ, মাছ ও পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে।” আভিভাবক মঞ্চের সম্পাদক ল্যারি বসু বলেন, “নদী দূষণের বিরুদ্ধে আমরা আন্দোলনে নামব।”

পর্ষদের নির্দেশ
কাঁকুড়গাছি একটি রেস্তোরাঁ বন্ধের নির্দেশ দিল রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। বুধবার ওই নির্দেশে সিইএসসি কর্তৃপক্ষকে রেস্তোরাঁর বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতেও বলা হয়েছে। ওই রেস্তোরাঁর জন্য পরিবেশ দূষিত হচ্ছে বলে প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে বাসিন্দারা অভিযোগ জানান। পর্ষদ সূত্রে খবর, অভিযোগ পেয়ে দু’পক্ষকে ডেকে পাঠিয়ে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। রেস্তোরাঁ বন্ধের নির্দেশের প্রতিলিপি পুলিশকেও পাঠানো হয়েছে। রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষের তরফে রাত পর্যন্ত বক্তব্য মেলেনি।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.