|
|
|
|
জামশেদপুরে স্ত্রীর আত্মহত্যা, স্বামী পুলিশ হেফাজতে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
মাস খানেক আগে তিনি পঞ্জাবে বাবাকে ফোন করে বলেছিলেন, “আমি যদি তোমার কাছে গিয়ে থাকি, তাহলে আপত্তি করবে না তো!” বাবা অবশ্যই আপত্তি করেননি। বৃহস্পতিবার জামশেদপুরের এক হাসপাতালে সেই মেয়ে, সুরূপা দাসের (২৫) দেহ ময়নাতদন্ত করা হবে। গত সোমবার জামশেদপুরের শ্বশুরবাড়ি থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে তাঁর দেহ। পাওয়া গিয়েছে সুরূপা-র লেখা সুইসাইড নোটটিও। ওই বয়ান ও তাঁর আত্মীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে সুরূপা-র স্বামীকে গ্রেফতার করেছে ঝাড়খন্ডের পুলিশ।
সুরূপা-র বাবা কমলেন্দু দাশগুপ্ত চাকরি সূত্রে বহুদিনই পঞ্জাবে। সুরূপা-র জন্ম, বেড়ে ওঠা সবই সেখানে। যাদবপুরের বাসিন্দা, পেশায় ইঞ্জিনিয়ার সুদীপ্ত দাসের সঙ্গে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি বিয়ে হয়েছিল সুরূপা-র। জামশেদপুরে চাকরি করেন সুদীপ্ত। বিয়ের পর থেকে তাঁরা জামশেদপুরেই থাকছিলেন। খবর পেয়ে মঙ্গলবার রাতে কলেজ স্ট্রিট থেকে জামশেদপুরে পৌঁছেছেন সুরূপা-র জ্যাঠামশাই অনুপম দাশগুপ্ত। তাঁর অভিযোগ, “সুদীপ্ত-র সঙ্গে অন্য মহিলার সংশ্রব ছিল। এটা সুরূপা জানতে পেরে যায়। শেষ বয়ানে তাই সুরূপা লিখে গিয়েছে: তুমি কেন আমায় মিথ্যা বললে? আমি তোমার উপরে অনেক ভরসা করেছিলাম।’’
গত সোমবার সকাল এগারোটা নাগাদ সুরূপা ফোনে তাঁর মায়ের সঙ্গে কথা বলেন। দুপুরে সুদীপ্ত-র বাবা ফোন করে দেখেন সুরূপা-র মোবাইল ‘সুইচড অফ’। ছেলের সঙ্গে যোগাযোগ করে দেখেন তিনি অফিসে। বিকেলে অফিস থেকে ফিরে বাইরে থেকে ডাকাডাকি করে সাড়া না পেয়ে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে সুদীপ্ত দেখেন সুরূপা-র দেহ সিলিং থেকে ঝুলছে। তিনি সেই দেহ নামিয়ে আনার পরে থানায় ফোন করেন।
বুধবার জামশেদপুরের এসএসপি অখিলেশ ঝা বলেন, “ঘটনার পর পরই মেয়েটির বাড়ির তরফে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। মেয়েটির দেহ যাতে ময়নাতদন্ত হয় এবং তাঁর আত্মীয়দের হাতে তুলে দেওয়া হয় তা দেখার জন্য টেলকো থানাকে বলা হয়েছে।” |
|
|
|
|
|