|
|
|
|
ত্রিপুরায় সিপিএম ও কংগ্রেসের সংঘর্ষ, বন্ধ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আগরতলা |
এক রাজনৈতিক কর্মীর অপহরণ ও খুনকে ঘিরে সিপিএম-কংগ্রেস সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে দক্ষিণ ত্রিপুরার সাব্রুম মহকুমা। সাব্রুমের কালাডেপা এডিসি ভিলেজের বাসিন্দা নরেন্দ্র ত্রিপুরা গত পরশু থেকেই নিঁখোজ ছিলেন। রাতে বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকজন ও প্রতিবেশীরা খোঁজাখুঁজি শুরু করে। অনেক খোঁজাখুজির পর গত কাল রাতে তাঁরা কালাডেপা কৃষিখামারে নরেন্দ্র ত্রিপুরার ক্ষতবিক্ষত দেহ পড়ে থাকতে দেখে। পরে পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। কে বা কারা তাঁকে খুন করল পুলিশ এখনও জানতে পারেনি। তদন্ত চলছে।
এ দিকে, নরেন্দ্র ত্রিপুরার হত্যাকে ঘিরে সিপিএম এবং কংগ্রেস পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে। শুরু হয়েছে চাপান-উতোরের রাজনীতি। গত কাল থেকেই কালাডেপা-সহ মনুবাজার, কলাছড়ার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটে। কংগ্রেস ও সিপিএম, উভয় দলের তরফেই দাবি করা হয়েছে, নিহত নরেন্দ্র ত্রিপুরা তাদের সমর্থক। মহকুমায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার প্রতিবাদ করে এবং দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে গত কালই সাব্রুমের বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল বার করে রাজ্যের বিরোধী দল কংগ্রেস। এবং একই কারণে এলাকায় পাল্টা বিক্ষোভ মিছিল বার করে সিপিএম।
দু’দলের মিছিল থেকে সমর্থকরা ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। আক্রমণ চালায় লাঠিসোটা নিয়েও। উভয় দলের কর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে মোট সাত জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে কংগ্রেসের চারজন এবং সিপিএমের তিন জন সমর্থক রয়েছে। মনুবাজার থানায় দু’টি রাজনৈতিক দলের তরফেই এ বিষয়ে অভিযোগ জানানো হয়েছে বলে জানান ওসি ফিরোজ মিয়া।
এ দিকে, গত কালের সংঘর্ষের প্রেক্ষিতে কংগ্রেস ও সিপিএম, দু’টি দলের ডাকে আজ সাব্রুম মহকুমায় ১২ ঘণ্টার বন্ধ পালিত হয়েছে। মনুবাজার এবং সাব্রুম থানার পুলিশ জানিয়েছে, বন্ধে মহকুমার স্বাভাবিক জনজীবন আজ স্তব্ধ হয়ে যায়। গাড়িঘোড়া সবই বন্ধ ছিল। অফিস-কাছারি, স্কুল, দোকানপাট খোলেনি। শুধু সাব্রুমের মাইকেল মধুসূদন কলেজে পরীক্ষা চলায় তাকে বন্ধের বাইরে রেখেছিল দু’পক্ষই। |
|
|
|
|
|