বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নোনাডাঙার মাঠে গিয়ে উচ্ছেদ হওয়া বস্তিবাসীদের পুনর্বাসনের প্রস্তাব দিলেন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ (ববি) হাকিম। তাঁর বক্তব্য, উচ্ছেদ হওয়া বস্তিবাসীদের মধ্যে যাঁরা প্রকৃতই নিঃস্ব, তাঁদের জন্য আপাতত অন্যত্র অস্থায়ী পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করবে সরকার। পরে নোনাডাঙার মাঠে শহুরে গরিবদের জন্য আবাসন তৈরি হলে তাঁদের স্থায়ী পুনর্বাসনের কথাও ভাবা হবে। তবে বস্তিবাসীদের মধ্যে যাঁদের কোথাও বাড়ি-ঘর আছে, তাঁদের পুনর্বাসনের দায়িত্ব সরকার নেবে না।
প্রসঙ্গত, নোনাডাঙার ওই মাঠ কেএমডিএ-র হাতে। সেখানকার জবরদখলকারী বস্তিবাসীদের একাংশকে গত ৩০ মার্চ উচ্ছেদ করা হয়। ওই বস্তিবাসীরা ‘উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটি’ গড়ে পুনর্বাসনের দাবিতে আন্দোলন চালাতে থাকেন। বস্তি পুনর্গঠন করে ফের সেখানেই থাকতেও শুরু করেন তাঁরা। পুনর্বাসনের দাবিতে তাঁরা আজ, শুক্রবার করুণাময়ী থেকে কেএমডিএ দফতর পর্যন্ত মিছিল করবেন। কিন্তু মন্ত্রীর প্রতিশ্রুতির পরে আর মিছিলের যৌক্তিকতা কী? কমিটির নেতা অমিতাভ ভট্টাচার্য বলেন, “মন্ত্রী উচ্ছেদ হওয়া বস্তিবাসীদের পুনর্বাসনের জন্য তিনটি শর্ত দিয়েছেন। তাঁদের কমিটির ব্যানার ছাড়তে হবে, আমাদের মতো বিভিন্ন বামপন্থী দলের লোকদের তাড়াতে হবে এবং তৃণমূল করতে হবে। বস্তিবাসীরা শর্তগুলি মানছেন না। তাঁরা নিঃশর্ত পুনর্বাসনের দাবিতে মিছিল করবেন।”
মন্ত্রীর অবশ্য দাবি, তিনি কোনও শর্ত দেননি। তবে ‘বহিরাগত বিচ্ছিন্নতাবাদী’দের বদলে স্থানীয় বস্তিবাসীদের সমিতির সঙ্গেই যে উচ্ছেদ হওয়া মানুষদের থাকা উচিত, সে কথা বলেছেন। ফিরহাদের কথায়, “আমাদের ওখানে স্থানীয় সমিতি, বাসিন্দাদের সংগঠন আছে। তারাই খতিয়ে দেখবে, উচ্ছেদ হওয়া বাসিন্দাদের মধ্যে কাদের কোথাও মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই। সুতরাং, উচ্ছেদ হওয়া মানুষদের ওই সমিতিগুলির সঙ্গেই থাকা উচিত। বাইরের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে ঘোরা ঠিক নয়।” মন্ত্রী স্মরণ করিয়ে দেন, যাঁরা নতুন করে ওই মাঠে এসে বস্তি গড়ে থাকছেন, তাঁদের সরকার সমর্থন করে না। তবুও ‘মানবিকতা’র খাতিরে তাঁদের পুনর্বাসনের কথা ভাবা হচ্ছে। মিছিলের কর্মসূচির কথা জেনে মন্ত্রীর হুঁশিয়ারি, “লোকেরা আমাদের দিকে চলে এসেছেন। বাইরের লোক নিয়ে মিছিল করলে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।” |