টুকরো খবর
এগিয়ে থেকেও সিটুর প্রভাব খর্ব সিইএসসি-তে
সিইএসসি-র ইউনিয়ন নির্বাচনে দাপট খর্ব হল সিটুর। তবে মূল শক্তি হিসাবে থেকে গেল তারাই। কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় এ বার সিটুর পাশাপাশি ডাক পাওয়ার অধিকারী হল তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি। কর্তৃপক্ষের সঙ্গে শ্রমিক পক্ষের আলোচনার অধিকার (বার্গেনিং এজেন্ট) কারা পাবে, তা ঠিক করার জন্য সিইএসসি-তে নির্বাচন ছিল বৃহস্পতিবার। রিটার্নিং অফিসার মনীষা ভট্টাচার্য জানান, সিটু পেয়েছে প্রায় ৪৪.২% ভোট। আইএনটিটিইউসি পেয়েছে ৪০.২% ভোট। এআইটিইউসি এবং আইএনটিইউসি-র প্রাপ্ত ভোট ১০%-এর নীচে। রিটার্নিং অফিসারের বক্তব্য, ৫০%-এর বেশি ভোট না-পাওয়ায় কেউ এ বার ‘সোল বার্গেনিং এজেন্ট’ হল না। তার বদলে ‘বার্গেনিং কাউন্সিল’ তৈরি হল। যারা প্রাপ্ত ভোটের মধ্যে বেশি পেয়েছে (অর্থাৎ সিটু এবং আইএনটিটিইউসি), তাদের ‘প্রিন্সিপাল বার্গেনিং এজেন্ট’ বলা হবে। আইএনটিটিইউসি-র নেতা শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আট বছর ধরে সিটু-প্রভাবিত ওয়ার্কমেন্স ইউনিয়ন একক ভাবে ‘নেগোশিয়েটিং এজেন্ট’ ছিল। পরিবর্তনের জোয়ারে ওরা একক ভাবে আলোচনা করার অধিকার হারিয়েছে। আমাদের শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন আলোচনায় বসার অধিকার অর্জন করল।”

মন্ত্রীর সাধের মাছ ফের চুরি
প্রথম বার মাছ চুরি গিয়েছিল মাসখানেক আগে। মহাকরণে আবার মাছ চুরি হল কৃষি বিপণন মন্ত্রী অরূপ রায়ের ঘরের অ্যাকোয়ারিয়াম থেকে। মন্ত্রীর নির্দেশে তদন্তে নেমেছে কলকাতা পুলিশ। নড়েচড়ে বসেছে তাঁর সচিবালয়ও। প্রথম বার মাছ চুরির বিষয়টিকে হাল্কা ভাবে নিয়েছিলেন মন্ত্রী। কিন্তু এ বার মাছচোর ধরার জন্য মহাকরণের দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসারকে ডেকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। তদন্তে নেমে সাদা পোশাকের পুলিশ মন্ত্রীর ঘরের উপরে নজরদারি শুরু করছে। চলতি সপ্তাহে কৃষি বিপণন মন্ত্রী দিল্লি গিয়েছিলেন আম-লিচু বিক্রির একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে। ফিরে তিনি দেখেন, তাঁর ঘরের অ্যাকোয়ারিয়াম থেকে একটি দামি রঙিন মাছ উধাও। সচিবালয়ের অফিসার ও কর্মীদের কাছে খোঁজখবর করেন তিনি। তাঁরা মাছের ব্যাপারে কোনও তথ্য দিতে পারেননি। তার পরেই মহাকরণের দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসারকে ডাকেন মন্ত্রী। সবিস্তার তদন্ত করে রিপোর্ট দিতে বলেন।

ধৃত গাড়িচালক
দশ-বিশ টাকার বিনিময়ে কোর্ট লক-আপে বন্দিদের সিগারেট-সহ নেশার দ্রব্য পৌঁছে দিত বিচারকের গাড়িচালক। সেখান থেকেই অস্ত্র পাচার চক্রের সঙ্গে যোগসাজশ গড়ে ওঠে। বৃহস্পতিবার শিশির রানা ওরফে দুর্গ নামে সেই গাড়িচালক ধরা পড়েছে। পুলিশ জানায়, শিশির ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টের দুই বিচারকের গাড়ি চালাত। তদন্তকারীদের দাবি, বড় বড় দুষ্কৃতীদলের থেকে গুলি-বন্দুক নিয়ে দক্ষিণ শহরতলির দুষ্কৃতীদের কাছে পৌঁছনোর ব্যবসা ফেঁদেছিল সে। পুলিশ জানায়, সম্প্রতি অস্ত্র পাচারের অভিযোগে ধরা পড়া বেহালার দুই যুবকের থেকে শিশিরের খোঁজ মেলে। এ দিন বেহালা থানার ওসি-র নির্দেশে দুই অফিসার সব্যসাচী রায় ও স্বপন মণ্ডলের নেতৃত্বে একটি দল শিশিরের বাড়িতে হানা দেয়। তার কাছে ওয়ান শটার ও কার্তুজ মেলে। এ দিন ধৃতকে আদালতে তোলা হয়।

বচসার জেরে পেটে ছুরি, যুবক পাকড়াও
চুরির অভিযোগ নিয়ে বচসা বেধেছিল। তার জেরে এক যুবক বৃহস্পতিবার বড়বাজারে এক ঠেলাওয়ালার পেটে ছুরি ঢুকিয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ। মুন্না বর্মা নামে ওই যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। পেশায় ঠেলাওয়ালা প্রকাশ দে গুরুতর আহত অবস্থায় মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি। পুলিশ জানায়, প্রকাশ বড়বাজারে এবং মুন্না শিয়ালদহ এলাকায় ফুটপাথে থাকেন। পুলিশ জেনেছে, ছেঁড়া টাকা বদলাতে মুন্না বড়বাজার যান এবং রাতে ফুটপাথে প্রকাশের পাশেই ঘুমিয়ে পড়েন। সঙ্গে ছিলেন বিশ্বনাথ রাঠৌর নামে প্রকাশের এক বন্ধু। বৃহস্পতিবার সকালে উঠে বিশ্বনাথ তাঁর মোবাইল খুঁজে পাননি। মুন্না পুলিশকে জানান, প্রকাশ ও বিশ্বনাথ তাঁকে ফোন চুরির অপবাদ দেওয়ায় বচসা হয়। মুন্না তার পরেই প্রকাশের পেটে ছুরি ঢুকিয়ে দেন বলে অভিযোগ।
 
 
 


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.