নিজস্ব সংবাদদাতা • শান্তিনিকেতন |
বিশ্বভারতী ঘুরে দেখলেন শ্রীলঙ্কার শ্রীপল্লে কলেজের প্রাক্তনীদের এক প্রতিনিধিদল। ১৯৩৪ সালে শ্রীলঙ্কা সফরের সময় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ওই কলেজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন। শ্রীপল্লে কলেজে এখনও আলাদা গুরুত্ব রয়েছে রবীন্দ্রনাথের পল্লি সংগঠন ও পুনর্গঠন ভাবনার। বিশ্বভারতী সূত্রে জানানো হয়েছে, রবীন্দ্রনাথের শিক্ষাভাবনাকে সামনে রেখে সার্ক-গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির সঙ্গে পারস্পরিক সম্পর্ক বাড়ানোর লক্ষ্যে বিশ্বভারতীকে সেতু করতে চাইছে ভারত সরকার। তার সূত্রেই শ্রীলঙ্কার এই প্রতিনিধিদলের এ দিনের শান্তিনিকেতন আগমণ। |
রবীন্দ্রনাথের হাতে গড়া শান্তিকেতনকে দেখে স্বভাবতই খুশি ওই কলেজের ৩১ জন প্রাক্তনী। চাক্ষুস করতে চাইছেন, শান্তিনিকেতন ও শ্রীনিকেতনের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিল্প, কলা, সঙ্গীত ও পল্লিভাবনা। এ দিন তাঁরা রবীন্দ্রভবন, সঙ্গীতভবন ও কলাভবন ঘুরে দেখেন। পাশাপাশি বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ তাঁদের জন্য উত্তরায়ণের উদয়ন গৃহে আয়োজন করেছিলেন রবীন্দ্রনাথের নৃট্যনাট্য ‘শাপমোচন’। প্রতিনিধি দলের সঙ্গে এসেছিলেন শ্রীপল্লে কলেজের প্রাক্তন ছাত্র বীরসেনা গুণতিলকে। তিনি আবার বিশ্বভারতীরও প্রাক্তন ছাত্র (১৯৫১-৫৫)। তাঁর কথায়, “বর্তমান বিশ্বভারতী কেমন করে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শিক্ষাদর্শ ও ভাবনাকে তুলে ধরছে, আমরা সেটা দেখতে এসেছি। রবীন্দ্রভাবনায় অনুপ্রাণিত শ্রীপল্লে কলেজেও আমরা সেই রূপ দেওয়ার চেষ্টা করব।”
এ দিন উপাচার্য সুশান্ত দত্তগুপ্ত ওই প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন। বিশ্বভারতীর মুখপাত্র অমৃত সেন বলেন, “শুধু শ্রীলঙ্কাই নয়, সার্ক-গোষ্ঠীভুক্ত অন্যান্য দেশগুলির সঙ্গেও ভারতের সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করতে আগামী দিনে বিশ্বভারতী অগ্রণী ভূমিকা নেবে। রবীন্দ্রনাথের আদর্শ, শিক্ষাভাবনা ও সংস্কৃতিকে পাথেয় করে শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। উপাচার্য সুশান্ত দত্তগুপ্তও বিষয়টি নিয়ে উদ্যোগী হয়েছেন।” অমৃতবাবু জানিয়েছেন, আগামী দিনে দেশগুলির মধ্যে ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষকশিক্ষিকা আদান-প্রদানের বিষয় নিয়ে প্রয়োজনীয় প্রস্তাব পেলে বিশ্বভারতী আনুষঙ্গিক সিদ্ধান্ত নেবে। |