নয়া চেয়ারম্যান কে, ধূপগুড়িতে জল্পনা
নিজস্ব সংবাদদাতা • ধূপগুড়ি |
নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরে আট দিন কাটলেও ধূপগুড়ি পুরসভার নয়া চেয়ারম্যান কে হবেন তা নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি তৃণমূল। বিতর্ক এড়াতে স্থানীয় নেতৃত্ব উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব কী সিদ্ধান্ত নেন সে দিকে তাকিয়ে রয়েছেন। ২০০২ সালে পুরসভার প্রথম নির্বাচন থেকে টানা ১০ বছর ধূপগুড়িতে জিতে আসছিল সিপিএম। গত ৩ জুন নির্বাচন হয়। ১৬ টি আসনের মধ্যে ১১টিতে জয়ী হয় তৃণমূল। বিপুল জয়ের পরে দলীয় মহলে চার কাউন্সিলরের নাম সম্ভাব্য চেয়ারম্যান হিসাবে এলাকার আড্ডায়, পানের দোকান, চায়ের দোকানে আলোচনা হচ্ছে। তাঁরা হলেন ১০ নম্বর ওয়ার্ডের জয়ী কাউন্সিলর অরূপ দে, ৭ নম্বর ওয়ার্ডের জয়ী কাউন্সিলর শৈলেনচন্দ্র রায়, ১২ নম্বর ওয়ার্ডের মুনমুন বসু এবং ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কৃষ্ণা রায়। অরূপবাবু কলেজ জীবন থেকে ডানপন্থী ছাত্র রাজনীতি করে আসছেন। জন্মলগ্ন থেকে তিনি তৃণমূল করে আসছেন বলে অনুগামীদের দাবি। শৈলেনবাবু শিক্ষকতা করেন। এ বার কোনও মহিলা কাউন্সিলরকে চেয়ারম্যান করে হলে বাকি দু’জনের কারও নাম আসতে পারে বলে জল্পনা। এর মধ্যে কৃষ্ণা দেবী এলাকায় পরিচিত মুখ। দীর্ঘদিন তৃণমূল করছেন। মুনমুন বসু’রও এলাকায় যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে বলে অনুগামীদের দাবি। দলের ধূপগুড়ি টাউন ব্লক সভাপতি গোপাল মুখোপাধ্যায় বলেন, “কে চেয়ারম্যান হবেন তা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী ঠিক করবেন। স্থানীয় স্তরে চেয়ারম্যানের নাম চূড়ান্ত হবে না।” তবে যিনিই চেয়ারম্যান হোন, বিজয় মিছিল করা হবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল। কলকাতা থেকে শিল্পী এনে উৎসব করা হতে পারে। রাজ্য যুব তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী বলেন, “এলাকাবাসীকে আমন্ত্রণ করে মাঠে উৎসব হবে।” |
উপাচার্যকে ক্ষোভ জানালেন নেতারা
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
কর্মরত শিক্ষক শিক্ষিকাদের বিএড প্রশিক্ষণের ব্যাপারে নয়া সরকারি নির্দেশিকা নিয়ে তাঁদের ক্ষোভের কথা উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সমীর কুমার দাসের কাছে পৌঁছে দিলেন এবিটিএ নেতারা। মঙ্গলবার সংগঠনের দার্জিলিং, কোচবিহার ও জলপাইগুড়ি জেলা কমিটির পক্ষে এবিটিএ নেতা তমাল চন্দ, মনোরঞ্জন ভদ্র এবং বিশ্বনাথ দত্ত উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করেন। তাঁদের অভিযোগ, রাজ্য শিক্ষা দফতর সম্প্রতি কর্মরত শিক্ষকদের মাধ্যমে বিএড প্রশিক্ষণের নির্দেশ দিয়েছেন। এবিটিএর বক্তব্য, ওই নির্দেশ মানা যায় না। অবিলম্বে নির্দেশ প্রত্যাহার করতে হবে। কেননা, সরকারি ওই নির্দেশের জেরে উত্তরবঙ্গের এই তিন জেলায় কর্মরত শিক্ষকদের ভর্তির আবেদনপত্র দেওয়া হচ্ছে না। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, উপাচার্য এবিটিএ নেতাদের বক্তব্য শিক্ষা দফতরের কর্তাদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। পাশাপাশি, সরকারি নির্দেশ মেনেই যে বিশ্ববিদ্যালয় চলবে সে কথাও জানিয়ে দিয়েছেন। এবিটিএর দার্জিলিং জেলা সভাপতি বিশ্বনাথ দত্ত বলেন, “রাজ্য সরকারের ওই নির্দেশ কর্মরত শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের মান নিয়েই সংশয় সৃষ্টি করবে। সেই জন্যই নির্দেশ প্রত্যাহারের দাবি তোলা হয়েছে। উপাচার্য যথাযথ পদক্ষেপ করবেন বলে আমরা আশা করছি।” |
পুর এলাকাতেই দফতরের দাবি
নিজস্ব সংবাদদাতা • মালবাজার |
পুর এলাকার মধ্যেই মহকুমা শাসকের দফতরের দাবিতে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেবের সঙ্গে দেখা করলেন মালবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান সুপ্রতীম সরকারের নেতৃত্বে শহরের কাউন্সিলররা। সম্প্রতি মালবাজার মহকুমা প্রশাসনের দফতর পুর এলাকার বাইরে স্থানান্তর করার প্রশাসনিক উদ্যোগ নেওয়া হয়। প্রশাসনিক কাজের অসুবিধার কথা মাথায় রেখে এতে বিভিন্ন মহল থেকে আপত্তি তোলা হয়। পুরসভার বোর্ড মিটিঙেও এর প্রতিবাদ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মঙ্গলবার শিলিগুড়িতে মন্ত্রীকে ১৫ জন কাউন্সিলরের সই সম্বলিত স্মারকলিপিও দেওয়া হয়। একই ভাবে জেলাশাসক স্মারকী মহাপাত্রের সঙ্গে দেখা করে ওই দাবি জানানো হয়েছে। পুরসভার বিরোধী দলনেত্রী কংগ্রেস কাউন্সিলর সুলেখা ঘোষাও উপস্থিত ছিলেন। চেয়ারম্যান জানান, শহরের জেলা পরিষদের ডাকবাংলো ময়দান ফাঁকা পড়ে রয়েছে। সেখানেই যাতে মহকুমা শাসকের দফতর সহ প্রশাসনিক দফতর গড়ে তোলা হয় তার দাবি জানানো হয়েছে। |
দুর্নীতির অভিযোগ
নিজস্ব সংবাদদাতা • ফাঁসিদেওয়া |
রাস্তা সংস্কারে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে সিপিএম পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে ফাঁসিদেওয়ার ঘোষপুকুর গ্রাম পঞ্চায়েতে। তৃণমূলের তরফে ওই অভিযোগ করে সোমবার উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী, শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদ ও ফাঁসিদেওয়া বিডিও’র কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। প্রধান ললিতা রায় অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, “সরকারি নিয়ম মেনে কাজ হয়েছে। তদন্ত করে যে কেউ বিষয়টি খতিয়ে দেখতে পারে।” তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি তরুণীকুমার সিংহ জানান, বিধায়কের কোটায় ৫ লক্ষ টাকা ব্যায়ে ফৌদিগছ থেকে গতিজোত পর্যন্ত পাকা রাস্তা করা হবে বলে প্রধান একটি প্রস্তাব দেন। টাকাও বরাদ্দ হয়। প্রধান নিজের খেয়াল খুশি মত কাজ করছেন। নিম্নমানের কাজ হয়েছে। ফাঁসিদেওয়ার বিডিও বাদশা ঘোষাল অভিযোগ খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন। |
ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত
নিজস্ব সংবাদদাতা • মালবাজার |
ওদলাবাড়িতে ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু হল এক গৃহবধূর। মঙ্গলবার দুপুরে ঘিস নদী লাগোয়া এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। মৃতার নাম কৃষ্ণা সরকার (২৬)। তাঁর বাড়ি ওদলাবাড়ির চেল কলোনিতে। রেললাইন লাগোয়া একটি দোকানে ৪ বছর বয়সী ছেলেকে বসিয়ে তিনি রেল লাইনের দিকে যান। তার পরে তাঁর দেহটি দেখতে পান সাধারণ মানুষ। দেহটি দেহটি দীর্ঘক্ষণ লাইনে পড়েছিল বলে বাসিন্দাদের অভিযোগ। শিলিগুড়ি থেকে আলিপুরদুয়ারগামী মালগাড়িতে ওই মহিলার মৃত্যু হয়। |