ভাতার দাবিতে মঙ্গলবার পুরুলিয়া ১ ব্লকের চাকদায় জনগণনা বিভাগে কর্মীদের বাইরে বের করে দিয়ে তালা ঝুলিয়ে দেন জনগণনার কাজে যোগ দেওয়া চুক্তিবদ্ধ কর্মীরা। পরে তাঁরা অবস্থান-বিক্ষোভের পাশাপাশি বকেয়া মেটানোর দাবিতে দফতরের দেওয়ালে পোস্টারও দেন। আন্দোলনকারী মিঠুন চৌধুরী, শ্রীধর পরামানিকরা বলেন, “আমরা বাড়ি বাড়ি ঘুরে ফেব্রুয়ারি মাস থেকে মার্চ মাসের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত জনগণনা সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করেছি। একটি বেসরকারি সংস্থার হয়েই মোট ৬৩ জন কর্মী গোটা ব্লক ঘুরে এই কাজ করেছি।” তাঁদের ক্ষোভ, “এই কাজের জন্য ওই সংস্থা আমাদের ৯ হাজার করে ভাতা দেবে বলে জানিয়েছিল। কিন্তু গত ২৫ মার্চ কাজ শেষ হলেও আমরা আজও টাকা পাইনি। |
একাধিকবার ওই সংস্থার কর্মীর সঙ্গে কথা বলেছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতেই তালা ঝুলিয়েছি।” এই কাজের দায়িত্বে থাকা ওই সংস্থার পক্ষে সঞ্জয় কুণ্ডু বলেন, “কিছুদিন আগে জনগণনা সংক্রান্ত যে কাজ হয়েছে সেই তথ্য যাচাইয়ের পাশাপাশি তা সংশোধন ও সংযোজনের জন্য চুক্তিবদ্ধ কর্মীদের দিয়ে ফের নতুন করে এই কাজ করানো হয়। তাঁরা যে তথ্য তুলে এনেছেন তা প্রযুক্তির মাধ্যমে দিল্লিতে পাঠানো হবে। সেখান থেকে সবুজ সঙ্কেত এলেই তাঁদের টাকা দিয়ে দেওয়া হবে।” কর্মীদের অভিযোগ, অন্য ব্লকে চুক্তিবদ্ধ কর্মীদের টাকা মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে। সঞ্জয়বাবু বলেন, “কাশীপুর বা হুড়া ব্লকের কর্মীদের ভাতার টাকা দেওয়া হয়েছে। পুরুলিয়া ১ ও পাড়া ব্লকে এই টাকা দেওয়া হয়নি।” জেলার জনগণনা দফতরের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক অভীক চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আমি ঘটনাটি শুনেছি। কেন ওই কর্মীরা তাঁদের প্রাপ্য পাননি তা নিয়ে আমি পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের সঙ্গে কথা বলব।” |