ডাকাতি করতে এসে দুষ্কৃতীরা তাঁর ছেলের বুকে রিভলভার ঠেকানোয় প্রচণ্ড ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন ভগীরথ সরকার। ভয়ে চিৎকার করে প্রতিবেশীদের ডাকতে গিয়ে দুষ্কৃতীদের গুলিতে গুরুতর জখম হন তিনি। এ দিকে চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে আসায় বেগতিক বুঝে কয়েক হাজার টাকা, মোবাইন ফোন, টর্চ লাইট ও সামান জিনিসপত্র নিয়েই চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভগীরথবাবুকে বসিরহাট মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। সোমবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের গাছা-আখাড়পুর পঞ্চায়েতের মুকুন্দকাটি গ্রামের সরকারপাড়ায়। ভগীরথবাবুর ভাই রবীন্দ্রনাথবাবুর অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। দুষ্কৃতীদের ধরতে জোর তল্লাশি চলছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। |
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মুকুন্দকাটি গ্রামের একেবারে শেষ প্রান্তে মাঠের ধারে সরকার পাড়ার ভগীরথবাবুর বাড়ি। প্রচণ্ড গরমের কারণে ওই দিন রাত ১২টা নাগাদ ভগীরাথবাবু বাড়ির বাইরে চেয়ার নিয়ে বসেছিলেন। ভগীরথবাবুর কাছে জানায় যায়। বসে থাকতে থাকতে তিনি এক সময় ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। হঠাৎ প্রচণ্ড ধাক্কায় তাঁর ঘুম ভেঙে যায়। চোখ মেলে তিনি দেখতে পান তাঁকে ঘিরে রয়েছে কালো কাপড়ে মুখ ঢাকা জনা পাঁচেক লোক। তারা তাঁর কপালে রিভলভার ঠেকিয়ে তাঁকে বাড়ির ভিতরে নিয়ে যায়। সেখানে সামনের ঘরে শুয়েছিল ভগীরথবাবুর বড় ছেলে পঙ্কজ। এ বছরই সে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছে। চিৎকার করলে তাঁকে গুলি করবে বলে হুমকি দিয়ে দুষ্কৃতীরা ভগীরথবাবুকে দরজা খোলার জন্য ছেলেকে ডাকতে বলে। বাবার ডাক শুনে পঙ্কজ দরজা খুলতেই দুষ্কৃতীরা তার বুকে রিভলবার ঠেকিয়ে গুলি করার হুমকি দিয়ে বাড়ির ভিতরে নিয়ে যায়। তার পর অবাধে লুঠপাট শুরু করে। এদিকে ছেলের বুকে রিভলভার ঠেকিয় রাখায় দুষ্কৃতীরা তাকে তুলে নিয়ে যেতে পারে এই ভয়ে চিৎকার করে প্রতিবেশীদের ডাকতে থাকেন ভগীরথবাবু। ভগীরথবাবুর চিৎকার শুনে আশপাশের বাড়ির লোকজন ছুটে এলে দুষ্কৃতীরা বেগতিক বুঝে গুলি ছুঁড়তে থাকে। সেই গুলি ডান কাঁধে লাগলে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন ভগীরথবাবু। ইতিমধ্যে আরও লোকজন জড়ে হতে থাকলে দুষ্কৃতীরা সামান্য কিছু জিনিসপত্র ও কয়েক হজার টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। |
মঙ্গলবার হাসপাতালে শুয়ে ভগীরথবাবু জানান, পাড়ায় একজনের জমি বিক্রি করার কথা ছিল। মনে হয় সেই কারণেই টাকার জন্য দুষ্কৃতীরা এসেছিল। কিন্তু আমাকে সেই লোক ভেবে ভুল করে।”
|