সমুদ্র-বন্দর নিয়ে রাইটসের চূড়ান্ত রিপোর্ট এ মাসেই
সাগরদ্বীপে গভীর সমুদ্র-বন্দর গড়তে কোনও সমস্যা নেই বলেই প্রাথমিক রিপোর্টে জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় সমীক্ষক সংস্থা ‘রাইটস’। সমীক্ষার ভিত্তিতে ওই প্রকল্পের চূড়ান্ত রিপোর্ট চলতি মাসের শেষেই কলকাতা বন্দর-কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেবে তারা। প্রকল্পের সম্ভাবনা ঠিক কতটা, তার সবিস্তার উল্লেখ থাকবে সেই রিপোর্টে। রাইটসের চূড়ান্ত রিপোর্ট পাওয়ার পরেই বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ওই প্রকল্প গড়ে তোলার ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
কলকাতা বন্দরের চেয়ারম্যান মণীশ জৈন মঙ্গলবার জানান, রাইটস মে মাসে গভীর সমুদ্র-বন্দর প্রকল্পের সম্ভাবনা-ভিত্তিক প্রাথমিক একটি রিপোর্ট তৈরি করে দিয়েছে। তাতে সাগরদ্বীপে বন্দর গড়ার ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা নেই বলে জানিয়েছে তারা। এ মাসের শেষে চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা পড়লেই প্রকল্পের নকশা তৈরির কাজে হাত দেওয়া হবে।
পশ্চিমবঙ্গের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং শিল্পায়নের স্বার্থে সাগরে ওই বন্দর গড়তে আগ্রহী রাজ্য সরকারও। এমনকী প্রকল্পে অংশীদার হিসেবে থাকতেও সরকার রাজি বলে মহাকরণ সূত্রের খবর। সম্প্রতি সাগরে একটি সরকারি অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, রাজ্যের স্বার্থেই সাগরে সমুদ্র-বন্দর গড়ে তোলা হবে। বন্দর-কর্তৃপক্ষ সূত্রের খবর, প্রকল্পটি নিয়ে রাজ্য ও কেন্দ্রের মধ্যে জোর আলোচনা চলছে। জৈন বলেন, “আমরা এমন একটা মডেলের কথা ভাবছি, যাতে আর্থিক এবং প্রযুক্তিগত সব রকম বাধা কাটিয়ে খুব দ্রুত এই প্রকল্পের কাজ শুরু করা যায়। পশ্চিমবঙ্গ-সহ পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির স্বার্থেই এই বন্দরটি জরুরি।”
হলদিয়া বন্দরের নাব্যতা কমে যাওয়ায় বেশ কয়েক বছর আগেই সাগরে বন্দর গড়ার পরিকল্পনা করেন কলকাতা বন্দর-কর্তৃপক্ষ। কারণ ওই অঞ্চলে জলের গভীরতা অনেক বেশি। ফলে পণ্যবাহী ভারী জাহাজ চলাচলে কোনও সমস্যা হবে না বলেই মনে করছেন বন্দর-কর্তৃপক্ষ। আর এই প্রকল্প গড়ার ক্ষেত্রে জমি অধিগ্রহণেরও কোনও প্রয়োজন নেই। স্থলভূমি থেকে কিছুটা দূরে যেখানে প্রকল্পের এলাকা চিহ্নিত করা হয়েছে, সেখানে মাটি ফেলে ভরাট করে বন্দর গড়ার উপযুক্ত শক্ত ‘প্ল্যাটফর্ম’ তৈরি করা হবে। জমি তৈরিতে কমপক্ষে ১১০০-১২০০ কোটি টাকা খরচ হবে বলে বন্দর সূত্রের খবর। প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে, সাগরের মায়া গোয়ালিনি ঘাট থেকে কিছুটা দক্ষিণে গড়ে উঠবে গভীর সমুদ্র-বন্দর। সেখানে কলকাতা বন্দরের ‘লাইটহাউস’ বা বাতিঘর রয়েছে। ওই জায়গাটিই সমুদ্র-বন্দর তৈরির উপযুক্ত হবে বলে জানিয়েছে রাইটস।
জৈনের দাবি, জমি অধিগ্রহণের থেকে জলাজমি ভরাট করে তার উপরে বন্দর গড়া বেশি সহজ। সে-ক্ষেত্রে প্রকল্পের নকশা অনুযায়ী জমি তৈরি করা যায়। অন্যান্য রাজ্যেও এই ভাবে বন্দর গড়ে তোলা হয়েছে বলে জানান জৈন।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.