|
|
|
|
বিড়ম্বনায় সিপিএম নেতৃত্ব |
হাড়দার নতুন প্রধান ঝাড়খণ্ডী সমীর কিস্কু |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
দিন দশেক আগে বেলপাহাড়ির হাড়দা পঞ্চায়েতের সিপিএম-প্রধান বিকাশচন্দ্র মণ্ডলকে সিপিএমের সমর্থনেই অপসারণ করেছিলেন ঝাড়খণ্ডীরা। মঙ্গলবার ফের সিপিএম সদস্যদের একাংশের সমর্থনেই নতুন প্রধান হলেন ঝাড়খণ্ড পার্টি (নরেন)-এর সমীর কিস্কু। এ দিন প্রধান-পদে সিপিএম আলাদা প্রার্থী দিলেও এবং প্রাক্তন প্রধান বিকাশবাবু সেই প্রার্থীকেই সমর্থন করলেও হেরে যান সিপিএমের সেই ‘অফিসিয়াল’ প্রার্থী। সিপিএমের একাংশ সমর্থন করেন ঝাড়খণ্ডী সমীরবাবুকেই। এতে বিড়ম্বনা বেড়েছে সিপিএম নেতৃত্বের।
গত ৩১ মে অনাস্থার ভোটাভুটিতে অপসারিত হন বিকাশবাবু। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে হাত মিলিয়ে উন্নয়নের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে বিকাশবাবুকে আগেই দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল বলে সিপিএমের দাবি। হাড়দা পঞ্চায়েতের মোট ১২ জন সদস্যের মধ্যে ৫ ঝাড়খণ্ডী সদস্য বিকাশবাবুর বিরুদ্ধে অনাস্থা-প্রস্তাব এনেছিলেন। সিপিএমের ৫ সদস্যও তখন সে-প্রস্তাব সমর্থন করেন। তাতে অবশ্য বিশেষ আপত্তির কিছু দেখেননি সিপিএম নেতৃত্ব।
মঙ্গলবার নতুন প্রধান নির্বাচনের জন্য বেলপাহাড়ির যুগ্ম-বিডিও শুভব্রত চক্রবর্তীর পৌরোহিত্যে সভা ডাকা হয়। উপস্থিত ছিলেন ১১ জন সদস্য (সিপিএম-৫, ঝাড়খণ্ডী-৫ ও বিকাশবাবু। অনুপস্থিত ছিলেন এক নির্দল সদস্য)। ঝাড়খণ্ডীরা সমীর কিস্কুর নাম প্রস্তাব করেন। সিপিএমের অফিসিয়াল প্রার্থী ছিলেন নয়ন প্রতিহার। ৭-৪ ভোটে নির্বাচিত হন সমীরবাবু। ৫ ঝাড়খণ্ডী সদস্য ও ২ সিপিএম সদস্য সমীরবাবুর পক্ষে ভোট দেন। অন্য দিকে, সিপিএমের ৩ জন এবং বিকাশবাবু নয়নবাবুকে ভোট দেন।
বিকাশবাবুর কথায়, “দলীয় নেতৃত্ব ঝাড়খণ্ডীদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে আমাকে প্রধান-পদ থেকে সরালেও আমি দলের প্রতি অনুগতই আছি। তাই নয়নবাবুকেই ভোট দিয়েছি।” কিন্তু দলের একাংশ যে ভাবে নয়নবাবুর বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন তাতে অস্বস্তিতে সিপিএম নেতৃত্ব। সিপিএমের বেলপাহাড়ি জোনাল-সম্পাদক উদ্ধব মাহাতো অবশ্য আগেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন, তাঁদের দু’একজন সদস্যকে ঝাড়খণ্ডীরা ‘চাপ দিয়ে’ নিজেদের অনুকূলে ভোট দেওয়াতে চাইছে। ভোটাভুটির পরে আর উদ্ধববাবুকে ফোনে পাওয়া যায়নি। |
|
|
|
|
|