|
|
|
|
নানা দাবিতে পথে পুস্তক বিক্রেতারা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
মধ্যশিক্ষা পর্ষদ প্রকাশিত বইগুলির বণ্টন ও বিক্রয়ের অধিকার দেওয়া, সর্বশিক্ষা মিশন প্রকল্পের অর্থ সরাসরি ছাত্রছাত্রীদের দেওয়া, পাঠ্যপুস্তক-শিল্পের সঙ্গে যুক্ত প্রায় ১৫ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান সুনিশ্চিত করা-সহ বেশ কয়েক দফা দাবিতে মঙ্গলবার পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসকের দ্বারস্থ হল ‘জয়েন্ট ফোরাম ফর বুক ট্রেডার্স অ্যান্ড অ্যালায়েড ইন্ডাস্ট্রিজ’। জেলাশাসকের কাছে একটি স্মারকলিপিও জমা দেওয়া হয়। ফোরামের বক্তব্য, পাঠ্যপুস্তক অধিগ্রহণ ও বণ্টন সংক্রান্ত নতুন সরকারি নীতির ফলে পুস্তক প্রকাশনা ও ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত সকলে আগামী দিনে চরম বিপর্যয়ের মুখে পড়তে চলেছেন। এই পরিস্থিতি এড়াতে সরকারকেই পদক্ষেপ করতে হবে। |
|
চলতি বছরের ৭ মে ‘জয়েন্ট ফোরাম ফর বুক ট্রেডার্স অ্যান্ড অ্যালায়েড ইন্ডাস্ট্রিজ’-এর পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা শাখা গঠিত হয়। খড়্গপুরের বিদ্যাসাগর আবাসনে এক সভায় সংগঠনের জেলা-কমিটি গঠন করা হয়। পনেরো জনের কমিটিতে যুগ্ম-আহ্বায়ক হন চন্দন দত্ত ও উমাশঙ্কর রাজ। সরকারি নীতির ফলে (এ বার সরকারি ভাবে বিনামূল্যে পড়ুয়াদের কয়েকটি বই দেওয়া হয়েছে) চলতি শিক্ষাবর্ষে বই-ব্যবসা ৪০ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে অভিযোগ ফোরামের। আগে সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত স্কুলগুলিতে পড়ুয়া পিছু বই কেনার জন্য অনুদান দিত সর্বশিক্ষা মিশন। ওই টাকায় বাজার থেকে পাঠ্যবই কিনত পড়ুয়ারা। রাজ্যের নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পর অনুদানের বদলে সরাসরি বই দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে। এ বছর ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে ৪টি এবং অষ্টম শ্রেণিতে ৩টি পাঠ্যবই বিনামূল্যে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আগে যে পরিমাণ অনুদানের টাকা দেওয়া হত, তাতে পড়ুয়ারা সবক’টি বই বাজার থেকেই কিনত। এ বার অনুদান বন্ধ করে মাত্র ৩-৪ টি বই দেওয়া হয়েছে। ফলে বাকি বইগুলি পড়ুয়াদের অভিভাবকেরা নিজেদের খরচে কিনতে বাধ্য হয়েছেন। রাজ্য সরকারের অবশ্য আশ্বাস, আগামী শিক্ষাবর্ষে বাকি বইগুলিও সরকারি ভাবে ছাপিয়ে বিনামূল্যে দেওয়া হবে। আর এতেই আপত্তি তুলেছেন পুস্তক ব্যবসায়ী ও সংশ্লিষ্ট মহল। এ দিন জেলার বিভিন্ন প্রান্তের পাঠ্যপুস্তক ব্যবসায়ীরা মেদিনীপুরে আসেন। শহরের বড়বাজার থেকে মিছিল শুরু হয়। পরে ওই মিছিল পৌঁছয় জেলাশাসকের দফতরের সামনে। ফোরামের জেলা যুগ্ম-আহ্বায়ক চন্দন দত্ত বলেন, “পাঠ্যপুস্তক-শিল্পের সঙ্গে রাজ্যের প্রায় ১৫ লক্ষ মানুষ প্রত্যক্ষ ভাবে যুক্ত রয়েছেন। পরোক্ষ ভাবে আরও প্রায় ১০ লক্ষ মানুষের রুজিরোজগার পুস্তক-শিল্পের উপর নির্ভরশীল। সরকারি ভাবে পাঠ্যবই অধিগৃহীত হলে পুস্তক ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত একটি বড় অংশের ক্ষতি হবে। প্রায় ২৫ লক্ষ মানুষের আয়ের পথ কার্যত বন্ধ হয়ে যাবে। তাই আমাদের এই আন্দোলন।” |
|
|
|
|
|