|
|
|
|
ভিত্তিহীন, বললেন কর্তৃপক্ষ |
লক্ষ্মণকে ‘বাড়তি’ সুবিধা জেলে, বিক্ষোভ তৃণমূলের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিয়া |
হলদিয়া সাব-জেলে সিপিএম নেতা লক্ষ্মণ শেঠ বিশেষ সুবিধা পাচ্ছেন বলে অভিযোগ তুলে মঙ্গলবার বিক্ষোভ দেখাল তৃণমূল।
বিক্ষোভের নেতৃত্ব থাকা হলদিয়া টাউনশিপের তৃণমূল নেতা তপন মাইতির অভিযোগ, “লক্ষ্মণ শেঠ জেলে বসে মোবাইল ফোনে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে কথা বলছেন, টিভি দেখছেন, বাইরের খাবারও আসছে। সাব-জেলের কন্ট্রোলারের জন্যই এ সব হচ্ছে।” হলদিয়া সাব-জেলের কন্ট্রোলার সন্তোষ সরকার বিক্ষোভ চলাকালীন ঘটনাস্থলে ছিলেন না। তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক চঞ্চল বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে অভিযোগ জানান। তবে লিখিত অভিযোগ করেননি। |
|
হলদিয়া সাব-জেলের সামনে বিক্ষোভ। —নিজস্ব চিত্র |
সন্তোষবাবু বলেন, “অভিযোগ ভিত্তিহীন।” সাব-জেলের সুপার তথা হলদিয়ার মহকুমাশাসক শিল্পা গৌরিসারিয়ারও বক্তব্য, “এ রকম কিছু বিশেষ সুবিধা লক্ষ্মণবাবু পাচ্ছেন না।” লক্ষ্মণ-জায়া তথা হলদিয়ার পুরপ্রধান তমালিকা পণ্ডা শেঠের দাবি, “উনি মিথ্যে মামলায় জেলে রয়েছেন। তারই জবাব মানুষ পুরভোটে দিয়েছে। সেই রায় মানতে না পেরেই তৃণমূল মিথ্যা অভিযোগ করছে।”
এ দিন সকাল ১০টা থেকে ঘণ্টাখানেক সাব-জেলের বাইরে তৃণমূলের বিক্ষোভ চলে। দলীয় পতাকা ও ছাতা নিয়ে তাতে সামিল হন শতাধিক তৃণমূল কর্মী-সমর্থক। স্লোগান দেওয়া হয়, ‘লক্ষ্মণ শেঠকে বাড়তি সুযোগ দেওয়া চলবে না’।
যদিও নিয়মানুযায়ী প্রাক্তন সাংসদ ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হওয়ায় ‘প্রথম সারির (গ্রেড ওয়ান) বন্দি’ হিসেবে কিছু সুবিধা পেতে পারেন লক্ষ্মণবাবু। তা ছাড়া, তিনি সাজাপ্রাপ্ত নন, বিচারাধীন বন্দি। নিয়মমাফিক আবেদন করলে ও জেল-কর্তৃপক্ষ সম্মত হলে লক্ষ্মণবাবু টিভি দেখতে পারেন, এমনকী বিশেষ পরিস্থিতিতে বাড়ি থেকে আনা খাবারও খেতে পারেন। তবে মহকুমাশাসক জানিয়েছেন, এই ধরনের কোনও রকম আবেদন প্রাক্তন সাংসদ করেননি। আর পাঁচ জন সাধারণ বন্দির মতোই তিনি রয়েছেন। |
|
|
|
|
|