|
|
|
|
বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় |
কোর্টের নির্দেশে স্থগিত হল বিএড কাউন্সেলিং |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন কলেজে বিএডের কাউন্সেলিং নিয়ে ফি-সংক্রান্ত জটিলতা ছিলই। এ বার এক ছাত্রের আবেদনের ভিত্তিতে হাইকোর্টের নির্দেশে স্থগিতই হয়ে গেল গোটা কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া। তন্ময় মণ্ডল নামে ওই ছাত্রের আবেদনের ভিত্তিতে মঙ্গলবার হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, বিএডে ভর্তির ক্ষেত্রে হোম-ইউনিভার্সিটি ‘কোটা’ তুলে দিতে হবে। সব বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের জন্যই সমান সুযোগ থাকতে হবে। কাউন্সেলিংয়ের মাঝে এই নির্দেশ আসায় সমস্যায় পড়েন বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বুধবার থেকে আপাতত কাউন্সেলিং বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার রণজিৎ ধরের বক্তব্য, “আদালতের নির্দেশের পর আপাতত কাউন্সেলিং বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়েছে। হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশের বিরুদ্ধে আমরা ডিভিশন বেঞ্চে যাব।” ডিভিশন বেঞ্চের রায়ের পরেই জানা যাবে কোন পথে হাঁটবে বিশ্ববিদ্যালয়।
চলতি মাসের ৭ তারিখ থেকে বিএডের কাউন্সেলিং শুরু হয় বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত ১৯টি বিএড কলেজ রয়েছে। যার মধ্যে ৬টি সরকারি। বাকি সবই বেসরকারি। বেশ কয়েকটি বেসরকারি কলেজ ফি-বৃদ্ধির দাবিতে সোচ্চার হয়। আদালতেও গিয়েছিল একটি বেসরকারি কলেজ। গতবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যে, ছাত্র-পিছু ৩৫ হাজার টাকার বেশি ফি নিতে পারবে না কলেজগুলি। কিন্তু বেসরকারি কলেজগুলি দাবি জানায়, ছাত্র-পিছু ন্যূনতম ৬১ হাজার টাকা ফি ধার্য করতে হবে। না হলে তারা কাউন্সেলিংয়ে অংশ নেবে না। ফি-সংক্রান্ত বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্তিয়ারভুক্ত নয় বলে আদালতে আবেদন জানায় একটি কলেজ। রেজিস্ট্রার বলেন, “আদালত নির্দেশ দিয়েছে যে, বেসরকারি কলেজ কত ফি নেবে তা বিশ্ববিদ্যালয়ই নির্ধারণ করবে। এই নির্দেশ জানার পরেই সমস্ত কলেজ মঙ্গলবার কাউন্সেলিংয়ে অংশও নেয়।” তার পরেই আবার কোটা-সংক্রান্ত নির্দেশে কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া মুলতুবি রাখার সিদ্ধান্ত হয়।
বিএড-এ পড়ার ক্ষেত্রে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের জন্য ৯৫ শতাংশ আসন বরাদ্দ ছিল। বাকি ৫ শতাংশ আসন অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের জন্য। এর প্রতিবাদেই তন্ময় মণ্ডল নামে এক ছাত্র হাইকোর্টে আবেদন জানান। চলতি মাসের ৭ তারিখ থেকে ২০ তারিখ পর্যন্ত বিএডের কাউন্সেলিং চলার কথা ছিল বিদ্যাসাগরে। ৯৫ শতাংশ ও ৫ শতাংশ নিয়ম মেনেই কাউন্সেলিং চলছিল। কিন্তু নয়া নির্দেশে সমস্যায় পড়লেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। |
|
|
|
|
|