|
|
|
|
জমি-গেরোয় হোঁচট তৃণমূলেরও |
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিয়া |
জমিদাতা পরিবারের বাধায় স্থগিত হয়ে গেল হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের (এইচডিএ) ট্রমা-সেন্টার গড়ার প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ। মহিষাদলের ইটামগরা-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের কাপাসএড়্যা হাইরোডে মঙ্গলবার ওই ট্রমা-সেন্টার গড়ার প্রাথমিক পর্যায়ে জমি-ভরাটের কাজ চলছিল। জমি দিয়েও ন্যায্য-মূল্য না পাওয়ার অভিযোগে জমিদাতা পরিবারের সদস্যরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। থমকে যায় জমি-ভরাটের কাজ। আজ, বুধবার গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধানের সঙ্গে ওই জমিদাতাদের বৈঠক হবে বলে ঠিক হয়েছে। বৈঠকে মীমাংসাসূত্র না বেরোলে জমি-ভরাট বা ট্রমা-সেন্টার তৈরির কাজ কী ভাবে এগোবে, সে নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।
২০০২ সালে হলদিয়া-মেচেদা ৪১ নম্বর জাতীয় সড়কের কাপাসএড়্যা মোড়ের বামুনিয়া মৌজার উওর ও দক্ষিণ দিকে প্রায় ৪৭.৬২ একর জমি অধিগ্রহণের বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছিল। ২০০৬ সালে ভূমি-দফতরের মাধ্যমে এইচডিএ জমিদাতা পরিবারের কাছ থেকে জমি অধিগ্রহণ করে। তবে, জমিদাতাদের অভিযোগ, তাঁরা ন্যায্য ক্ষতিপূরণ পাননি। ২০০৮-এ ওই জমিতে তদানীন্তন এইচডিএ চেয়ারম্যান তথা সিপিএম সাংসদ লক্ষ্মণ শেঠ শিল্প গড়ার উদ্যোগ নিলে সে কাজেও বাধা দেন জমিদাতারা। সে সময়ে জমিদাতাদের পাশেই দাঁড়ায় তৃণমূল। সেই আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া তৃণমূল নেতা রামকৃষ্ণ দাসই এখন গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান। ওই জমির উত্তর দিকের ২ একরেই এখন তৃণমূল সাংসদ শুভেন্দু অধিকারীর নিয়ন্ত্রণাধীন এইচডিএ ট্রমা-সেন্টার গড়ায় উদ্যোগী হয়েছে। জমিদাতারা এ বার সে উদ্যোগেও বাধা শুরু করেছেন। তাঁদের বক্তব্য, উন্নয়নমূলক কাজে আপত্তি নেই। তবে ন্যায্য ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
জমিহারা পরিবারের সদস্য সোমনাথ সাউয়ের কথায়, “আমরা সবাই তৃণমূলই করি। এলাকায় উন্নয়নের কাজ হচ্ছে, হোক। এক সময় যাঁরা আমাদের প্রাপ্য আদায়ের দাবিতে পাশে ছিলেন, তাঁরা কিন্তু আর পাশে নেই।” তবে গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান রামকৃষ্ণ দাস বলেন, “আমার নিজেরও জমি আছে ওর মধ্যে। আমি গ্রামবাসীদের পাশেই আছি। তবে উন্নয়নের কাজে বাধা দেওয়া ঠিক নয়। আমরা সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করছি।” এইচডিএ-র সিইও পি উলগানাথনের বক্তব্য, “এটা একটা উন্নয়নমূলক কাজ। গ্রামবাসীদেরও সেটা বোঝা উচিত।” হলদিয়ার অতিরিক্ত জেলাশাসক সুমন হাওলাদার বলেন, “জমি অধিগ্রহণে সরকারি নিয়মেই টাকা পেয়েছিলেন জমিদাতারা।” |
|
|
|
|
|