ইস্টবেঙ্গলে ট্রেভর মর্গ্যান বিতর্ক মিটে যাওয়ার মুখে নয়া নাটক, নয়া মোড়। সন্দীপ নন্দীকে বের করে দেওয়ার পরে এ বার মর্গ্যানের আর এক পছন্দের চরিত্রকে উপেক্ষার পথে হাঁটল ইস্টবেঙ্গল। ব্রিটিশ কোচের সঙ্গে প্রথম থেকে কাজ করা গোলকিপার কোচ অতনু ভট্টাচার্য।
সচিব কল্যাণ মজুমদার মঙ্গলবার যা বললেন তাতে মর্গ্যানের প্রিয় কিপার কোচের রাস্তা আপাতত বন্ধ। সচিবের কথায়, “ইস্টবেঙ্গল এখন আর্থিক সঙ্কটে। ক্লাবের সমস্যা না মিটলে অতনুর চুক্তি নিয়ে কিছু বলা সম্ভব নয়। সেটা জানিয়েও দিয়েছি ওকে।” অতনুর চুক্তি ঝুলিয়ে রাখা হলেও সহকারী কোচ রঞ্জন চৌধুরির সঙ্গে চুক্তি পাকা হয়েছে। অন্য সহকারী কোচ কাম ফুটবলার অ্যালভিটো ডি’কুনহাও থাকছেন। ব্যতিক্রম শুধু অতনু।
শুরু থেকেই মর্গ্যানের খুব কাছের অতনু। তবে ক্লাব কর্তাদের পছন্দের তালিকায় পড়েন না। উল্টো দিকে, মর্গ্যানের আবার খুব একটা পছন্দ নন রঞ্জন আর অ্যালভিটো। কর্তাদের চোখের মণি আবার এই দু’জনেই। অতনুর সঙ্গে চুক্তি এখনও না করে, ইস্টবেঙ্গল মর্গ্যানকেই কোনও বার্তা দিতে চাইছে কি না, এটা প্রশ্ন। ক্লাব ফুটবল সচিব সন্তোষ ভট্টাচার্যকে এ নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি এড়িয়ে গিয়ে বলেন, “যা বলার সচিব বলবেন।” শেষ ম্যাচ খেলেই পদত্যাগ করেন মর্গ্যান। তাঁকে নানা সাধ্যসাধনা করে মান ভাঙান ফুটবল সচিব। তাঁর কথা মতো চিডি এডেকে সই করিয়েছেন, প্রথম দিকে ইচ্ছে না থাকলেও। সন্দীপ নন্দীকে নেওয়ার জন্য চাপ দেন মর্গ্যান। কর্তারা তা শোনেননি। সেটাও মেনে নেন মর্গ্যান। কর্তাদের জানিয়ে দেন, জুলাইয়ের প্রথম দিকে কলকাতা আসবেন। এর মধ্যেই অতনুকে নিয়ে টানাপোড়েন তিনি কী ভাবে নেন, তা নিয়ে ক্লাবে জল্পনা। এমনিতেই ইস্টবেঙ্গলে এখন মর্গ্যানকে ঘিরে দুই পক্ষ তৈরি হয়েছে। আপাতত অতনু বিতর্কে মর্গ্যানের সমর্থকরা অবাকই। তবে কেউই মুখ খুলছেন না। অতনুকে প্রশ্ন করলে তিনিও কিছু বলতে চাইলেন না। মর্গ্যান ব্যাপারটা জানলে কী প্রতিক্রিয়া হয়, সেটাই দেখার। |