এক নয়, দুই নয়, একে একে তিন।
ফুটবলে যখন ট্রফির খরা চলছে গত দু’বছর ধরে, তখন চলতি মরসুমে স্থানীয় ক্রিকেটের তিন-তিনটে ট্রফি ঘরে তুলে ফেলল মোহনবাগান। দীর্ঘ ন’বছর পর ক্রিকেটে ত্রিমুকুট জয়ের স্বাদ ফিরল মোহনবাগান তাঁবুতে। উচ্ছ্বাসের পরিমান এতটাই যে, মোহনবাগান তাঁবুতে চুনী গোস্বামীকে দিয়ে ক্লাবের পতাকা উত্তলন করা হল। স্বাভাবিক। ফুটবলে একটা ট্রফির জন্য যখন মাথার ঘাম পায়ে ফেলতে হচ্ছে, তখন জে সি মুখোপাধ্যায়, এ এন ঘোষ ট্রফির পর সিএবি-র নক আউট টুর্নামেন্টও জিতে নিলেন লক্ষ্মীরতন শুক্ল-দেবব্রত দাসরা। |
আর মোহনবাগানের ত্রিমুকুট এল ফের সেই কালীঘাটকেই হারিয়ে। এএনঘোষ ফাইনালের পর আবার। সে দিন কালীঘাটকে ডুবিয়েছিল বোলিং, এ দিন ব্যাটিং। প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ৪৫ ওভারে ২৫৯-৮ তুলেছিল মোহনবাগান। যা তাড়া করতে গিয়ে মাত্র ১২৪ রানের মধ্যে ছ’উইকেট চলে যায় কালীঘাটের। ওই অবস্থা থেকে ম্যাচে ফেরা আর সম্ভব হয়নি। শেষ পর্যন্ত মোহনবাগান জিতে যায় ৪৮ রানে। ন’বছর আগে যিনি মোহনবাগানের শেষ বার ত্রিমুকুট জয়ের সাক্ষী ছিলেন, তিনি এ দিনও ছিলেন ইডেনে। বলতে গেলে, অনেকটা তাঁর হাত ধরেই এল স্বপ্নের জয়। তিনিলক্ষ্মীরতন শুক্ল। অভিষেক ঝুনঝুনওয়ালা (৬৭) ফেরার পর টিমের হাল ধরেন যিনি। এবং তার পর কখনও অনুষ্টুপ মজুমদার (৫২), কখনও অরিন্দম ঘোষকে (২৫) নিয়ে ছোট ছোট পার্টনারশিপে টিমকে পৌঁছে দেন স্বস্তির স্টেশনে। লক্ষ্মীর ব্যক্তিগত হিসেব, ৫২ বলে ৫৫ রান। ছ’টা বাউন্ডারি। ম্যাচ শেষে লক্ষ্মী বলছিলেন, “আজ যে একটাও ছয় মারা গেল না, তার জন্য দুঃখ নেই। পরিস্থিতির চাপে সিঙ্গলস নিয়ে খেলতে হচ্ছিল। ভাল লাগছে এটা ভেবে যে আবার একটা ইতিহাসের সাক্ষী রইলাম।” অধিনায়ক সঞ্জীব স্যান্যালের আবার ত্রিমুকুট জয়ের পরেও দুঃখ যাচ্ছে না। “লিগটাই তো জিততে পারলাম না,” আফসোস সঞ্জীবের। কালীঘাটের প্রাপ্তি বলতে শুধু মহেশ তিওয়ারির (৫০ ন:আ) ব্যাটিং। মনোজ-দিন্দার অভাব এ দিনও ভোগাল কালীঘাটকে। মোহনবাগানের অভিষেক নিলেন দু’উইকেট। এ দিকে, সর্বভারতীয় ক্রিকেটে বাংলার সাফল্যের কারণে প্রত্যেকটি অনুমোদিত সংস্থাকে ২ লক্ষ টাকা করে দিচ্ছে সিএবি। |