• প্রস্তাবিত নতুন ফর্ম্যাট ঠিক কী: এলিট এবং প্লেট প্রথা তুলে দেওয়া হবে। তার জায়গায় রঞ্জির ২৭টি টিমকে ভাগ করা হচ্ছে তিনটে গ্রুপে। প্রত্যেকটা গ্রুপে থাকবে ন’টা করে টিম। গ্রুপে প্রত্যেকটা টিম খেলবে আটটা করে ম্যাচ। বলা হচ্ছে, তিনটে গ্রুপ। আসলে কিন্তু তিনটে ডিভিশন হচ্ছে। যেখানে যোগ্যতা অনুযায়ী ন’টা করে টিমকে রাখা হবে তিনটে গ্রুপে।
• কী ভাবে সাজানো হবে গ্রুপ: এটা এখনও পরিষ্কার নয়। যত দূর শুনছি, গত বছরের এলিট গ্রুপ থেকে আটটা টিম এবং প্লেট গ্রুপের এক নম্বর টিমকে নিয়ে ‘এ’ গ্রুপ তৈরি করার সুপারিশ আছে। পয়েন্ট এবং রানরেটের বিচারে এলিটের প্রথম আটটা টিম নেওয়া হবে নাকি এলিটের দু’টো গ্রুপ থেকে প্রথম চারটে করে টিম নেওয়া হবে তা নিয়ে কথাবার্তা চলছে। তেমনই ‘বি’ গ্রুপে থাকবে এলিটের বাকি সাতটা টিম আর প্লেটের দ্বিতীয় এবং তৃতীয় টিম। প্লেটের বাকি ন’টা টিম থাকবে গ্রুপ ‘সি’-তে। তবে এগুলো সবই চূড়ান্ত হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে।
• নক-আউটের নকশা: ‘এ’ এবং ‘বি’ গ্রুপ থেকে তিনটে করে টিম যাবে কোয়ার্টার ফাইনালে। ‘সি’গ্রুপ থেকে যাবে দু’টো টিম। কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে ম্যাচ হবে পাঁচ দিনের। প্রত্যেক বছর গ্রুপ ‘বি’ থেকে প্রথম তিনটে টিম ‘এ’ গ্রুপে উঠবে। তেমনই ‘এ’ গ্রুপ থেকে শেষ তিনটে টিম ‘বি-তে নেমে যাবে। ‘সি’ গ্রুপ থেকে প্রথম দু’টো টিম উঠবে ‘বি’-তে। ‘বি’ থেকে দু’টো টিম নামবে ‘সি’-তে।
• বাংলা কোন গ্রুপে: গত বার এলিটের ‘বি’ গ্রুপে বাংলা শেষ করেছিল পঞ্চম দল হিসেবে। সব মিলিয়ে ধরলেও প্রথম আটের মধ্যে ছিল না। ফলে যে পদ্ধতিই অনুসরণ করা হোক, বাংলার ‘এ’ গ্রুপে থাকা হচ্ছে না। মনোজদের জায়গা হচ্ছে সম্ভবত ‘বি’ গ্রুপে।
• পয়েন্ট প্রথা: সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বদল হচ্ছে, সরাসরি জিতলে পাওয়া যাবে ৬ পয়েন্ট। বোনাস পেলে ৭। আগে ছিল সরাসরি জিতলে ৪, বোনাস পেলে ৫। এটা করাই হয়েছে যাতে টিমগুলো আরও বেশি করে জেতার জন্য ঝাঁপায়।
• সময় বদল: প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে রঞ্জি ট্রফিকে দলীপ ট্রফির পরে আয়োজন করার। কিন্তু সেটা হলে কী করে রঞ্জির পারফরম্যান্স না দেখে অঞ্চলের দল বাছা হবে তা নিয়ে একটা সংশয় থাকছে।
• বাংলার লাভ: চ্যালেঞ্জার ট্রফিতে ভারত ‘এ’, ভারত ‘বি’-র সঙ্গে খেলবে বিজয় হাজারে ট্রফির চ্যাম্পিয়ন টিম। সেক্ষেত্রে মনোজরা খেলবে চ্যালেঞ্জার। |