ইউক্রেনের বিরুদ্ধে ১-২ হার। ইংল্যান্ডের সঙ্গে ১-১ ড্র। সোমবারের জোড়া ম্যাচের পর অস্বস্তিতে দুই শিবির ফ্রান্স এবং সুইডেন।
ডনেস্কের হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচ ড্র করার পাশাপাশি টানা ২২ ম্যাচে অপরাজিত থাকার নজির গড়ে ইংরেজ ম্যানেজার রয় হজসন যতই সন্তুষ্ট হন, স্বস্তি নেই ফরাসি শিবিরে। দলের ফুলব্যাক প্যাট্রিস এভ্রা তো খোলাখুলি বলেই দিয়েছেন, ম্যাচ ১-১ থেকে যাওয়ায় প্রচণ্ড হতাশ তিনি। শুধু তাই নয়, ইংরেজদের রক্ষণাত্মক নীতিকে ব্যঙ্গ করে এভ্রা জানিয়েছেন, ইংল্যান্ডের ট্যাকটিক্স অনেকটাই চেলসির মতো ছিল। যে নীতির উপর ভর করে মিউনিখে প্রথম বার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনাল খেলার সুযোগ পেয়েছিল চেলসি। “আমরা ওদের চেয়ে অনেক ভাল খেলেছিলাম। কিন্তু এক এক সময় মনে হচ্ছিল লাইনে বুঝি পনেরো জন খেলছে। চেলসি যে ভাবে বার্সেলোনার বিরুদ্ধে খেলছিল, ইংল্যান্ডও সে ভাবে খেলল। যার জন্য আমাদের পক্ষে সুযোগ তৈরি করা খুব কঠিন হয়ে গিয়েছিল,” ম্যাচের পর বলেছেন এভ্রা। ইংরেজদের কটাক্ষ করতেও ছাড়েননি তিনি, “এ ভাবে খেললে লোকে হাসাহাসি করে। ওরা হয়তো চায় ইংল্যান্ড আরও লড়াকু ফুটবল খেলুক। তবে এ রকম খেলে যদি ইংল্যান্ড ট্রফি জিতে যায়, তা হলে ভক্তরা খুশিই হবে।” এভ্রার সঙ্গে একমত ফরাসি কোচ লরা ব্লাঁ-ও বলেছেন, “আমাদের টিমই বেশি ভাল ফুটবল খেলেছিল।” |
শুক্রবার লেস্কটদের বিরুদ্ধে সেই ম্যাচের আগে উত্তপ্ত সুইড শিবির। সোমবার রাতে ইউরোর অন্যতম আয়োজক দেশের কাছে ১-২ হার মোটেও হজম করতে পারছেন না কোচ এরিক হামরেন। এমনকী তাঁর ফুটবলারদের ‘কাপুরুষ’ তকমা দিতেও পিছপা হননি তিনি। ক্ষিপ্ত হামরেনের মন্তব্য, “যে স্তরে আমাদের খেলা উচিত, সেখানে পৌঁছতে পারছি না। কোচ হিসেবে সেটা আমারই দায়িত্ব। তবে যে সাহসটা ফুটবলারদের দেখানো উচিত ছিল, সেটা ওরা দেখায়নি। মাত্র পাঁচ-ছ’জন সাহসী ফুটবল খেলেছে। প্রথমার্ধে আমরা কাপুরুষ হয়ে গিয়েছিলাম।”
অন্য দিকে ঘরের মাঠে দলকে জিতিয়ে স্বভাবতই খুশি শেভচেঙ্কো। চোট-আঘাতে বিধ্বস্ত ৩৫ বছরের স্ট্রাইকার বলেছেন, সোমবার জয়ের পর তাঁর বয়স দশ বছর কমে গিয়েছে। “অসাধারণ লাগছে। মনে হচ্ছে আমার বয়স ৩৫ নয়, কুড়ি। ম্যাচটা আমাদের জন্য ঐতিহাসিক ছিল,” বলেছেন শেভচেঙ্কো। সঙ্গে যোগ করেছেন, “কোচ ব্লোখিনই আমাকে পালটে দিয়েছেন।” |