অতি সতর্ক হতে গিয়েই
আটকে গেল রাশিয়া

রাশিয়া-১ (জাগোয়েভ)
পোল্যান্ড-১ (ব্লাজজিকস্কি)
ক পয়েন্টের লক্ষ্যে যদি দুটো দলই মাঠে নামে, অতি সতর্কতার ফল হিসেবে দেখতে হয় রক্ষণাত্মক ফুটবল। যা অধিকাংশ সময় হয়ে যায় মাঝমাঠ নির্ভর ও বিরক্তিকর। ঠিক সেটাই হল রাশিয়া বনাম পোল্যান্ডের ম্যাচে। এমনিতে ম্যাচটা ধারে ও ভারে রাশিয়ার অনেকটাই এগিয়ে থেকে শুরু করার কথা ছিল। বিশেষ করে ডিক অ্যাডভোকাটের দল যখন যথেষ্ট দেখনদারি ফুটবল খেলেছিল প্রথম ম্যাচে। কিন্তু ৪-২-৩-১ এর যে স্ট্র্যাটেজি পোল্যান্ড নিয়েছিল, তাতে প্রথমার্ধে বারবার আটকে যাচ্ছিল রুশ আক্রমণ। হাতে তিন পয়েন্ট থাকায় সে ভাবে ঝুঁকিও নিচ্ছিল না রুশরা। গোটা প্রথমার্ধে রুশরা একটা শটও গোলে নিতে পারেনি।
তবু যে প্রয়োজনীয় গোলটা ওরা পেয়ে গিয়েছিল তার কারণ চমৎকার একটা সেট পিস মুভমেন্ট। বাঁ দিকে থেকে আন্দ্রে আর্শাভিনের দুর্দান্ত ফ্রিকিকটা বাঁক খেয়ে পড়ছিল পোলিশদের বক্সে। ঠিক সময়ে তাতে মাথা ছুঁইয়ে গোল করে যায় জাগোয়েভ। এই টুর্নামেন্টে দুটো ম্যাচে এই নিয়ে এটা ওর তিন নম্বর গোল। সেট পিস থেকে খুব বেশি গোল এ বার হচ্ছে না। এটা মাথায় রাখলে গোলটা অবশ্যই প্রাপ্তি।
ম্যাচ শুরুর আগে ওয়ারশ-র রাস্তায় ছিল যুদ্ধের মেজাজ। ম্যাচের সময় গ্যালারিতেও ছিল তার ঢেউ। ছবি: এপি
সাত বা আটের দশকে পোল্যান্ডের ফুটবলে যে চমক বিশ্ব দেখেছে, ২০১২-এর পোল্যান্ডের সঙ্গে তার মিল নেই। বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ে ৬২ নম্বর টিম, বড় তারকা বলতে শুধু রবার্ট লবানডস্কি। বুন্দেশলিগায় ২০১১-১২ এর বর্ষসেরা ফুটবলার। যারা দশ জনের গ্রিসকে পেয়েও হারাতে পারেনি, তাদের পক্ষে এগারো জনের রাশিয়াকে হারানো কঠিন ছিল। গোলটা খেয়ে যাওয়ার পরে দ্বিতীয়ার্ধে কোচ স্মুদা বড় কিছু ঝুঁকি নেবেন, ভেবেছিলাম। হলও তাই। রক্ষণাত্মক খোলস ছেড়ে বেরোতেই হল তাঁর টিমকে। লেবানডস্কি প্রথমার্ধে কিছুটা নেমে খেলছিল, ও এগিয়ে খেলতে শুরু করতেই আক্রমণে গতি এল।
আর অল আউট খেলতে গিয়ে এল গোল। প্রায় ২৫ গজ দূর থেকে মাপা সোয়ার্ভিং শটে পোলিশ অধিনায়ক ব্লাজজিকস্কি যে গোলটা করল, সেটা এ বারের টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত আমার দেখা সেরা গোল। এই রকম গোল যে কোনও টিমকে তাতিয়ে দিতে পারে। পোল্যান্ড কিন্তু তেমন তাতল না। ফলে সেই ড্রই থেকে গেল।

বিদায়ের পথে প্রাক্তন চ্যাম্পিয়ন
জয়ের চুম্বন। গ্যালারিতে বান্ধবীর সঙ্গে চেক তারকা জিরাচেক। ছবি: এএফপি
তিন মিনিটে প্রথম গোল জিরাচেকের। ছয় মিনিটে দ্বিতীয় গোল পিলারের। চেক প্রজাতন্ত্র শুরুতেই ধাক্কা দিয়েছিল গ্রিসকে। ৫৩ মিনিটে পের চেকের ভুলে গেকাস ১-২ করলেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। ১-২ হেরে ইউরো থেকে বিদায় নেওয়ার পথে পা বাড়াল ২০০৪ সালের চ্যাম্পিয়ন গ্রিস। শেষ ম্যাচে রাশিয়ার বিরুদ্ধে জয় প্রায় অসম্ভব। যোগ্য দল হিসেবে এই ম্যাচটা জিতে চেকরা বরং নতুন স্বপ্নে বিভোর। এ দিনের ম্যাচটায় গ্রিসকে যতটা ম্নান দেখাল ততটাই উজ্জ্বল পের চেকের দল। তবে মাঝখানে তারা বলের নিয়ন্ত্রণ অনেক হারিয়ে ফেলেছিল। শেষ দিকে সামলে নেয়।




First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.