দক্ষিণ ২৪ পরগনার ফলতা বিশেষ অথনৈতিক অঞ্চলের নানা ধরনের বর্জ্য ফেলা হচ্ছে কারখানার অদূরেই গ্রামের খালপাড়ে।
ওই বর্জ্য, প্লাস্টিক গিয়ে পড়ছে আশপাশের কৃষিজমিতে। জলেও মিশছে বর্জ্য। ছড়াচ্ছে দূষণ। বাসিন্দাদের অভিযোগ, বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও সুরাহা হয়নি। রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের চেয়ারম্যান বিনয়কান্তি দত্ত বলেন, “বিষয়টি জানি। আগে ওঁদের এ ব্যাপারে বারণ করা হয়েছিল। ফের একই জিনিস শুরু হয়ে থাকলে আবার এ ব্যাপারে কথা বলা হবে।”
ওই অর্থনৈতিক অঞ্চলে প্লাস্টিকের দানা দিয়ে বিভিন্ন সরঞ্জাম তৈরির জন্য ৭-৮টি কারখানা আছে। বর্জ্যগুলি কয়েক দিন কারখানায় রাখার পরে তা ফেলে দেওয়া হয়। প্রায় বছর খানেক ধরে স্থানীয় নৈনান, কাশীপুর, তারাগঞ্জ প্রভৃতি গ্রামের খালপাড়ে, পুকুরের ধারে, রাস্তার পাশের ফাঁকা জমিতে ফেলা হচ্ছে সেই সব আবর্জনা।
আগে শিল্পাঞ্চলের ওই আবর্জনা দূরে অন্যত্র নিয়য়ে গিয়ে ফেলা হত। কিন্তু ইদানীং আবর্জনা ফেলায় বিশাল বিশাল স্তূপ তৈরি হয়েছে এলাকায়। খালপাড়ে রাখা বর্জ্য জলে পড়ে মিশে চলে যাচ্ছে চাষের জমিতে। এর ফলে মাটির উর্বরতা কমছে বলে অভিযোগ স্থানীয় মানুষের। খালের জলে প্লাস্টিক ভেসে আটকে যাচ্ছে স্লুইস গেট।
এ সবের জেরে সমস্যা বাড়ছে নিকাশি ব্যবস্থার ক্ষেত্রেও। কাছেই হুগলি নদী। ওই জলেও মিশছে আবর্জনা। যার জেরে জলে দূষণ ছড়াচ্ছে, মাছ মারা যাচ্ছে বলেও জানালেন স্থানীয় মানুষজন।
স্থানীয় বাসিন্দা তথা ফলতা অথনৈতিক অঞ্চলের আইএনটিটিইউসি ইউনিয়নের সম্পাদক দিলীপ বর্মণ বলেন, “প্লাস্টিক-জাত আবর্জনা ট্রাকে করে এনে ফেলা হয়। এলাকায় দূষণ বেড়েই চলেছে। বিষয়টি ফলতা অথনৈতিক বিশেষ অঞ্চলের ডেভেলপমেন্ট কমিশনারকে জানানো হয়েছে।” অতিরিক্ত ডেভেলপমেন্ট কমিশনার মতিলাল দত্ত বলেন, “এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। খুব শীঘ্রই এলাকায় আবর্জনা ফেলা বন্ধ করা হবে। দূরে কোথাও নিয়ে গিয়ে ফেলার পরিকল্পনা করা হয়েছে।” |