রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী বাছাই নিয়ে মমতাকে কেন্দ্র করে যে রাজনৈতিক তৎপরতা শুরু হয়েছে, তার ওপর নজর রাখছে বিজেপি এবং সিপিএম। রাজনৈতিক সূত্রে বলা হচ্ছে, কংগ্রেস-মমতা এই সমন্বয়ে বামেরা একেবারেই খুশি না। বরং প্রার্থী বাছাই নিয়ে কংগ্রেস-তৃণমূল সম্পর্কের অবনতি ঘটলেই তাঁদের পক্ষে ভাল। বিজেপিও পরিস্থিতি বুঝতে চাইছে। সেই অনুযায়ী বিকল্প ঘুঁটিও সাজাচ্ছে। আজই মুলায়ম সিংহের সঙ্গে দেখা করেন বিজেপি নেতা যশোবন্ত সিংহ। তবে বিজেপি-র একাংশের বক্তব্য, সেটা যশোবন্তের ব্যক্তিগত উদ্যোগ। রাজনৈতিক সূত্র জানাচ্ছে, বিজেপি যেমন মমতার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে, তেমনই মমতাও বার্তা দিয়ে রেখেছেন, কংগ্রেস যদি কোনও প্রার্থীর নাম জোর করে চাপিয়ে দিতে চায়, তা হলে তৃণমূলও বিকল্প খোলা রাখবে।
এই পরিস্থিতিতে প্রণববাবুর নাম সামনে রেখে বিভিন্ন দল কংগ্রেস তথা সনিয়া গাঁধীকে কিছুটা অস্বস্তিতে ফেলার প্রয়াস চালাচ্ছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক নেতৃত্ব। প্রণববাবুকে রাষ্ট্রপতি প্রার্থী করার জন্য আজ মেনকা গাঁধী সওয়াল করেছেন। আবার এনসিপি নেতৃত্ব জানিয়েছেন, প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। তিনি এক জনই। আর কোনও নাম নেই। এনসিপি মুখপাত্র ডি পি ত্রিপাঠির কথায়, “ইউপিএ-র প্রার্থী সর্বমান্য হবেন। এক জন বর্ষীয়ান নেতাই ইউপিএ-র তরফে রাষ্ট্রপতি প্রার্থী হবেন।”
রাষ্ট্রপতি প্রার্থী বাছাই নিয়ে এই সব সাত-পাঁচের মধ্যেই আজ ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশ হয়। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি হবে ১৬ জুন। গত বার এই বিজ্ঞপ্তি জারির দু’দিন আগেই ইউপিএ তাদের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছিল। কিন্তু এ বার কবে তা সম্ভব হবে এবং কে সেই প্রার্থী হবেন, এখন তারই অপেক্ষা। মুলায়ম, এনসিপি ও ডিএমকে এর মধ্যেই কংগ্রেসের প্রার্থীকে সমর্থনের ইঙ্গিত দেওয়ায় সেই নাটকে অবশ্যই সব থেকে বড় ঘটনা হতে চলেছে কালকের সনিয়া-মমতা বৈঠক। |