|
|
|
|
৫০-এ পড়ল আমুল বালিকা |
নিজস্ব প্রতিবেদন |
বয়স ৫০ হলেও তার জনপ্রিয়তায় একটুও চিড় ধরেনি। বদলায়নি চেহারাও। আজও রাস্তার ধারের হোর্ডিং থেকে শুরু করে মাখনের প্যাকেটের উপর তার ছবি একই রকম। গোল মুখ, ঠোঁটের কোণে উঁকি মারছে দুষ্টু হাসি, মাথায় ঝুঁটি আর গায়ে ফ্রক। গত ৫০ বছর ধরে এই ‘আটারলি বাটারলি গার্ল’-ই আমুল মাখনের ব্র্যান্ড ম্যাসকট, যাকে এঁকেছিলেন ইউস্ট্যাস ফার্নান্ডেজ।
আর এই দুষ্টু-মিষ্টি মেয়েটির ৫০ বছর বিশেষ ভাবে পালন করার কথা ঘোষণা করেছে আমুল ও তাদের ক্রিয়েটিভ পার্টনার সংস্থা। তারা জানিয়েছে, আজ পর্যন্ত আমুল বালিকার যত ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশিত হয়েছে, সব একত্রিত করে বই বের করা হবে। |
|
দেশ বিভিন্ন সময়ে ব্যঙ্গচিত্র বিতর্কে উত্তাল হলেও দু’একটি ঘটনা ছাড়া আমুল বালিকার উপর তার কোনও প্রভাব পড়েনি। রাজনীতিবিদ থেকে শুরু করে হিন্দি ছবির অভিনেতা তার ব্যঙ্গের তালিকা থেকে বাদ যাননি কেউই। তবে শুধুই ব্যঙ্গচিত্র নয়, তার অভিব্যক্তির তালিকাটা বেশ
দীর্ঘ। তাতে কখনও রয়েছে উচ্ছ্বাস, কখনও অভিনন্দন, কখনও বা ভক্তিশ্রদ্ধা।
আমুল ব্র্যান্ড ম্যাসকটের ৫০ বছর উপলক্ষে বই বের করার ঘোষণায় খুশি অমিতাভ বচ্চন এবং ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ হর্ষ ভোগলের মতো ব্যক্তিত্বরাও। দু’-এক বার আমুল বালিকার পাশে ব্যঙ্গচিত্রে স্থান হয়েছে তাঁদেরও। এই বইটিকে এক ধরনের ইতিহাস বলা যেতে পারে বলে মনে করছেন তাঁদের অনেকেই। হর্ষ ভোগলের কথায়, “এটাকে প্রায় একটা লাইব্রেরি বলা যেতে পারে। আজ একটা হোর্ডিং দেখলাম, সেটার বিষয়টা ভাল লাগল, পরের সপ্তাহে আরও একটা দেখলাম। কিন্তু গত ৫০ বছরের প্রতিটি ব্যঙ্গচিত্র একই সঙ্গে পাওয়া গেলে তাকে তো প্রায় ইতিহাসের বই বলা যেতেই পারে।” |
|
|
|
|
|