|
|
|
|
ফলন বাড়াতে উদ্যোগ প্রশাসনের |
রায়গঞ্জে লিচু উৎসব |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রায়গঞ্জ |
উত্তর দিনাজপুর জেলায় লিচুর ফলন বাড়াতে উদ্যোগী হল জেলা উদ্যান পালন দফতর। রাষ্ট্রীয় কৃষি বিকাশ যোজনার দেড় লক্ষ টাকা আর্থিক বরাদ্দে ও জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় জেলা উদ্যান পালন দফতরের উদ্যোগে মঙ্গলবার রায়গঞ্জের ক্যারিটাস হলে অনুষ্ঠিত হয় লিচু উৎসব। সকালে উৎসবের উদ্বোধন করেন বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শিশিরকুমার মিত্র। অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন ওই বিশ্ববিদ্যালয়েরই অধ্যাপক বিকাশচন্দ্র ঘোষ, উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক প্রদ্যুৎ পাল, জেলা পরিষদের সভাধিপতি মোক্তার আলি সর্দার, রায়গঞ্জের বিধায়ক মোহিত সেনগুপ্ত-সহ প্রশাসনিক কর্তারা। উৎসবে দার্জিলিং, দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদহ, মুর্শিদাবাদ, কোচবিহার ও উত্তর ২৪ পরগণা জেলার চাষিরা বিভিন্ন প্রজাতির লিচু এবং লিচুর জ্যাম, জেলি, স্কোয়াশ ও সরবত নিয়ে হাজির হয়েছিলেন। উৎসবে রাজ্যের বিভিন্ন জেলার ১০ জন চাষি, তিনটি সমবায় সমিতি ও চারটি খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ সংস্থাকে আর্থিক পুরস্কার ও শংসাপত্র দেওয়া হয়। উদ্যান পালন দফতরের আধিকারিক সমরেন্দ্রনাথ খাঁড়া বলেন, “উত্তর দিনাজপুর জেলায় লিচুর উৎপাদন বাড়াতেই উৎসবের আয়োজন করা হল। |
|
ছবি তুলেছেন তরুণ দেবনাথ। |
উত্তরবঙ্গে এই প্রথম এমন উৎসব হল। দফতরের তরফে চাষিদের সহযোগিতা করার পরিকল্পনা হয়েছে। রাজ্য সরকার জেলার নয়টি ব্লকেই আগামী এক বছরের মধ্যে সরকারি ভাবে লিচু বিপণন কেন্দ্র গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।” এ দিন বিভিন্ন জেলার চাষিদের উৎপাদিত গুটি, মুম্বাই, ইলাচি, আতা, মুজফ্ফরপুর প্রজাতি-সহ আঞ্চলিক প্রজাতির লিচু উৎসবের প্রদর্শনীতে ঠাঁই করে নিয়েছিল। জেলায় ৫৯৮ হেক্টর জমিতে গড়ে প্রায় ছয় হাজার মেট্রিক টন লিচুর ফলন হয়। আগামী বছর থেকে প্রায় এক হাজার হেক্টর জমিতে লিচু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে উদ্যান পালন দফতর। লিচুর উৎপাদনও প্রায় ৯ হাজার মেট্রিক টন করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই চাষিদের বিনে পয়সায় জৈব সার, কীটনাশক ও চাষের নানা উপকরণ দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলায় প্রতি বছর গড়ে প্রায় ছয় হাজার মেট্রিক টন লিচু উৎপাদন হলেও বাজারে চাহিদার পক্ষে তা পর্যাপ্ত নয়। সেই কারণে প্রতি বছরই ব্যবসায়ীরা বিহার, দিল্লি, মুম্বই সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে কয়েক হাজার মেট্রিক টন লিচু আমদানি করছেন! দফতরের কর্তাদের ধারণা, লিচুর উৎপাদন বাড়লে ব্যবসায়ীদের আর বাইরে থেকে লিচু আমদানি করতে হবে না। জেলার চাষিরাও লাভের মুখ দেখবেন। সমরেন্দ্রবাবু বলেন, “লিচু উৎপাদনের দিক থেকে উত্তর দিনাজপুর রাজ্যের মধ্যে পঞ্চম স্থানে রয়েছে। কয়েক বছরের মধ্যে এই জেলা লিচু উৎপাদনে প্রথম স্থানে চলে আসবে। সেই পরিকল্পনা হয়েছে।” |
|
|
|
|
|