মাঝেমধ্যেই ঘন মেঘে ছেয়ে যাচ্ছে আকাশ। কোথাও কোথাও বৃষ্টিও হচ্ছে ছিটেফোঁটা। শিল্পাঞ্চলে স্বস্তি তবু অধরাই।
ভোর হতে না হতেই আকাশে লাল গনগনে সূর্য। রাস্তায় বেরোনোর উপায় নেই। বিকেলে সামান্য মেঘের সঞ্চার হচ্ছে আকাশে। রাতের দিকে তাও উধাও। গত কয়েক দিনে আসানসোল, রানিগঞ্জে অল্পস্বল্প বৃষ্টি হয়েছে। ব্যতিক্রম দুর্গাপুর। শুধু দুর্গাপুর নয়, পানাগড়, অন্ডালেরও একই হাল। ৭ জুন কাঁকসায় এক বেসরকারি সেরামিক টালি কারখানার শিলান্যাস করতে এসেছিলেন রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সে দিন তিনি মঞ্চে মজা করে বলেন, “পানাগড় এখন প্রায়শই খবরে উঠে আসছে। সারা দেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠে আসছে এই এলাকায়।” এলাকাবাসীকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন তিনি। |
সকাল ১০টা বাজতেই রাস্তাঘাট প্রায় জনশূন্য। বাস-অটো চলাচল করছে। যাত্রী কম। বর্ধমান থেকে বরাকরগামী বাসের চালক অবধেশ সিংহ বললেন, “একে বাসে যাত্রী নেই। তারপর বর্ধমান থেকে যাওয়ার সময়ে সারাক্ষণ গায়ে রোদ পড়ছে।” মঙ্গলবার দুপুর ২টা নাগাদ দেখা গেল, ডিভিসি মোড়ের এক ট্রাফিক পুলিশকে গাছের ছায়ায় আশ্রয় নিয়েছেন। বললেন, “আর পারলাম না। হঠাৎ মাথা ঘুরে গেল।” তিনি জানান, সঙ্গে ওআরএস রাখছেন। দুর্গাপুরের বিভিন্ন জায়গায় জলসত্র খুলে পথচলতি মানুষজনকে একাধিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা পানীয় জল, লেবুর সরবত সরবরাহ করছে।
এ দিন সন্ধ্যার দিকে দুর্গাপুরের আকাশে মেঘ দেখা গেল ঠিকই। তবে বৃষ্টিও হল সামান্য। কিন্তু পরিস্থিতি বদলের বিশেষ আশা দেখছে না শিল্পাঞ্চল। |