আইন না মেনে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে যাতায়াত-সহ বিভিন্ন অভিযোগে দুর্গাপুরের ৮বি রুটের ৪৮টি বাস দু’দিন ধরে বন্ধ করে রেখেছিলেন বাস মালিকেরা। মহকুমা প্রশাসনের আশ্বাসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। মঙ্গলবার অটোর বিরুদ্ধে প্রশাসন অভিযান শুরু করতেই এ বার ওই রুটের ৯০টি অটো বন্ধ করে দিলেন অটো মালিকেরা।
অটো চালকদের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট রুট না মেনে যাত্রী পরিবহণ, নিয়ম না মেনে অতিরিক্ত যাত্রী তোলা-সহ বিভিন্ন অভিযোগ তুলে শনিবার থেকে এইট-বি রুটের বাস বন্ধ করে দেন বাস মালিকেরা। অন্তত তিনটি রুটের অটো এইট-বি রুট ধরে যাতায়াত করে। বাস মালিকদের অভিযোগ, অটোর বেআইনি ভাবে যাত্রী পরিবহণের জন্য বাসে যাত্রীর আকাল দেখা দিয়েছে। অবিলম্বে প্রশাসন ব্যবস্থা না নিলে মঙ্গলবার থেকে শহরের অন্য রুটেও বাস বন্ধের হুমকি দিয়েছিলেন তাঁরা। সোমবার বিকালে বাস মালিকেরা বৈঠক করেন মহকুমাশাসকের সঙ্গে। আলোচনা শেষে মহকুমাশাসক আয়েষা রানি এ জানান, মহকুমা পরিবহণ দফতরকে বিষয়টি জানিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অটোগুলি আইন না মেনে যাত্রী পরিবহণ করলে তার বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হবে বলে জানান তিনি।
মঙ্গলবার সকাল থেকে অভিযান শুরু করে পরিবহণ দফতর। আইন না মানায় আটক করা হয় ৫টি অটো। অটোচালকদের বিরুদ্ধে আইনি ধারা দেওয়া হয়। অভিযানের প্রতিবাদ করেন অটোচালকেরা। তাঁদের দাবি, আইন মেনে নির্দিষ্ট সংখ্যক যাত্রী পরিবহণ করলে সমস্যায় পড়বেন তাঁরা। সিএনজি-র দাম বেড়েছে। কিন্তু সেই অনুপাতে যাত্রীভাড়া বাড়েনি। বাধ্য হয়েই তাঁরা নিয়মের অতিরিক্ত যাত্রী তোলেন। তৃণমূল সমর্থিত অটোচালক সংগঠনের নেতা শান্তনু সোম পরিবহণ দফতরের বিরুদ্ধে দ্বিচারিতার অভিযোগ তুলেছেন। তাঁর কথায়, “বিষয়টি অন্য ভাবে দেখা উচিত প্রশাসনের। মিনিবাসগুলি যখন অতিরিক্ত যাত্রী তুলে রাস্তায় রেষারেষি করে বিপজ্জনক গতিতে যাতায়াত করে তখন কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়? অথচ মিনিবাস মালিকদের চাপে পরিবহণ দফতর শুধু অটোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে।” অবিলম্বে পরিবহণ দফতর অভিযান বন্ধ না করলে ওই রুটে অনির্দিষ্ট কালের জন্য অটো বন্ধ রাখার হুমকি দিয়েছেন তিনি। মহকুমাশাসক আয়েষা রানি এ জানান, পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে। জেলা পরিবহণ আধিকারিককে বিষয়টি জানানো হবে। |