|
|
|
|
আগুন নেভাতে গিয়ে ‘কোপ’ পড়ল মজুরিতে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • পুরুলিয়া |
আগুন লেগেছে, বাঁচাও! এই চিৎকার শুনে ১০০ দিনের প্রকল্পে পুকুরে মাটি কাটার কাজ ফেলে শ্রমিকরা ছুটেছিলেন আগুন নেভাতে। বালতি, টিনের ড্রাম- হাতের কাছে যা ছিল, আশপাশের শুষ্কপ্রায় ডোবা, পুকুর, নলকূপ থেকে জল ভরে এনে আগুন লেগে যাওয়া বাড়িতে তাঁরা ঢেলেছেন। প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় শনিবার দুপুরে হুড়ার দান্দুড়ি গ্রামে পাণ্ডব মাহাতোর খড়ের কোঠাবাড়ির আগুন যখন নিভল, তখন ওই শ্রমিকরা বেজায় ক্লান্ত। মাটি কাটার বাকি কাজে তাঁরা আর নামতে পারেননি। বাড়ির বেশিরভাগ অংশই ভস্মীভূত হয়েছে। তবুও অতগুলি মানুষের পরোপকারে অভিভূত পাণ্ডববাবু। তিনি বলেন, “কাজ ফেলে সকলে যে ভাবে সকলে সাহায্য করলেন তাতে আমি কৃতজ্ঞ।”
সে দিন কাজ কম করায় ওই শ্রমিকদের পুরো মজুরি পাওয়া নিয়ে এ দিকে জটিলতা দেখা দিয়েছে। স্থানীয় চাটুমাদার পঞ্চায়েতের প্রধান সুভাষ মাহাতো বলেন, “ওই শ্রমিকেরা পরোপকারের পরিচয় দিয়েছেন। কিন্তু তাঁরা পুরো দিন কাজ না করায় পুরো মজুরি দেওয়া যাবে না। এ ক্ষেত্রে প্রকল্পের আইনের কাছে আমরা নিরুপায়।” একইরকম অসহায়তার কথা জানিয়েছেন হুড়ার বিডিও বিশ্বনাথ রক্ষিতও। তবে প্রকল্পের জেলা আধিকারিক শঙ্কর নস্কর বলেন, “ঘটনাটি অবশ্যই শ্রমিকদের পরোপকারের উদাহরণ। তবে মানবিকতার প্রশ্নে শ্রমিকদের ওই দিনের বাকি সময়টুকুর হিসেবে মজুরি দেওয়া যায় কি না, তা নিয়ে আমি ওই গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের সঙ্গে কথা বলব।” ওই প্রকল্পের শ্রমিক সঞ্জয় মাহাতো, দিবাকর মাহাতো, পরাণ মাহাতোরা অবশ্য বলছেন, “হিসেব করে তো তখন আগুন নেভাতে ছুটে যাইনি। মানুষের বিপদ শুনে দৌড়ে গিয়েছিলাম। এখন প্রশাসন বিচার করুক।” |
|
|
|
|
|