একজন ঘুরলেন দলের সাংসদ অভিনেতাকে সঙ্গে নিয়ে হুড খোলা গাড়িতে। পিছনে দলীয় কর্মীদের বিশাল মোটরবাইক মিছিল। তাঁদের দেখতে শহরের পথে মানুষের উপচে পড়া ভিড়।
অন্যজন ঘুরলেন ভোটারদের বাড়ি-বাড়ি। সঙ্গে প্রাক্তন মন্ত্রী আর কয়েকজন দলীয় কর্মী। |
রবিবার বাঁকুড়া উপনির্বাচনের প্রচারের শেষ দিনে দুই শিবিরের এই ছবি দেখল বাঁকুড়া। তৃণমূলের প্রয়াত বিধায়ক কাশীনাথ মিশ্রের স্ত্রী মিনতি মিশ্রের প্রচারে এ দিন সকালে তৃণমূল শহরে বিরাট মিছিল করে। হিন্দু হাইস্কুলের মাঠ থেকে হুড খোলা গাড়িতে দলের সাংসদ তাপস পাল, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি শঙ্কুদেব পণ্ডা থেকে জেলা সভাপতি অরূপ খাঁ, জেলা কার্যকরী সভাপতি অরূপ চক্রবর্তী প্রমুখের সঙ্গে মিনতিদেবী ছিলেন। তাপস পাল গাড়ি থেকেই বক্তৃতা করেন। তিনি বলেন, “কাশীবাবু আমাদের অভিভাবকের মত ছিলেন। তাঁর সেই স্বপ্ন পূরণ করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মিনতিদেবীকে দায়িত্ব দিয়েছেন।” শহরের রাস্তায় হাতে তেরঙ্গা পতাকা আর তেরঙ্গা টুপি পরা তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের যখন মোটরবাইক মিছিল ঘুরছে, সেই সময় সিপিএম শিবির এ দিনও বাড়ি বাড়ি প্রচারেই জোর দিল। |
সিপিএম প্রার্থী নীলাঞ্জন দাশগুপ্ত চড়া রোদের মধ্যে সাদা টুপি মাথায় হাসি মুখে জনসংযোগ বাড়ানোতেই দিনভর ব্যস্ত থাকলেন। সঙ্গে ছিলেন প্রাক্তন স্কুলশিক্ষা মন্ত্রী পার্থ দে, দলের জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য মনোরঞ্জন বসু প্রমুখ। মিছিল করলেন না কেন? শেষ দিনেও বাড়ি বাড়ি প্রচার কেন? সিপিএমের জেলা সম্পাদক অমিয় পাত্রের জবাব, “এ বার আমরা মূলত বাড়িতে গিয়ে প্রচারেই বেশি গুরুত্ব দিয়েছি। এই বিধানসভার প্রতিটি গ্রাম ও শহরের মানুষের ঘরে ঘরে দু’বার করে যাওয়া হয়েছে।” তাঁর কটাক্ষ, “তৃণমূল তো বেশ কিছু গ্রামে একবারও যায়নি।” অভিযোগ মানতে নারাজ তৃণমূলের জেলা সভাপতির দাবি, “আমাদের প্রার্থী প্রত্যেকটি গ্রামে হেঁটে প্রচার চালিয়েছেন। এই তীব্র গরমও তাঁকে দমাতে পারেনি।”
প্রচার শেষে নীলাঞ্জনবাবুর দাবি, “সবার কাছ থেকে খুব ভাল সাড়া পেয়েছি। নির্বাচনে জয় নিয়ে আমাদের কোনও সন্দেহ নেই।” আর মিনতিদেবী বলছেন, “ভালভাবেই প্রচারের কাজ শেষ হল। দলের সব নেতা-কর্মীদের কাছ থেকে পূর্ণ সহযোগিতা পাচ্ছি। মনে হচ্ছে গোটা বিধানসভার মানুষ আমার পাশে রয়েছেন। ঠিক যেমন ভাবে তাঁদের প্রিয় জননেতার (কাশীবাবুর) পাশে থাকতেন।”
|