|
|
|
|
|
|
|
গণতান্ত্রিক ব্রিটেনের ঐতিহ্যের অলংকার রাজ-সিংহাসন |
|
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের রাজত্বের হীরকজয়ন্তী নিয়ে ধুমধাম। অথচ কী কাণ্ড, ইংল্যান্ডে গণতন্ত্রের ধারক ও বাহক ‘পার্লামেন্ট’-এর শাসন শুরু হয়েছে সেই সপ্তদশ শতকে! ওয়েস্টমিনস্টার-ই তো গণতন্ত্রের আদিতম পীঠস্থান। সেখানেই আবার রাজা-রানি? কেন? কেন শুরু হয়েছিল এই প্রথা?
আসলে গোটা সপ্তদশ শতক জুড়েই ইংল্যান্ডে তীব্র সংঘর্ষ চলছিল, রাজার সঙ্গে পার্লামেন্টের। এর মধ্যে জড়িয়ে যায় ধর্মও। সেই সময়ে ক্রমশই প্রোটেস্ট্যান্টদের দখলে চলে যায় পার্লামেন্ট, এ দিকে রাজারা থেকে যান ক্যাথলিক-পন্থী। রাজা প্রথম চার্লস ১৬২৯ থেকে ১৬৪০ পর্যন্ত পার্লামেন্ট না ডেকে রাজত্ব চালিয়ে গেলে শুরু হয় গৃহযুদ্ধ (১৬৪২-১৬৪৮)। অলিভার ক্রমওয়েলের নেতৃত্বে এই যুদ্ধে পার্লামেন্টারিয়ানরা জিতে রাজার মস্তক ছিন্ন করে শাস্তি দেয় তাঁকে (১৬৪৯)। কিন্তু যে কমনওয়েলথ এর পর শাসনভার গ্রহণ করে, ক্রমওয়েলের নেতৃত্বে তারই ডিক্টেটরশিপ চলতে থাকে ১৬৬০ পর্যন্ত। তিতিবিরক্ত পার্লামেন্টারিয়ানরা বোঝেন, রাজাকে অপসারণ করলেও ক্ষমতার অপব্যবহারের সম্ভাবনা রয়েই যায়, সেটা দেশের পক্ষে সুখকর নয়। ১৬৬০ সালে ঘটে ‘রেস্টোরেশন’, ফিরিয়ে আনা হয় রাজাকে। রাজা দ্বিতীয় চার্লস-এর পর তাঁর ভাই দ্বিতীয় জেমস সিংহাসনাসীন হলে আবার ধর্মকেন্দ্রিক বিরোধিতা দেখা দেয় পার্লামেন্ট-এর সঙ্গে, কেননা এই রাজা ছিলেন আদ্যন্ত ক্যাথলিক। ১৬৮৮ সালে গ্লোরিয়াস রেভোলিউশন বা গৌরবময় বিপ্লবের মাধ্যমে তাঁকে সরিয়ে তাঁর কন্যা মেরি ও জামাতা উইলিয়াম অব অরেঞ্জ-এর হাতে সিংহাসন তুলে দেওয়া হয়, শর্ত হিসেবে থাকে একটি আইন ‘বিল অব রাইটস’। এই আইনই সে দেশের ‘কনস্টিটিউশনাল মনার্কি’র প্রধান ভিত্তি। রাজা থাকবেন, কিন্তু তাঁর ক্ষমতার পাখা সম্পূর্ণ ছেঁটে দেওয়া হবে।
আজ পর্যন্ত ব্রিটেনে কোনও ‘আইন’ বানাতে হলে পার্লামেন্টে বিল পাশ হওয়ার পর চূড়ান্ত স্বাক্ষরের জন্য সেটি রাজা বা রানির কাছে যায়, ক্ষমতাবলে যে বিল তিনি আটকে দিতেই পারেন। কিন্তু ১৭০৭ সালের পর আর কখনও ব্রিটিশ রাজারানিরা এই ক্ষমতার ব্যবহার করেননি। তাঁরা মেনে নিয়েছেন যে তাঁদের অস্তিত্ব আলংকারিক। এবং ব্রিটিশদের অধিকাংশই মেনে নিয়েছেন, এই ঐতিহ্য থাকবে, ইতিহাসের অংশ হিসেবে। পার্লামেন্টের নামেও স্বেচ্ছাচারিতা চলবে না এই অঙ্গীকারের অংশ হিসেবেই এই ঐতিহ্য রক্ষিত হবে। |
|
|
• পার্লামেন্টের পর এ বার মিশরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। প্রথম দফায় কোনও প্রার্থীই পঁচিশ শতাংশের বেশি ভোট পাননি। তাই সর্বোচ্চ দুই ভোটপ্রাপকের মধ্যে দ্বিতীয় দফার ভোটাভুটিতেই নির্ণীত হবেন বিজয়ী। প্রথম স্থানে মুসলিম ব্রাদারহুডের মহম্মদ মুর্সি থাকলেও তাঁর সামান্য পিছনেই রয়েছেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট হোসনি মুবারক জমানার শেষ প্রধানমন্ত্রী আহমদ শফিক। এ যাবৎ এটাই মিশরের সবচেয়ে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন বলে গণ্য হচ্ছে। মুবারক তাঁর জমানায় নিজেকে ৯০ শতাংশেরও বেশি ভোট দিয়ে উপর্যুপরি ‘নির্বাচিত’ হতেন। এখন অন্তত জনসাধারণ বুথে দাঁড়িয়ে নিজেদের ভোটটা দিতে পারছেন। আর তাতেই দেখা যাচ্ছে, মিশরবাসী নিশ্চিত নন, কার হাতে দেশের ভাগ্যনিয়ন্ত্রণের ভার সঁপে দেবেন। ব্রাদারহুড প্রার্থী মুবারকপন্থী প্রার্থীর চেয়ে খুব কম ভোটেই এগিয়ে। আবার তৃতীয় স্থানাধিকারী বামপন্থী প্রার্থী হামদিন সাবাহিও অল্প ভোটেই মুবারকপন্থীর থেকে পিছিয়ে। এঁরা সকলে মিলে মুবারকের প্রধানমন্ত্রীর প্রার্থী-পদ খারিজ করার আর্জি জানিয়েছেন। তাতেই মনে হয়, ব্রাদারহুডের ইসলামপন্থী মুর্সির জেতা সহজ হবে না। তবে যিনিই জিতুন, সামরিক পরিষদ তাঁর হাতেই শাসনক্ষমতা ন্যস্ত করতে বাধ্য থাকবে। |
• পেট্রোল আর ডিজেল, দু’টিই তৈরি হয় অপরিশোধিত পেট্রোলিয়াম থেকে। ডিজেল তৈরি করতে কম পরিশোধন প্রয়োজন, তাই ডিজেলের দাম কম। কিন্তু, আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত পেট্রোলিয়ামের দাম বাড়লে বা কমলে তার প্রভাব পেট্রোল এবং ডিজেলের দামের ওপর সমান হওয়ার কথা। কিন্তু, গত দু’বছরে ভারতে দেখা গেল, আন্তর্জাতিক বাজারের চাপে পেট্রোলের দাম অনেকখানি বাড়লেও ডিজেলের দাম বেড়েছে সামান্যই। ২০১১-১২ অর্থবর্ষে ভারতে জ্বালানি খাতে যে মোট ৬৮,৪৮১ কোটি টাকা ভর্তুকি দেওয়া হয়েছে, তার সিংহভাগই পেয়েছে ডিজেল। যেহেতু বাস, ট্রাক থেকে রেল ইঞ্জিন, প্রায় সব গণপরিবহণই ডিজেলের ওপর নির্ভরশীল, তাই নাকি ডিজেলের দাম বাড়ানো যায় না। এ দিকে, ডিজেল পরিবেশের পক্ষে অতি ক্ষতিকারক। তাই কয়েকটি বিকল্প প্রস্তাব এসেছে। এক, ডিজেলের দু’রকম দাম হোক গণপরিবহণের জন্য কম দাম আর ব্যক্তিগত গাড়ির জন্য চড়া দাম; দুই, ব্যক্তিগত ডিজেল গাড়ি নিষিদ্ধ করে দেওয়া হোক বা তার ওপর বিপুল কর আরোপ করা হোক; তিন, অতশত না ভেবে ডিজেলের দামকেও বাজারের নিয়ন্ত্রণে ছেড়ে দেওয়া হোক আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম বাড়লে ডিজেলের দামও সমান তালে বাড়ুক।
• গ্রীষ্মকালে কোনও এলাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যদি সেই দিনের স্বাভাবিক সর্বোচ্চ তাপমাত্রার থেকে ৫ ডিগ্রি কিংবা তার বেশি বেড়ে যায় তবে সেই অবস্থাকে তাপপ্রবাহ বলে। আর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যখন একটি নির্দিষ্ট দিনের স্বাভাবিক সর্বোচ্চ তাপমাত্রার থেকে ৭ ডিগ্রির বেশি বেড়ে যায় তবে সেই পরিস্থিতিকে বলে তীব্র তাপপ্রবাহ। চলতি বছরের মে ও জুন মাসের বেশ কয়েকটি দিন এমন তীব্র তাপপ্রবাহের কবলে পড়েছিল দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলা। কলকাতাতেও বয়েছে তাপপ্রবাহ।
কোনও এলাকায় তাপপ্রবাহ ঘোষণা করার আগে সেই এলাকার সেই দিনের স্বাভাবিক সর্বোচ্চ তাপমাত্রাটা জেনে রাখাটা জরুরি। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা গোকুলচন্দ্র দেবনাথের ব্যাখ্যা, কোনও মাসে পাঁচ দিন অন্তর অন্তর সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার বদল হয়। একই সপ্তাহের পর পর দুই দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা এক থাকলেও এক দিন তাপপ্রবাহ ঘোষণা করা হয়। আগের দিন হয় না। যেমন এ বছরের ৪ জুন কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ৫ জুন ছিল ৪০.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ৪ জুন তাপপ্রবাহ ঘোষণা করা হয়নি। কিন্তু ৫ জুন তাপমাত্রা আংশিক কম থাকলেও সেদিন তাপপ্রবাহ ঘোষণা করা হয়েছিল। গোকুলবাবুর ব্যাখ্যা, ৪ জুন কলকাতার স্বাভাবিক সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকার কথা ছিল ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ৫ জুন তা থাকার কথা ছিল ৩৫ ডিগ্রি। অর্থাৎ ৫ জুন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল সেদিনের স্বাভাবিক সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থেকে ৫ ডিগ্রি বেশি। তাই তাপপ্রবাহের ঘোষণা হয়।
কোনও অঞ্চলে কোনও দিনের স্বাভাবিক সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পরিমাপ করা হয় কীভাবে? আবহবিদেরা বলছেন, ওই এলাকায় গত ৩০ বছরে ওই দিনে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কত ছিল তার গড়ই ওই এলাকার ওই দিনের স্বাভাবিক সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। কোনও জেলার ক্ষেত্রে ওই নির্দিষ্ট দিনে জেলার যে পাঁচ বা সাত জায়গায় রোজ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় তাদের গড় সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রাই সেই জেলার ওই দিনের স্বাভাবিক সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। রাজ্যের ক্ষেত্রে সব জেলার গড় তাপমাত্রার ভিত্তিতে কোনও দিনের স্বাভাবিক সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পরিমাপ করা হয়। |
|
|
আনন্দ |
• ইজরায়েল-এর বরিস গেলফাঁকে হারিয়ে দাবায় পঁঞ্চমবারের জন্য বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের খেতাব অর্জন করলেন ভারতের বিশ্বনাথন আনন্দ। |
প্রয়াত চ্যাম্পিয়ন |
• দুনিয়াকে হাতের মুঠোয় এনে দিয়েছে টেলিভিশন। আর রিমোটের মাধ্যমে সেই টেলিভিশন তথা টিভির নিয়ন্ত্রণ হাতের মুঠোয় এনে দেওয়ার কৃতিত্ব যাঁর, রিমোটের সেই আবিষ্কর্তা ইউজিন পলি মারা গেলেন। বয়স হয়েছিল ৯৬ বছর। |
পলিড্রাগন মহাকাশে |
• মার্কিন গবেষণা সংস্থা নাসা-র ফ্লোরিডার কেপ ক্যানাভেরাল উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে ২২ মে মহাকাশযাত্রা করেছিল ড্রাগন নামে একটি মহাকাশযান। মহাকাশযানটি তৈরি করেছে স্পেস-এক্স নামে একটি বেসরকারি সংস্থা। যানটি ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনের উদ্দেশে পাড়ি দিয়েছিল। এই প্রথম কোনও বেসরকারি সংস্থার মহাকাশযান উৎক্ষিপ্ত হল। সফল অভিযানের পর ৩১ মে সেটি আবার ফিরে আসে পৃথিবীতে। |
কলকাতা জিতল |
• ক্রিকেটে চেন্নাই সুপার কিংস-কে হারিয়ে এবারের ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ-এ চ্যাম্পিয়ন হল কলকাতা নাইট রাইডার্স। |
সেনাপ্রধান বিক্রম |
• জেনারেল বিজয় কুমার সিংহ অবসর নেওয়ার পর ভারতের নতুন সেনাপ্রধান হলেন বিক্রম সিংহ। |
টেলর |
• লাইবেরিয়ার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট চার্লস টেলর-এর ৫০ বছর কারাদণ্ডের আদেশ দিল রাষ্ট্রপুঞ্জের ওয়ার ক্রাইম কোর্ট। ১৯৯১-৯২ সালে টেলর যখন লাইবেরিয়ার প্রেসিডেন্ট, তখন তিনি নাকি সিয়েরা লিয়েন-এর গৃহযুদ্ধে বিদ্রোহীদের মদত দিয়েছিলেন। |
হীরক জয়ন্তী |
• ১৯৫৩ সালের ২ জুন ইংল্যান্ডের রানি হয়েছিলেন দ্বিতীয় এলিজাবেথ। গত ২ জুন তাঁর সিংহসনে বসার হীরক-জয়ন্তী উপলক্ষে উৎসবে মাতল গোটা দেশ। |
|
|
|
|
|