দেশে বিদেশে ম্যানেজমেন্ট পড়তে
ভারতে আইআইএম, এক্সএলআরআই, এস পি জৈন ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড রিসার্চ-এর মতো প্রথম সারির ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউটের পাশাপাশি বিশ্বের বহু ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য গ্র্যাজুয়েট ম্যানেজমেন্ট অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট (জি ম্যাট) পরীক্ষা দেওয়া যায়। পরীক্ষাটি পরিচালনা করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত গ্র্যাজুয়েট ম্যানেজমেন্ট অ্যাডমিশন কাউন্সিল (জিএমএসি)।
পরীক্ষায় মোট তিনটি বিভাগ থাকে
১) অ্যানালিটিক্যাল রাইটিং অ্যাসেসমেন্ট
২) কোয়ান্টিটেটিভ এবং
৩) ভার্বাল।
আগে অ্যানালিটিক্যাল রাইটিং অ্যাসেসমেন্ট-এ দুটি লেখার টাস্ক দেওয়া হত। এক, অ্যানালিসিস অব অ্যান আর্গুমেন্ট আর দুই, অ্যানালিসিস অব অ্যান ইস্যু। বিষয় থাকত বাণিজ্য থেকে আমাদের চারপাশে যা ঘটছে যে কোনও বিষয়ের ওপর। দুটি টাস্ক-এর ক্ষেত্রেই সময় দেওয়া হত আধ ঘন্টা করে। কিন্তু ৫ জুন থেকে এই বিভাগে কিছু অদল-বদল করা হচ্ছে। এখন থেকে ‘অ্যানালিসিস অব অ্যান ইস্যু’ লিখিত টাস্কটির বদলে ইন্টিগ্রেটেড রিজনিং নামে একটি নতুন অংশ যোগ করা হচ্ছে অ্যানালিটিক্যাল রাইটিং অ্যাসেসমেন্ট বিভাগে। এই নতুন অংশে থাকবে বারোটি প্রশ্ন। মোট সময় থাকবে সেই ত্রিশ মিনিটই। ছাত্রদের সুবিধের জন্য ইন্টিগ্রেটেড রিজনিং-এর জন্য অনলাইন ক্যালকুলেটরের ব্যবস্থা থাকবে। এই অংশে অন্যান্য অংশগুলির মতো স্কোরের ব্যবস্থা থাকলেও, এই স্কোর কিন্তু টোটাল স্কোরের সঙ্গে যোগ করা হবে না। টোটাল স্কোর তৈরি হয় কোয়ান্টিটেটিভ এবং ভার্বাল বিভাগের নম্বরের ওপর ভিত্তি করে।
কোয়ান্টিটেটিভ বিভাগে দু’ধরনের মাল্টিপল চয়েস প্রশ্ন থাকে প্রবলেম সলভিং এবং ডেটা সাফিসিয়েন্সি। এই সব প্রশ্ন করতে পাটিগণিত, অ্যালজেব্রা এবং জ্যামিতির সাধারণ জ্ঞান থাকলেই চলবে। কোয়ান্টিটেটিভ বিভাগে মোটামুটি ৩৭টি প্রশ্ন থাকে, সময় দেওয়া হয় এক ঘন্টা পনেরো মিনিট।
আর ভার্বাল বিভাগে রিডিং কম্প্রিহেনশন, ক্রিটিক্যাল রিজনিং এবং সেনটেন্স কারেকশন-এর ওপর মাল্টিপল চয়েস প্রশ্ন থাকে। রিডিং কমপ্রিহেনশনটি মোটামুটি ৩৫০ বা তার কম শব্দের হয়। বিষয় থাকতে পারে সোশাল সায়েন্স, ফিজিক্যাল বা বায়োলজিক্যাল সায়েন্স থেকে শুরু করে মার্কেটিং, ইকনমিক্স, হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট-এর মতো বিভিন্ন বাণিজ্যিক বিষয় যে কোনও কিছুর ওপর। প্রশ্ন সংখ্যা মোটামুটি ৪১টি। সময় থাকে এক ঘন্টা পনেরো মিনিট।
জি ম্যাট কিন্তু একটি কম্পিউটার অ্যাডাপটিভ টেস্ট। কম্পিউটার অ্যাডাপটিভ টেস্ট ব্যাপারটা এই রকম ধরো তুমি ভার্বাল এবিলিটি-র প্রশ্নের জবাব দেবে। কম্পিউটার স্ক্রিনে প্রথমে একটা প্রশ্ন ফুটে উঠল। প্রশ্নটি মোটামুটি শক্ত। এ বার প্রার্থী যদি সেই প্রশ্নটি পেরে যায় তা হলে তার পরের প্রশ্নটি আগের প্রশ্নের থেকে তুলনামূলকভাবে একটু বেশি শক্ত দেওয়া হবে। তবে সে যদি প্রশ্নটি না পারে তা হলে পরের প্রশ্নটি আগেরটার তুলনায় সহজ দেওয়া হবে। এই ভাবেই তাকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সব ক’টি প্রশ্ন উত্তর করতে হবে। প্রত্যেকটি প্রশ্ন উত্তর দেওয়ার পর কম্পিউটার সেই প্রশ্নটি নম্বর নির্ধারণ করে। সেই কারণে প্রার্থী আর আগের প্রশ্নে ফিরে যেতেও পারে না বা তার উত্তর বদলাতেও পারে না।
পরীক্ষার কুড়ি দিনের মধ্যে প্রার্থী জিম্যাট-এর আনুষ্ঠানিক স্কোর হাতে পেয়ে যায়। আনুষ্ঠানিক স্কোর রিপোর্টে গত পাঁচ বছরের (যদি এর আগে বেশ কয়েক বার প্রার্থী এই পরীক্ষায় বসে থাকে) সব ক’টি স্কোর দেওয়া থাকবে। যদি প্রার্থী কোনও পরীক্ষার স্কোর ‘ক্যানসেল’ করে তা হলে সেটি এই রিপোর্ট-এ দেওয়া থাকবে না। প্রতি ৩১ দিনে জি ম্যাট পরীক্ষায় বসা যায়। তবে প্রার্থী বারো মাসের মধ্যে পাঁচবারের বেশি এই পরীক্ষা দিতে পারবে না। জি ম্যাট দিতে খরচ পড়ে ২৫০ ডলার। যোগাযোগ- ই-মেল: GMATCandidateServices APAC@pearson.com, ফোন: +৯১ ১২০-৪৩৯-৭৮৩০ (সকাল ৯:০০ থেকে সন্ধ্যে ৬:০০ টা পর্যন্ত)। ওয়েবসাইট: http://www.mba.com/
• জি ম্যাট একটি কম্পিউটার অ্যাডাপটিভ টেস্ট।
• প্রতি ৩১ দিন অন্তর জি ম্যাট পরীক্ষায় বসা যায়।

পরীক্ষায় মোট তিনটি বিভাগ থাকে
১) অ্যানালিটিক্যাল রাইটিং অ্যাসেসমেন্ট,
২) কোয়ান্টিটেটিভ এবং
৩) ভার্বাল।
• ৫ জুন থেকে কিছুটা বদল করা হয়েছে জি ম্যাট-এর ধরন।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.