মুর্শিদাবাদের শেরপুরে কংগ্রেসের এক কর্মী সম্মেলনে তৃণমূলের নাম উচ্চারণ না করে জেলা কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, “৩৪ বছরের শাসনের শেষের দিকে পুলিশ প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে সংগঠন ধরে রাখতে চেয়েছিল সিপিএম। কিন্তু তারা তা পারেনি। আর এরা প্রথম থেকেই ওই কাজ শুরু করেছে। পুলিশ প্রশাসনকে ব্যবহার করে জেলা কংগ্রেসকে দুর্বল করতে চাইছে।” এই দিন ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়ও। প্রণববাবু এখানে বক্তব্য রেখে চলে যাওয়ার পরে বক্তৃতা দিতে ওঠেন অধীর।
|
অধীরের কথায়, “হাইকমান্ডের নির্দেশে জোট সরকারকে সমর্থন করছি। তবে কেউ যদি আমার ব্যক্তিগত মতামত জানতে চায়, তাহলে বলবকংগ্রেসের এই জোট সরকারের শরিক থাকা এক সেকেন্ডও উচিত নয়।” তাঁর অভিযোগ, “পঞ্চায়েত ভোটের আগে সিপিএমের কায়দায় খড়গ্রাম, বড়ঞা, কান্দি, রেজিনগর, বেলডাঙা-সহ বিভিন্ন এলাকায় পুলিশ ও মস্তানকে কাজে লাগিয়ে কংগ্রেস কর্মীদের উপর অত্যাচার শুরু করেছে তারা। এমন ঘটনা বন্ধ না হলে থানা ঘেরাও করতে কংগ্রেস পিছু হঠবে না।”
তবে জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি মহম্মদ আলি অধীরের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বলেন, “যত দূর জানি মুর্শিদাবাদে কংগ্রেসের বিধায়ক সংখ্যা রাজ্যের মোট কংগ্রেস বিধায়ক সংখ্যার এক তৃতীয়ংশ। সেক্ষেত্রে কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে অধীর চৌধুরীর উচিত সরকার থেকে সমর্থন তুলে নেওয়া। এতে কংগ্রেসের সদস্য পদ খোয়ানোর ভয় থাকবে না, তেমনই আগামী দিন নিজেদের শক্তি যাচাইয়েরও সুযোগ থাকবে। আমরাও দেখব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থন ছাড়া ক’জন বিধায়ক নির্বাচিত হতে পারেন। এ ভাবে ভাবের ঘরে চুরি করা যায় না!”
মুর্শিদাবাদে তৃণমূলের একমাত্র বিধায়ক মৎস্য দফতরের প্রতিমন্ত্রী সুব্রত সাহা বলেন, “সিপিএমের কাছাকাছি থাকলে এরকমটাই মনে হবে। তবে সনিয়া গাঁধী বিলক্ষণ জানেন, এই রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ছাড়লে কংগ্রেসের কী হাল হবে! তাই এখানে কারও ব্যক্তিগত মতামত মূল্যহীন।”
|