|
|
|
|
চড়া রোদ উপেক্ষা করেই শেষ প্রচার দাসপুরে |
অভিজিৎ চক্রবর্তী • দাসপুর |
চড়া রোদ উপেক্ষা করেই রবিবার শেষ প্রচারে মেতে উঠল তৃণমূল, সিপিএমযুযুধান দু’পক্ষ। এ দিনই ছিল দাসপুর বিধানসভার উপ -নিবার্চনের প্রচারের শেষ দিন। সময় নষ্ট না করে ভোর থেকেই দুই ব্লকের বুথে -বুথে দলের হয়ে প্রচারে নেমে পড়েন কর্মী -সমর্থকরা।
তৃণমূল এ দিন বাড়ি -বাড়ি প্রচারের পাশাপাশি একাধিক ছোট -ছোট পথসভাও করে। তৃণমল প্রার্থী মমতা ভুঁইয়াকে নিয়ে গ্রামে -গঞ্জে মিছিল করেন দলীয় সমর্থকরা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বড় বড় হোর্ডিং নিয়ে সরকারের এক বছরের উন্নয়নের কাজকর্ম প্রচার করেন তাঁরা। প্রয়াত বিধায়ক অজিত ভুঁইয়া না -থেকেও ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে ছিলেন প্রচারে। তাঁর ভাবমূর্তি ও সততার কথা ঘুরেফিরে আসে প্রচারে। |
|
দাসপুরে তৃণমূল কংগ্রেস ও বামেদের মিছিল। রবিবার সৌমেশ্বর মণ্ডলের তোলা ছবি। |
উল্লেখ্য, অজিত ভুঁইয়ার আসনে তাঁর স্ত্রী মমতাদেবীকে প্রথম থেকেই মেনে নিতে পারেননি তৃণমূলের স্থানীয় নেতা -কর্মীদের একাংশ। জেলা নেতৃত্ব ও পরে রাজ্য স্তরের নেতারা কোন্দল মেটাতে একাধিক বার বৈঠকে বসলেও কোনও লাভ হয়নি। ফলে প্রথমটায় সিপিএম জোরকদমে নির্বাচনী প্রচার শুরু করে দিলেও তৃণমূলের কারও কোনও হেলদোল ছিল না। এলাকাটি তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি হলেও দলীয় কোন্দলের কারণে প্রচার প্রায় বন্ধ দেখে কপালে ভাঁজ পড়ে যায় জেলা ও রাজ্য স্তরের নেতাদের। পরিস্থিতি সামাল দিতে শেষ বেলায় প্রচারে আসেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায় প্রমুখ। মুকুল রায়ের নির্দেশে কোন্দল সরিয়ে রেখে একজোট হয়ে শেষ প্রচারে নামেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা -কর্মীরা। তৃণমূলের এক জেলা নেতা বলেন, “যদি কোনও গণ্ডগোল না থাকত, তা হলে এই ভাবে ছুটে ছুটে প্রচারে আসতে হত না মন্ত্রী থেকে রাজ্য নেতাদের।”
অন্য দিকে, প্রচারের শেষ বেলায় বিশেষ মাতামাতি করেনি সিপিএম। রবিবার ভোর থেকেই বাড়ি -বাড়ি প্রচারে নেমে পড়লেও কোনও পথসভা করেনি তারা। শুধু দাসপুর, সোনাখালি, বকুলতলা -সহ গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি এলাকায় মিছিল করে সিপিএম। মিছিলেই প্রার্থী সমর মুখোপাধ্যায়ের সমর্থনে প্রচারের পাশাপাশি এক বছরে নতুন রাজ্য সরকারের উন্নয়নে ব্যর্থতা ও তৃণমূলের সন্ত্রাসের কথা তুলে ধরা হয়। বিকেল ৩টে নাগাদ বেলেঘাটা থেকে বকুলতলা পর্যন্ত মহামিছিলে ভালই লোকজন হয়।
তাপপ্রবাহকে পাত্তা না দিয়ে এই ভাবে রাস্তাতেই দিন কাটিয়ে দেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা -কর্মী -সমর্থকেরা। বিজেপি ও নির্দল প্রার্থীরাও শেষ প্রচারে এলাকা চষে বেড়ান। গোপীগঞ্জে বিজেপি -র প্রচার -গাড়ি আটকে তৃণমূলের লোকেরা ঢিল ছোড়ে বলে অভিযোগ দলের জেলা সভাপতি তুষার মুখোপাধ্যায়ের। বিজেপি -র ব্লক নেতা দীপক প্রামাণিককে হেনস্থা করারও অভিযোগ উঠেছে। তৃণমূলের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সভাপতি দীনেন রায় অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। |
|
|
|
|
|