|
|
|
|
ক্রিকেট লিগ ইস্টবেঙ্গলের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
এক দিকে ট্রফির খরা কাটানোর গুরুদায়িত্ব। অন্য দিকে অসহ্য দাবদাহ সামলে ন’দিনের মধ্যে তিন-তিনটে বড় ম্যাচ খেলার চাপ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দুটোকেই সামলে সিএবি লিগ জিতে নিল ইস্টবেঙ্গল। এবং ছ’উইকেটে জয় এল জিতল দাপট নিয়ে। হাতে একটা গোটা দিন রেখে দিয়ে।
নকআউট থেকে ছুটি হয়েছে। জেসি মুখোপাধ্যায় ট্রফি জেতা যায়নি। কিন্তু লিগ ফাইনাল যত এগিয়েছে, দাপট তত বেড়েছে ইস্টবেঙ্গলের। শনিবারই বোঝা যাচ্ছিল, স্পোর্টিং ইউনিয়নের বিরুদ্ধে জয় পাওয়াটা স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। কারণ ইডেনের ব্যাটিং উইকেটে প্রথম দিনই ২১৮-৬ হয়ে যায় স্পোর্টিং। |
|
লিগ জয়ী ইস্টবেঙ্গল দল। রবিবার ইডেনে। |
এ দিন নেমে ১১ রান জুড়তে না জুড়তেই বাকি ইনিংস খতম। প্রশ্ন একটাই পড়ে ছিল, ২৩০ রানের লক্ষ্যমাত্রা ছুঁতে ইস্টবেঙ্গলের কতক্ষণ লাগবে? ম্যাচ আজই শেষ হবে? না গড়াবে আরও এক টা দিন? শেষ পর্যন্ত হাতে একটা দিন রেখেই জয় এল। আর এই জয়ের পিছনে বাহবা দিতে হবে দু’জনকে। ইস্টবেঙ্গল অধিনায়ক অর্ণব নন্দী এবং ব্যাটসম্যান ঋতম পোড়েল। মাত্র ৬৫ রান খরচ করে পাঁচ উইকেট নিয়ে অর্ণব একাই শেষ করে দেন স্পোর্টিং ব্যাটিংকে। “ইডেনের ব্যাটিং উইকেটে পাঁচ উইকেট তোলা সহজ ছিল না। নকআউট আমরা পাইনি। লিগটা জিততেই গত। তা ছাড়া স্থানীয় ক্রিকেটে লিগেরই সবচেয়ে বেশি মর্যাদা। তৃপ্ত লাগছে,” ম্যাচ শেষে বলছিলেন ইস্টবেঙ্গল অধিনায়ক। কোচ প্রণব নন্দী আবার মনে করিয়ে দিচ্ছেন, “আমরা ন’দিনের মধ্যে কোয়ার্টার ফাইনাল, সেমিফাইনাল আর ফাইনাল খেলেছি। কৃতিত্বটা তাই সবার।”
অর্ণব ছাড়াও ভাল বল করেছেন শিবশঙ্কর পাল। অনেক দিন পর বড় মঞ্চে তিনি ঝলসানো ফর্মে। মাত্র ৩৫ রান দিয়ে তুললেন তিন উইকেট। অর্ণব-শিব মিলে যদি স্পোর্টিংয়ের ব্যাটিংয়ে ধস নামিয়ে থাকেন, তা হলে ব্যাটিংয়ে ইস্টবেঙ্গলকে টানলেন ঋতম পোড়েল এবং বিদ্যুৎ অধিকারী। |
|
|
|
|
|