শেষ প্রস্তুতি |
‘গুপ্তচর’দের ম্যাচে ফরাসিদের ভয় জেরারকে |
নিজস্ব প্রতিবেদন |
ইংলিশ চ্যানেলের দুই পারে থাকা দুই দেশের মধ্যে এ এক অদ্ভুত ম্যাচ। প্রথম দিকে পাল্লা ভারী ছিল ইংরেজদের দিকে। ’৯০ দশকের পর থেকে হঠাৎই নিজেদের দিকে চাকা ঘোরাতে শুরু করেন ফরাসিরা।
আর এ বারের ইউরোয় বড় প্রভাব তৈরি করতে চলেছে দু’দলের ‘গুপ্তচর’-রা। ইংরেজ ফুটবলারদের জারিজুরি ফ্রান্সের শিবিরে ফাঁস করছেন বেশ কয়েক জন ‘গুপ্তচর’। ম্যাঞ্চেস্টার সিটি-র সমীর নাসরি, নিউক্যাসলের কাবায়ে, চেলসির মালুদা, ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের এভ্রারা। তেমনই তাঁদের সঙ্গে একই দলে খেলার সুবিধা পাবেন ম্যান ইউয়ের ওয়েলবেক, চেলসির অ্যাশলে কোল, সিটির মিলনার-রা। |
|
ফ্রান্স অনুশীলনে রিবেরি ও বেঞ্জিমা। |
গত কয়েক বছরে বড় টুর্নামেন্টে বিপর্যস্ত দু’দেশই। ২০০৮-এর ইউরোয় খেলার সুযোগ পায়নি ইংল্যান্ড। সে বারই গ্রুপ লিগ থেকে বিদায় নিয়েছিল ফ্রান্স। ২০১০ বিশ্বকাপেও তাই। যেখানে ইংল্যান্ড নকআউট থেকে বিদায় নেয় জার্মানির কাছে চার গোল খেয়ে। তার পর বিস্তর ভাঙা-গড়ার পর দু’দেশের কোচের সামনে এটাই প্রথম বড় টুর্নামেন্ট। সোমবারের ম্যাচ তাই চ্যালেঞ্জ দু’জনের কাছেই।
|
শেষ ইউরো সাক্ষাৎ |
২০০৪ ইউরোয় ফ্রান্সের কাছে ১-২ হার ইংল্যান্ডের। ল্যাম্পার্ডের গোলে ১-০ এগিয়ে থাকা ইংল্যান্ড জিনেদিন জিদানের ইনজুরি টাইমের জোড়া গোলে হেরে যায়। যার মধ্যে একটি ছিল ফ্রি-কিক, অন্যটি পেনাল্টি থেকে। ম্যাচটি আরও তাৎপর্যপূর্ণ ছিল বেকহ্যামের পেনাল্টি নষ্ট করার জন্য। |
|
২০১০ বিশ্বকাপের পর রজার দোমেনেকের ছাঁটাইয়ের পর দায়িত্ব বর্তায় লরা ব্লাঁ-র উপর। পরের দু’বছরে দারুণ ভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে ফ্রান্স। লরা ব্লাঁ-উত্তর ফ্রান্সের পারফরম্যান্সেই ধরা পড়ে উন্নতির ছবি। ইউক্রেনে পৌঁছনোর আগে পর্যন্ত ফ্রান্স অপরাজিত ২১ ম্যাচে। তার মধ্যে ফরাসিরা জিতেছে ১৫টিতে। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে নামার আগে ব্লাঁ বলছেন, “ইংল্যান্ডের কয়েক জনের এটাই শেষ টুর্নামেন্ট। ওরা তো নিজেদের মেলে ধরতে চাইবেই। তার উপর সামনে ফ্রান্স।” |
|
ইংল্যান্ড অনুশীলনে জেরার। |
বড় টুর্নামেন্টে অভিষেকের আগে ইংলিশ কোচ রয় হজসন বলছেন, “আমার কর্মজীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তিনটে সপ্তাহ। হয়তো সবচেয়ে বেশি নাজেহাল করে দেওয়া সময়ও।” রুনির অনুপস্থিতিতে ইংল্যান্ডের প্রাণভোমরা হয়ে উঠছেন অধিনায়ক স্টিভেন জেরার। সেই কথা ভেসে আসছে খোদ বিপক্ষ শিবির থেকেই। নিউক্যাসলের ফরাসি মিডফিল্ডার ইয়োহান কাবায়ে বলছেন, “আমরা কাকে বেশি ভয় পাচ্ছি? স্টিভেন জেরার। ও হল ইংল্যান্ড দলটার প্রাণভোমরা। ওর পারফরম্যান্স যে কোনও দলকে তাতিয়ে দিতে পারে। সত্যিকারের নেতা।”
|
ইংল্যান্ড |
ছক: ৪-৪-২ |
কোচের সমস্যা |
ওয়েন রুনি প্রথম দু’টি ম্যাচে না থাকায় একমাত্র ফরোয়ার্ড কে হবেন, দ্বিধায় কোচ রয় হজসন। ওই স্থানের লড়াই ড্যানি ওয়েলবেক ও অ্যান্ডি ক্যারলের মধ্যে। |
স্টাইল |
চিরাচরিত লং বলের ইংলিশ ফুটবলেই ভরসা কোচের। বেশির ভাগ ফুটবলার তাতেই অভ্যস্ত। |
শেষ দশ ম্যাচের ফল |
৭টি জয়। ১টি হার। ২টি ড্র। |
শেষ পাঁচ ম্যাচের ফল |
৪টি জয়। ১টি হার। |
|
ফ্রান্স |
ছক: ৪-২-৩-১ |
কোচের সমস্যা |
রিবেরি, নাসরিদের নিয়ে তৈরি মাঝমাঠ মসৃণ ফুটবল খেললেও গোলের মুখ খুলতে সমস্যায় পড়তে হয় ফ্রান্সকে। ইউরোর যোগ্যতা অর্জন পর্বে মাত্র ১৫টি গোল করেছে ফ্রান্স। একমাত্র গ্রিসই তার থেকে কম গোল (১৪) করেছে। |
স্টাইল |
লরা ব্লাঁ কোচ হওয়ার পর মাঝমাঠ ও রক্ষণে দৃঢ়তা বেড়েছে। মাঝমাঠে পাসিং ফুটবল খেলার প্রবণতা আছে। |
শেষ দশ ম্যাচের ফল |
৭টি জয়। ৩টি ড্র। |
শেষ পাঁচ ম্যাচের ফল |
৪টি জয়। একটি ড্র। |
|
|
ছবি: রয়টার্স |
|