|
|
|
|
গয়নার বাক্স ফেরালেন রং মিস্ত্রি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • দুর্গাপুর |
মালিকের খেয়ালই ছিল না। দিন তিনেক আগে গয়নার বাক্স সমেতই আলমারি রং করতে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন দোকানে। অবশেষে গয়না ফেরত এল সেই দোকানেরই এক কর্মচারীর সৌজন্যে।
ওই কর্মচারীর নাম শেখ আব্দুল। ইছাপুরের মুসলিমপাড়ার বাসিন্দা তিনি। চোখেমুখে অভাবেব ছাপ স্পষ্ট। ইছাপুরের মধুসূদন কর্মকারের দোকানে কাজ করেন তিনি। রবিবার আলমারি রং করতে গিয়ে তাঁর চোখেই প্রথম পড়েছিল গয়নার বাক্সটি। যার ভিতরে ছিল দু’টি সোনার বালা ও এক জোড়া কানের দুল। দেখে একটুও ঘাবড়ায়নি বছর
শেখ আব্দুল। নিজস্ব চিত্র |
পঁচিশের ছেলেটি। সঙ্গে সঙ্গে বাক্সটি দিয়ে দেন দোকানের মালিকের ভাই স্বপনবাবুর হাতে। বলেন, দ্রুত সেগুলি আলমারির মালিকের হাতে পৌঁছে দিতে। স্বপনবাবু আলমারির মালিক সরপি গ্রামের মিলন মুখোপাধ্যায়কে বিষয়টি জানান। মিলনবাবু গয়নাগুলি ফিরিয়ে নিয়ে যান। তিনি বলেন, “আমাদের খেয়াল ছিল না যে এত টাকার গয়না আলমারিতে রয়েছে। শেখ আব্দুলকে ধন্যবাদ। ঈশ্বর ওঁর মঙ্গল করুন।”
আব্দুলের বাড়িতে রয়েছেন বাবা, মা, স্ত্রী ও দু’বছরের সন্তান। পরিবারের একমাত্র রোজগেরে তিনিই। তার পরেও ছেলে গয়নার বাক্স ফিরিয়ে দেওয়ায় খুশি তাঁর বাবা শেখ আলাউদ্দিন। তিনি বলেন, “আমি মাঝেমধ্যে ঠেলাগাড়ি চালাই। মূলত ওর রোজগারেই সংসার চলে। আমরা অভাবী হতে পারি, অসৎ নই। তাই ছেলের কাছে এটাই প্রত্যাশিত ছিল।” দোকান মালিক মধুসূদনবাবু জানান, এর আগেও একই কাজ করেছে সেখ আব্দুুল। তিনি বলেন, “দিন কয়েক আগেও বেনাচিতিতে রাস্তায় একটি পাঁচশো টাকার নোট কুড়িয়ে পেয়ে তা এক জনকে ডেকে ফেরত দিয়েছিল আব্দুল।” মিলনবাবুর ভাই তথা ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি সুজিত মুখোপাধ্যায় বলেন, “এলাকাবাসী হিসাবে শেখ আব্দুলের জন্য আমরা গর্বিত।” |
|
|
|
|
|