|
|
|
|
সিদ্ধান্ত নিয়ে চাপান-উতোর |
দলের ভাবমূর্তি ‘বিপন্ন’ করায় বহিষ্কৃত তৃণমূল সদস্য |
নিজস্ব সংবাদদাতা • জামুড়িয়া |
দলের ভাবমূর্তি বিপন্ন করার অভিযোগ অসিত মণ্ডলকে পাঁচ বছরের জন্য বহিষ্কারের কথা জানাল তৃণমূলের জামুড়িয়া ২ ব্লক কমিটি। যদিও অসিতবাবুর দাবি, এ ব্যাপারে ব্লক কমিটির তরফে কোনও চিঠি এখনও তিনি পাননি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জামুড়িয়া ২ ব্লকের খোট্টাডিহি এলাকায় তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি সিদ্ধার্থ রানা এবং ব্লক তৃণমূল সদস্য তথা শ্রমিক নেতা অসিত মণ্ডলের গোষ্ঠীর মধ্যে বারবার দ্বন্দ্ব হয়েছে। প্রতি বারই দুই গোষ্ঠী পরষ্পরের বিরুদ্ধে কয়লা চুরিতে মদত দেওয়ার অভিযোগ এনেছে। জামুড়িয়া ব্লক সভাপতি তাপস চক্রবর্তী শনিবার অভিযোগ করেন, অসিতবাবু এক সিপিএম নেতার আত্মীয় হওয়ার সুবাদে রাজ্যে সরকার পরিবর্তনের পর থেকে তাঁর মাধ্যমে সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তৃণমূলে ঢুকছেন। তাপসবাবুর দাবি, অসিতবাবু ব্লক কমিটিকে মানছেন না। দলীয় নীতি উপেক্ষা করে তিনি কয়লা চুরিতে মদত দিচ্ছেন। এমনকী, অন্য তৃণমূল কর্মীদের উপরেও সন্ত্রাস চালাচ্ছেন। এ ভাবে দলীয় ঐক্য এবং ভাবমূর্তি বিপন্ন করায় অসিতবাবুকে তাঁরা ৫ বছর বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান তাপসবাবু।
অসিতবাবুর আবার পাল্টা দাবি, তিনি ২০০৯-এর লোকসভা ভোটে মলয় ঘটক এবং গত বিধানসভা ভোটে জামুড়িয়ার তৃণমূল প্রার্থী প্রভাত চট্টোপাধ্যায়ের পোলিং এজেন্ট ছিলেন। বর্তমানে তিনি শোনপুর বাজারি প্রকল্পের তৃণমূল পরিচালিত কর্মী সমবায়ের ডিরেক্টর এবং ওই প্রকল্পের আইএনটিটিইউসি অনুমোদিত কেকেএসসি-র ইউনিট সহ-সম্পাদক। তাঁর দাবি, “আমার আত্মীয় সিপিএম করলেও তার সঙ্গে আমার রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। বাম জামানায় আমার বিরুদ্ধে বারবার মিথ্যা অভিযোগও দায়ের হয়েছে। সরকার পরিবর্তনের পরে আমিই দাবি তুলেছি, কয়লা চোরেদের দলে নেওয়া যাবে না। কিন্তু দলেরই এক পক্ষ সে কথা মানতে চায়নি। এ নিয়েই বিবাদ।” ব্লক কমিটিকে বারবার বলা সত্ত্বেও তারা মীমাংসার কোনও চেষ্টা করেনি বলেও অসিতবাবুর দাবি।
তৃণমূলের জেলা (শিল্পাঞ্চল) সভাপতি অপূর্ব মুখোপাধ্যায় বলেন, “ব্লক কমিটি কোনও সদস্যকে বহিষ্কারের প্রস্তাব রাখতে পারে। তবে জেলা কমিটি অনুমোদন না করা পর্যন্ত তা কার্যকর হতে পারে না। আমাকে এখনও কেউ কিছু জানাইনি।” |
|
|
|
|
|